হঠাৎ একটা মৌলিক প্রশ্নের মুখোমুখি এসে দাঁড়ানো গেছে সম্প্রতি। দেশ কাকে বলে? কোনও জায়গা নিজেকে নিজে ‘দেশ’ বললেই কি সে দেশ হয়ে যায়? নিশ্চয়ই না? কিন্তু আবার অন্যরা অনেকে মিলে একটি অঞ্চলকে ‘দেশ’ ‘দেশ’ বললেই কি সে দেশ হয়ে যায়? যদি উত্তর হয়, হ্যাঁ, তবে পরের প্রশ্ন, আচ্ছা, একটা দেশকে ‘দেশ’ বানাতে কতগুলো দেশের সম্মতি লাগে? উল্টো পক্ষে, কতগুলো দেশের অসম্মতি থাকলে কোনও দেশ কিছুতেই ‘দেশ’ হয়ে উঠতে পারে না? আর, সবচেয়ে বড় এবং গুরুতর প্রশ্ন, কী ভাবে তৈরি হয় সেই বিশ্ব ব্যবস্থা যেখানে বহু দেশের সম্মতি থাকলেও মাত্র একটি, কিংবা দুটি, দেশের অসম্মতির কারণে কোনও অঞ্চলকে কোনও মতেই দেশ আখ্যা দেওয়া হয় না?
প্রশ্ন তুলেছে প্যালেস্তাইন।
প্রশ্ন তুলেছে এই সেপ্টেম্বর মাসে। তেষট্টি বছর আগে এক ভয়ানক অন্যায় সংঘটিত হয়েছিল তার সঙ্গে। ইজরায়েল নামক রাষ্ট্রটি জোর করে তৈরি হয়েছিল প্যালেস্তাইন অঞ্চলে, দশ লক্ষাধিক মানুষকে রাতারাতি উচ্ছিন্ন করে। তেষট্টি বছর ধরে বহু রক্তক্ষরণ, বহু পথ পরিক্রমার পর ২১ সেপ্টেম্বর প্যালেস্তাইন রাষ্ট্রপুঞ্জের সভায় নিয়ে এসেছে তার আবেদনপত্র: দেশ হিসেবে স্বীকৃতির আবেদন।
তেষট্টি বছর? না কি চুরানব্বই? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৮ সালে ইজরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম হল ঠিকই, কিন্তু প্যালেস্তাইন অঞ্চলে যে একটি ইহুদি হোমল্যান্ড তৈরি করে দেওয়া দরকার, সেটা তো স্বীকৃত হয়ে গিয়েছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়েই, ব্যালফুর ডিক্লারেশনের মাধ্যমে (১৯১৭)। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত ব্রিটিশ ম্যানডেটের অধীন প্যালেস্তাইন অঞ্চলটিই যে ইহুদি স্বভূমির যোগ্যতম জায়গা, সেটাও তৎকালীন ব্রিটিশ বিদেশমন্ত্রী আর্থার জেমস ব্যালফুরই বলেছিলেন। আরব-ইহুদি রক্তক্ষয়ী শত্রুতার প্রেক্ষাপট ও জেরুজালেম-এর উপর ইহুদি অধিকারের বিষয়টি মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ, ইজরায়েল দেশটি ১৯৪৮ সালে রূপায়িত হলেও একটা গোটা শতাব্দী ধরে রাজনৈতিক জায়নবাদের (পলিটিকাল জায়নিজম) উন্মেষ ও বৃদ্ধির সঙ্গে প্যালেস্তাইন অঞ্চলের ভাগ্য গাঁটছড়ায় বাঁধা।
জন্মের সঙ্গে সঙ্গে ইজরায়েল রাষ্ট্র হিসেবে আন্তর্জাতিক দেশ-সমাজে সম্মানিত আসন পেয়ে গেল, প্যালেস্তাইনের কপালে কিন্তু সেই সম্মানের ছিটেফোঁটাও জুটল না। ১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ব্রিটিশ ম্যানডেট-ভুক্ত অঞ্চলটির অধিকাংশ হবে ইজরায়েলের অধীন। আর অবশিষ্টাংশ? অত্যন্ত যত্ন করে দেশগোত্রহীন ভাবে রেখে দেওয়া হল তাকে, যেন ক্রমে ইজরায়েল সে সব অঞ্চল অধিকার করে নেবে বলেই। পরবর্তী ইতিহাস এগোতে শুরু করল সেই পূর্বনির্ধারিত পথে। এক দিকে চলল প্রজন্মের পর প্রজন্ম আক্রমণ-প্রতিআক্রমণ হত্যা-সন্ত্রাসে অধ্যুষিত জীবন। অন্য দিকে অব্যাহত রইল প্যালেস্তিনীয় অঞ্চলগুলিতে ইজরায়েলের সযত্ন-পরিকল্পিত ‘সেট্লমেন্ট’। বহু আন্তর্জাতিক সভা, বৈঠক, আলোচনা, চুক্তি ঘটে গেছে তার পর। কিন্তু সব অনুনয় আদেশ সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ইজরায়েল তার বসতি স্থাপন চালাতেই থেকেছে। আর, আক্রমণমুখী ‘সেট্লমেন্ট সন্ত্রাস’-এর উত্তরে হিংস্র থেকে হিংস্রতর আকার ধারণ করেছে প্যালেস্তিনীয় জঙ্গি হানা। ম্যাক্রো-ছবি থেকে মাইক্রো-ছবিতে এলে দেখা যায়, বাসচ্যুতি প্রাণক্ষয় পারিবারিক বিপর্যয়ের অভিজ্ঞতা ঘটেনি এমন একটিও প্যালেস্তিনীয় পরিবার আজ আর অবশিষ্ট নেই। এই হিংসাকীর্ণ দীর্ঘ, দীর্ঘ পথের মধ্য দিয়ে প্যালেস্তাইনের দুটি দাবি প্রজ্বলিত হয়ে উঠেছে: এক, উৎখাত, উচ্ছিন্ন পরিবারগুলিকে স্বভূমিতে ফিরিয়ে নেওয়া। দুই, প্যালেস্তাইনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির মাধ্যমে দেশহারা, গৃহহারা পলাতক একটি সমগ্র জাতির জীবনকে স্বাভাবিকতা দেওয়া। এই শেষ দাবিটি থেকেই তৈরি হয়েছে প্যালেস্তাইনের ‘স্টেটহুড’-এর সংগ্রাম। ১৯৯৮ সালে প্যালেস্তাইন-শাসক হিসেবে প্যালেস্তাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পি এল ও)-র ভাগ্যে জুটেছে রাষ্ট্রপুঞ্জে ‘অবজার্ভার স্টেট’ নামক এক প্রান্তিক অবস্থান, কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি পাল্টায়নি এক চুলও।
গত কয়েক বছরে যেন একটু আশার আলো। যেন ইঙ্গিত, কূটনীতি সফল হলেও হতে পারে এ বার। ইজরায়েলকে সাময়িক ভাবে সেটলমেন্ট বন্ধ করতে বাধ্য করা গেল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার তত্ত্বাবধানে দেখা গেল সমঝোতার কিছু বিশেষ প্রচেষ্টা। এই প্রথম কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট সর্বসমক্ষে বললেন: ‘টু-স্টেট-সলিউশন’ই একমাত্র পথ। বারংবার দুই পক্ষকে এক আলোচনার টেবিলে আনার প্রচেষ্টা হল। কিন্তু হায়! গত বছরের শেষে প্যালেস্তিনীয় প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস আবারও ঘোষণা করলেন, সমঝোতার প্রশ্নই নেই, কেননা সব বাধা অগ্রাহ্য করে ইজরায়েলি প্রেসিডেন্ট বিনইয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার আবারও ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক অঞ্চলে সেটলমেন্ট-এর কাজ শুরু করেছে। আব্বাস জানালেন, ইজরায়েলকে সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে এ বার এগোবেন তাঁরা। সোজা রাষ্ট্রপুঞ্জের দ্বারস্থ হবেন। সুতরাং সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদে এল প্যালেস্তাইন স্টেটহুড-এর আবেদন।
কী লাভ এই আবেদনে? কী লাভ ‘দেশ’ ভূষণে ভূষিত হয়ে?
কতগুলি লাভ আছেই। যেমন, রাষ্ট্রপুঞ্জের পূর্ণ সদস্য দেশ হতে পারলে ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক, গাজা বা পূর্ব জেরুজালেম-এর মতো প্যালেস্তিনীয় অঞ্চলগুলিকে আর অধিকৃত অঞ্চল (‘অকুপায়েড টেরিটরিজ’) বলা যাবে না, বলতে হবে অধিকৃত দেশ (‘অকুপায়েড স্টেট’)। তার ভিত্তিতে ‘আগ্রাসনকারী’র বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য আবেদন করা যাবে। হয়তো এই পথে আগ্রাসন বন্ধ করাও সম্ভব হবে, ঠিক যেমন হয়েছিল ১৯৯০ সালে কুয়েত-এর ক্ষেত্রে ইরাককে রোধ করা। ইজরায়েল-এর সীমান্ত আন্তর্জাতিক ভাবে স্থির করে দেওয়া যাবে এর ফলে, ১৯৪৯-এর পর যে সীমান্ত সমানে চলমান থেকেছে।
কিন্তু লাভ যতই থাকুক, সেটা পূরণের আশা কতটুকু? সোজা কথা: প্যালেস্তাইনের লক্ষ্য যদি হয় রাষ্ট্রপুঞ্জের সদস্য-দেশ হিসেবে স্বীকৃতি, সে আশা পূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা শূন্য। তার জন্য দরকার রাষ্ট্রপুঞ্জে পনেরো সদস্যবিশিষ্ট নিরাপত্তা পরিষদের সমর্থন, যা কোনও ক্রমেই মিলবে না। মিলবে না আমেরিকার কারণে। প্রেসিডেন্ট ওবামা আগে যা-ই বলে থাকুন না কেন, সেপ্টেম্বরেই জানা গেছে মার্কিন সিদ্ধান্ত: ভেটো-ক্ষমতা প্রয়োগ করে তারা প্যালেস্তাইনের আবেদন আটকাবে। প্রাথমিক অবস্থান পাল্টিয়ে ফ্রান্স এবং ব্রিটেনও স্থির করেছে, আমেরিকার যখন এই মত, তারাও ভোটদান থেকে বিরত থাকবে। সুতরাং, ‘মেম্বার-স্টেট’ হওয়া প্যালেস্তাইনের কপালে নেই। অবশ্য একটা কথা। প্রেসিডেন্ট আব্বাসের লক্ষ্য যদি হয় সদস্য-স্থানহীন দেশ-এর স্বীকৃতি (‘নন-মেম্বার স্টেট’), সেই আশা মোটের উপর উজ্জ্বল। এই ক্ষেত্রে প্যালেস্তাইনকে ‘দেশ’ বলা যাবে না, কিন্তু বর্তমান ‘অবজার্ভার’ অবস্থান থেকে তার এক ধাপ উন্নতি হবে, বিভিন্ন রাষ্ট্রপুঞ্জ-পরিচালিত কমিটিতে (যেমন, ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস) উপস্থিত হয়ে আবেদন-নিবেদন করার সুযোগ মিলবে। এই স্টেটাস পাওয়ার জন্য কেবল সাধারণ পরিষদের ১৯৩ সদস্যের সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোট লাগবে। সেটা পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নিশ্চিত। ঠিক যে ভাবে গত সপ্তাহে সংখ্যাগরিষ্ঠের স্বীকৃতিতে প্যালেস্তাইন রাষ্ট্রপুঞ্জ-অধীন সংস্থা ইউনেস্কো-র সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করল!
ইউনেস্কো-র স্বীকৃতি লাভের পরেই যেন প্যালেস্তাইন-প্রশ্নের অগ্নিতে পড়ল ঘৃতাহুতি। এত সহজে এতগুলি দেশের সমর্থন পেয়ে যাবে প্যালেস্তাইন, অনেকেই তা ভাবেনি। ইউনেস্কো-তে অনায়াসে নাম প্রবেশ করলে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদেও কত প্রবল সমর্থন পেতে চলেছে প্যালেস্তাইন, এ অনুমানে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ইজরায়েল। মনে করিয়ে দেয়, ইজরায়েল চায় ‘পিস উইদাউট আ স্টেট’, প্যালেস্তাইন চায় ‘স্টেট উইদাউট পিস’। মার্কিন অবস্থানও আক্রমণাত্মক: ইউনেস্কো-র সমস্ত মার্কিন অনুদান বাতিলের ঘোষণা। ব্রিটেন ও ফ্রান্সের ঘোষণা: ‘অ্যাবস্টেনশন’! ফরাসি প্রেসিডেন্ট সারকোজি যদিও জনান্তিকে বলছেন, নেতানিয়াহুর উপর এক পয়সা আস্থাও তাঁর নেই; কিংবা ব্রিটিশ বিদেশমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ যেমন বলছেন, সেটলমেন্ট কার্যক্রম আবার চালু করে অক্ষমণীয় অন্যায় করছে ইজরায়েল; এঁরা কেউই শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিষদে আমেরিকার বিপক্ষে যেতে রাজি নন। তাঁদের যুক্তি: মার্কিন ভেটো-তে আবেদন যখন আটকেই যাবে, প্যালেস্তাইনের এই ‘কূটনৈতিক যুদ্ধ’ ঘোষণা না করাই উচিত। অন্তত তাঁরা সে ক্ষেত্রে নিজের নিজের ভোটটি দেবেন না, কোনও পক্ষেই নাম লেখাবেন না।
লন্ডন-প্যারিসের যুক্তি তো বোঝা গেল। জেরুজালেম-এর যুক্তি নিয়ে মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই। ওয়াশিংটনের যুক্তিটি কী? যুক্তি পরিষ্কার: স্টেট-এর স্বীকৃতি দিয়ে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়, কেননা প্যালেস্তাইনের জঙ্গিপনার কমতির কোনও লক্ষণ নেই। আগে সংঘর্ষ থামুক, তবে অন্য কথা। প্রশ্ন ওঠে, তবে কি ওবামা-র এত দিন ধরে ‘টু স্টেট সলিউশন’ আউড়ানো কেবলই মুখের কথা? সম্ভবত তা-ই। ওবামা নিশ্চয়ই জানতেন যে প্যালেস্তাইনকে স্টেট হিসেবে মেনে নিতে ইজরায়েলকে যদি-বা কষ্টেসৃষ্টে রাজি করাও যায়, তার জন্য লাগবে রাষ্ট্রপুঞ্জের অনুমোদন। নিশ্চয়ই এ-ও জানতেন, ১৯৯০-এর দশকে ইজরায়েল ও আমেরিকার ইহুদি-লবির চাপে মার্কিন কংগ্রেস আইন পাশ করেছিল যে কোনও বিশ্ব-সংস্থায় প্যালেস্তাইনের নাম থাকলে সেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনও আর্থিক অনুদান বা অন্যতর সহায়তা থাকতে পারে না। অর্থাৎ আমেরিকার সম্মতিক্রমে প্যালেস্তাইন রাষ্ট্রপুঞ্জে প্রবেশ করতেই পারে না। যদি এ সব ওবামা আগেই জেনে থাকেন, তবে তিনি আগাগোড়া দ্বিচারিতা করেছেন। যদি না জেনে থাকেন, তবে অসম্ভব দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। মোট কথা, নভেম্বর মাসের রাষ্ট্রপুঞ্জের বৈঠক ঘিরে তাঁর বিষয়ে ব্যক্তিগত ভাবে এবং মার্কিন অবস্থান বিষয়ে সামগ্রিক ভাবে আরব দুনিয়ার যে বিশাল ক্রোধ তৈরি হতে চলেছে, যে নতুন উদ্দীপনায় হামাস জঙ্গি গোষ্ঠী আবার ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছে, যে নতুন তিক্ততা জমছে অন্যান্য বহু দেশের মনে, তার দায়িত্ব কিন্তু প্রেসিডেন্ট ওবামার সংকটদীর্ণ স্কন্ধেই বর্তায়।
এ বার, একটা প্রাসঙ্গিক তথ্য। ইউনেস্কোতে কতগুলি দেশের ভোট পেয়ে সদস্যপদ পেল প্যালেস্তাইন? ১৯৫টি দেশের মধ্যে ১০৭টি দেশ প্যালেস্তাইনের পক্ষে ভোট দিয়েছে। ৫২টি দেশ ভোটদানে বিরত থেকেছে। ধরেই নেওয়া যায়, আমেরিকা ও ইজরায়েল-এর হুমকির কারণেই এই ভোট না-দেওয়া। অঙ্ক বলছে, ৩৬টি দেশ প্রত্যক্ষ ভাবে প্যালেস্তাইনের বিরোধিতা করেছে। ধরেই নেওয়া যায়, আমেরিকা ও ইজরায়েলের হুমকিতেই এই বিরোধিতা। সুতরাং অঙ্কের ম্যাজিক উত্তরটা আসলে সেই ১ কিংবা ২ আমেরিকা কিংবা আমেরিকা/ইজরায়েল। ১৯৫-এর মধ্যে ১৯৩ বা ১৯৪টি দেশের সমর্থন জোগাড় করতে পারলেও ফল কিন্তু দাঁড়াত সেই একই। তাই বলছিলাম, কতটা পথ পেরোলে তবে ‘দেশ’ হওয়া যায়? |