ঝাড়খণ্ডে মাওবাদী দমনে যৌথ বাহিনীর অভিযানের পাশাপাশি মাওবাদী প্রভাবিত এলাকায় উন্নয়নের কাজে গতি আনার নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীর সংখ্যা বাড়ানো সত্ত্বেও ‘জঙ্গিদের’ হাতে নিরীহ সাধারণ মানুষের মৃত্যুর ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। ঝাড়খণ্ডে মাওবাদী দমনে যৌথ বাহিনীর কাজ এবং রাজ্যে মাওবাদী প্রভাবিত এলাকা উন্নয়নে কেন্দ্রীয় প্রকল্প ‘ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকশন প্ল্যান’-এর (আইএপি) কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে বুধবার রাঁচিতে এসেছিলেন চিদম্বরম। |
এ দিন বিএসএফের বিশেষ বিমানে বেলা আড়াইটে নাগাদ এখানে পৌঁছন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী। রাঁচি বিমানবন্দর থেকে চিদম্বরম সোজা চলে যান ঝাড়খণ্ডের সচিবালয় ‘প্রোজেক্ট বিল্ডিং’-এ। মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডার সঙ্গে অল্প কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলেন। এর পর ঝাড়খণ্ড পুলিশের সদর দফতরে সংশ্লিষ্ট সমস্ত দফতরের মন্ত্রী এবং পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলে মাওবাদী সমস্যা সমাধানের পথ খোঁজার সবিস্তার আলোচনা। বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডাকে পাশে রেখে চিদম্বরম বলেন, “মাওবাদী সমস্যা বিশেষ কোনও রাজ্যের নয়। এটা গোটা দেশেরই সমস্যা। সেই নিরিখেই সমস্যা সমাধানের কাজ হচ্ছে।” একই সঙ্গে স্বরাষ্টমন্ত্রী বলেন, “বছর পাঁচেক আগে ঝাড়খণ্ডে মাওবাদী দমনে পাঁচ ব্যাটেলিয়ন কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। এই মুহূর্তে এই রাজ্য রয়েছে ১৮টি ব্যাটেলিয়ন। এর পরও মাওবাদীদের হাতে নিরীহ সাধারণ মানুষের মৃত্যুর ঘটনা কমেনি। এটা খুবই উদ্বেগের।”
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বিগত আথির্ক বর্ষ থেকে ঝাড়খণ্ডের ১৪টি জেলার মাওবাদী প্রভাবিত এলাকা উন্নয়নে কেন্দ্রীয় প্রকল্প আইএপি-র কাজ চলছে। পরিকাঠামো-সহ বহুমুখী উন্নয়নের কাজের জন্য প্রতিটি জেলার জন্য ৫৫ কোটি টাকা করে বরাদ্দ হয়েছে। গত অক্টোবর মাস পর্যন্ত ৫৮ শতাংশ কাজ হয়েছে। এর পরই মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ: “আগামী মার্চ মাসের মধ্যে ওই প্রকল্পের ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ করতে হবে।” |