কলকাতা পুলিশের আওতায় আনা হলেও পুরসভার সংযোজিত এলাকায় সাইকেল রিকশার লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ করবে না কলকাতা পুরসভা। ডায়মন্ড হারবার রোডের মতো বড় রাস্তা ছাড়া সংযোজিত এলাকার যে রাস্তাগুলিতে বাস চলাচল করে, সেখানেও সাইকেল রিকশা নিয়ন্ত্রণের কোনও পরিকল্পনা নেই পুরসভার। বুধবার কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
মেয়র বলেন, “আমরা গরিব মানুষের সরকার। মানুষের রুটি-রুজিতে হাত দিতে পারব না। তবে ডায়মন্ড হারবার রোডের মতো বড় রাস্তায় রিকশা চলতে
দেওয়া হবে না।” কোনও রাস্তায় বাস চললেই সেটাকে বড় রাস্তা বলে ধরে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। মানুষের সমস্যার দিকটিও বিবেচনা করতে হবে বলে জানান মেয়র। তিনি আরও জানান, শুধু সংযোজিত এলাকায় এই মুহূতের্র্ প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার লাইসেন্সপ্রাপ্ত সাইকেল রিকশা চলছে। তবে আরও কিছু রিকশা আছে, যেগুলির লাইসেন্স নেই।
এ দিন কলকাতা পুলিশের ডিসি ট্রাফিক পুরসভায় গিয়ে মেয়রের সঙ্গে শহরের ঠেলা ও সাইকেল রিকশা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আলোচনা করেন। তার পরেই মেয়র এ বিষয়ে পুরসভার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন। তিনি জানান, মূল কলকাতা শহরে এই মুহূর্তে কলকাতা পুরসভার লাইসেন্সপ্রাপ্ত ঠেলার সংখ্যা ২০ হাজার। কিন্তু পুলিশ জানিয়েছে, লাইসেন্স ছাড়াও বহু ঠেলা চলছে। আসলে একটি ঠেলার লাইসেন্সে ৩ থেকে ৫টি বেআইনি ঠেলা চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঠেলার লাইসেন্সে লাইসেন্সধারীর কোনও ছবি থাকে না। ফলে কোনটা আইনসম্মত আর কোনটা বেআইনি, তা চিহ্নিত করা যায় না। একই সমস্যা সাইকেল রিকশার ক্ষেত্রেও। তাই পুলিশের প্রস্তাব, এই ধরনের যানের ক্ষেত্রে লাইসেন্সে ছবি দেওয়া হোক। মেয়র জানান, পুলিশকে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে। পুরসভা সেই প্রস্তাব বিবেচনা করবে। মেয়র আরও জানিয়েছেন, পুলিশ মূলত শহরে যানবাহনের গতিবৃদ্ধির বিষয়টি মাথায় রেখেই নতুন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে।
সেই সঙ্গে কলকাতা পুরসভার কাছে পুলিশের প্রস্তাব, বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে অনুমোদন দেওয়ার সময়ে পুলিশ ও পুরসভার মধ্যে সমন্বয়ের ব্যবস্থা করা হোক। বর্তমানে কোনও বিজ্ঞাপন বা বিজ্ঞাপনী পোস্টারের ক্ষেত্রে পুলিশ ও পুরসভা পৃথক ভাবে অনুমোদন দিয়ে থাকে।
সেই পৃথক অনুমোদনের কারণেই কোনও পোস্টার সরাতে গেলে নানা বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। এ বিষয়েও পুলিশকে একটি নির্দিষ্ট প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র। |