শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের সমস্যা নিয়ে যখন শিল্পমহল সরব, ঠিক তখনই পাল্টা প্রশ্ন তুললেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, শিল্পের জন্য শুধু জমি বা অর্থ নয়, দক্ষ কর্মীও জরুরি। কিন্তু তা নিয়ে তারা সরব নয় কেন, সেই প্রশ্ন বণিকসভার অনুষ্ঠানেই তুললেন তিনি।
ক্যালকাটা চেম্বার অফ কমার্সের ১৮০তম বার্ষিক সভায় বুধবার শিল্পমন্ত্রীর দাবি, “শিল্প-কর্তারা জমি আর মূলধন নিয়েই কথা বলেন। মানবসম্পদের বিষয়টি ব্রাত্য থেকে যায়।”
এ দিনই আবার মহাকরণে রাজ্যের রুগ্ণ সংস্থাগুলিকে চাঙ্গা করতে পরিকল্পনার কথাও ঘোষণা করেছেন শিল্পমন্ত্রী। তিনি জানান, এই লক্ষ্যে ৬৯টি বন্ধ ও রুগ্ণ সংস্থার ভবিষ্যৎ খতিয়ে দেখতে বাম জমানার পর ফের নতুন করে সমীক্ষা করবে তৃণমূল সরকার। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে সংস্থাগুলি চালানোর চেষ্টা করা হবে। তবে কোনও অবস্থাতেই একজন কর্মীকেও ছাঁটাই করা হবে না বলে তাঁর দাবি। এর আগে এ নিয়ে বাম জমানায় তৈরি করা রিপোর্টও নতুন করে দেখা হবে বলে জানান তিনি। শিল্পমন্ত্রীর দাবি, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় যথাক্রমে ডোকরা ও তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের পরিকাঠামোও তৈরি করতে চান তাঁরা। ভাবা হচ্ছে ধনেখালি ও সমুদ্রগড়ে টেক্সটাইল হাব করার কথাও।
এ দিন বণিকসভার আলোচনায় দক্ষ মানবসম্পদের প্রয়োজনীয়তার কথা বলতে গিয়ে শিল্পমন্ত্রী জানান, রাজ্যে মানবসম্পদের খামতি নেই। কিন্তু যথাযথ প্রশিক্ষণের অভাবেই দক্ষ কর্মী পায় না শিল্পমহল। তাই স্রেফ আলোচনার পরিবর্তে প্রশিক্ষণের উপর জোর দেওয়ার জন্য আর্জি জানান তিনি। তাঁর দাবি, আগামী দিনে এ নিয়ে কাজ করবে রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমও। এর জন্য সেখানে চালু হতে পারে পৃথক বিভাগ।
শিল্পমন্ত্রীর বক্তব্যকে সমর্থন করছে শিল্পমহলও। ফিকি-র পূবার্ঞ্চলের ডিরেক্টর মৌসুমি ঘোষ এবং সিআইআই-এর পূবার্ঞ্চলের ডিরেক্টর সৌগত মুখোপাধ্যায় বলেন, পার্থবাবুর বক্তব্য ঠিক। শিল্পের নিজের স্বার্থেই দক্ষ কর্মী গড়ার কাজে এগিয়ে আসা জরুরি।
এ দিন সিআইআই আয়োজিত শিল্প মেলা ‘বিজ-ব্রিজ’-এর উদ্বোধনে শিল্পমন্ত্রী জানান, রাজ্য দ্রুত পরিকাঠামো গড়ার কাজে জোর দিচ্ছে। |