অতিরিক্ত পণের দাবিতে বধূকে নির্যাতন করার অভিযোগে স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির তিন জনকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে রাখলেন এলাকার বাসিন্দারা। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে পাড়ুই থানা এলাকার সাত্তোর বাসস্ট্যান্ডে। বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নিশাত পারভেজ বলেন, “পোলে তিন জনকে বাঁধা হয়েছে খবর পেয়ে আমরা গ্রামে যাই। তাঁদেরকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কোনও অভিযোগ হয়নি। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ সাত্তোর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে বাবা ও দুই ছেলেকে বেঁধে রাখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সাত্তোরের বেলুটি গ্রামের বাসিন্দা শেখ নওসাদের অভিযোগ, “২০০৯-এর ১২ জুলাই আমার মেয়ে মোকরুবার সঙ্গে কসবা পঞ্চায়েতের খিরুনীর বাসিন্দা আব্দুল জলিলের ছেলে শেখ গাজী রহমানের বিয়ে দিই। বিয়ের সময় পণ দেওয়া হয়েছিল। তার পরেও অতিরিক্ত পণের জন্য তারা মেয়ের উপরে চাপ দিত। নির্যাতন করত।” মোকরুবার অভিযোগ, “মঙ্গলবার রাতে স্বামী, ভাসুর ও শ্বশুর আমার উপরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। বুধবার কোনও ভাবে বাপের বাড়িতে জানাই।” অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মোকরুবার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। শেখ গাজী রহমানের পাল্টা দাবি, “কোনও নির্যাতন করিনি। উল্টে আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন টাকা দাবি করছিলেন। বুধবার সাত্তোর বাসস্ট্যান্ডে বিষয়টি রফা করতে ডাকা হয়েছিল। সেখানে বাসিন্দারা বাবা, দাদা এবং আমাকে বেঁধে রাখেন। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা দাবি করেছিলেন, বিয়ের খরচ বাবদ সব টাকা ফেরত দিতে হবে। পরে পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়।” |