আড়াই মাস ধরে নিখোঁজ এক কলেজ ছাত্রী। তাঁকে অপহরণ করার অভিযোগ জানানোর পরেও পুলিশ নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছে। এই অভিযোগ তুলে নিখোঁজ কিশোরীর বাবা ও মা’কে সঙ্গে নিয়ে থানায় বিক্ষোভ দেখালেন কয়েকশো বাসিন্দা। বুধবার রামপুরহাট থানায় এই বিক্ষোভে রামপুরহাট মহকুমা নাগরিক সমিতি ও রামপুরহাট বার অ্যাসোসিয়েশনের রামপুরহাট ল-ক্লার্ক অ্যাসোসিয়শনের সদস্যেরাও যোগ দিয়েছিলেন।
সুনীতা ঘোষাল নামের ওই কিশোরীর বাড়ি রামপুরহাট থানার আখিড়াতে। রামপুরহাট কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্র। তাঁর বাবা রেলকর্মী নীলকণ্ঠ ঘোষাল জানান, গত ২৩ অগস্ট কলেজে মেয়েকে দিয়ে আসি। পরে দুপুরে কলেজে নিয়ে আসতে গিয়ে জানতে পারি মেয়ে সেখানে নেই। সে দিনই আমি রামপুরহাট থানায় একটি নিখোঁজের ডায়েরি করি। পরে খবর পাই, সুনীতাকে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানার বাগর গ্রামে তাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, “পুলিশ ওই ঘটনায় যুক্ত মেয়ের এক বান্ধবীকে আটক করে ছেড়ে দেয়। সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ করার পরেও পুলিশ তদন্তে ঢিলেমি করছে। মেয়ে এখন বেঁচে রয়েছে কিনা তা পুলিশ আমাদের জানাচ্ছে না।”
রামপুরহাট মহকুমা নাগরিক সমিতির পক্ষে রণজিত দাস বলেন, “প্রায় আড়াই মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরেও পুলিশ কেন ওই কিশোরীকে উদ্ধার করতে পারল না, তার কোনও সদুত্তর নেই। পুলিশের ভূমিকা সন্দেহজনক। অবিলম্বে তাঁকে উদ্ধার না করা হলে আমরা ফের আন্দোলন শুরু করব।” রামপুরহাট থানার আইসি অরুনাভ বন্দ্যোপাধ্যায় পরে তাঁদের নিয়ে আলোচনায় বসে কিশোরীকে উদ্ধার করার ব্যাপারে আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, “কিশোরীটিকে উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে দু’জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। আরও একটি সময় লাগবে।” জেলা পুলিশ সুপার নিশাত পারভেজ বলেন, “ওই কিশোরীর নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগের কথা শুনেছি। তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁর বাবা-মা তেমন হলে আমার সঙ্গেও দেখা করতে পারেন।”
|