কার্তিক লড়াই সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করার জন্য বুধবার দুপুরে পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক করল পুলিশ-প্রশাসন। এ দিন কাটোয়া থানা চত্বরে আয়োজিত এই বৈঠকে পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, শোভাযাত্রা বিকেল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে বের করতে হবে। ওসি রাজর্ষি দত্ত বলেন, “রাতভর শোভাযাত্রা হয়। তবে এ বার আর তা করা যাবে না।” পঞ্চায়ননতলা পুজো কমিটির অনিন্দ্য ভাস্কর একই রুট রেখে শোভাযাত্রাকে উল্টোমুখী করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে সেই প্রস্তাব খারিজ হয়ে যায়।
এ দিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, শোভাযাত্রার জন্য অনুমতিপ্রাপ্ত সংগঠনগুলিকে কাটোয়া থানা পক্ষ থেকে ‘নম্বর’ দেওয়া হবে। সেই নম্বর শোভাযাত্রার দিন টাঙাতে হবে। ওসি জানান, নম্বরবিহীন কোনও সংগঠনকে শোভাযাত্রায় দেখলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ২০০৬ সালে কাটোয়া মহকুমা প্রশাসন এ বিষয়ে উদ্যোগী হলেও কোনও সংগঠন শোভাযাত্রার দিন নম্বর টাঙায়নি। ফলে সেই উদ্যোগ সফল হয়নি।
অনেক ক্লাব কর্তারাই পুলিশের কাছে জানান, এক-একটি ক্লাব শোভাযাত্রায় ২৫-৩০টি গাড়ি রাখে। ফলে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। শোভাযাত্রা শেষ হতেও অনেক দেরি হয়ে যায়। এ দিন কাটোয়ার সি আই শচীন্দ্রনাথ পুড়িয়া বলেন, “কোনও উদ্যোক্তা শোভাযাত্রায় ১৫টির বেশি গাড়ি রাখতে পারবেন না। তার থেকে বেশি গাড়ি রাখতে হলে থানা থেকে ১৬ নভেম্বরের মধ্যে অনুমতি নিতে হবে। গত বার শোভাযাত্রায় ৬২টি অনুমতিপ্রাপ্ত সংগঠন যোগ দিয়েছিল। এছাড়া আরও অন্তত ২৫টি সংগঠন অনুমতি ছাড়া শোভাযাত্রা বের করেছিল। লেনিন সরণী, কারবালাতলা ও বারোয়ারিতলায় ব্যাপক যানজট হয়। তাই ওই তিন এলাকায় পুলিশকে সক্রিয় থাকতে অনুরোধ জানান পুজোর উদ্যোক্তারা।
এ প্রসঙ্গে ওসি বলেন, “কার্তিক লড়াইকে সুষ্ঠভাবে শেষ করার জন্য বর্ধমান জেলা তো বটেই, বাইরের জেলা থেকেও পুলিশকর্মীরা আসেন। লোকসংখ্যার অনুপাতে তা খুব বেশি নয়। তাই পুজো উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।” সমস্ত উদ্যোক্তাদের ১০-১৫ জন স্বেচ্ছাসেবীর নাম ও মোবাইল নম্বর থানায় জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন ওসি। এই সভায় পানুহাটের পুজো উদ্যোক্তারা জানান, কাটোয়া শহরের শোভাযাত্রার পরের দিন পানুহাটে শোভাযাত্রা হয়। তাই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশও থাকে না বলে অভিযোগ। ওসি বলেন, “গত বারের থেকে যাতে বেশি সংখ্যক পুলিশ থাকে, তা নিশ্চিত করা হবে।” |