ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সাইকেল বিলিতে স্কুল কর্তৃপক্ষের নামে বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূল ছাড়াও বেনিয়মের অভিযোগ তুলে সরব স্কুলের বামপন্থী শিক্ষকদের একাংশ। বেনিয়মের অভিযোগ তোলায় স্কুল কর্তৃপক্ষ দুই শিক্ষককে শাস্তির হুমকি দিয়ে নোটিস পাঠানোয় ছাত্র, শিক্ষক -সহ অভিভাবক মহলেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মালদহের রতুয়ার ভালুকা আরএমএম বিদ্যাপীঠে ঘটনাটি ঘটে। জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) বিমল পান্ডে বলেন, “সাইকেল বিলি করাকে কেন্দ্র করে বেনিয়ম ও তার জেরে দুই শিক্ষককে শাস্তির হুমকির নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ভালুকা হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের অন্তর্গত হলেও স্কুলটি অবস্থানগত দিক দিয়ে রতুয়ার মধ্যে পড়ে। গত বিধানসভা ভোটের আগেই স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের দেওয়ার জন্য স্থানীয় বিধায়কের দেওয়া ১২৭টি সাইকেল স্কুলে এসে পৌঁছয়। সাইকেলগুলি দুঃস্থ, মেধাবী ও দূরত্বের নিরিখে ছাত্রছাত্রীদের বিলি করতে হবে বলে প্রশাসনের তরফে লিখিত নির্দেশ পাঠিয়ে তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি এজন্য একটি কমিটি গড়ে তা বিলি করতে হবে বলেও জানানো হয়। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সাইকেল বিলি করার কাজ শুরু করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। কমিটি না গড়ার পাশাপাশি স্কুল কর্তৃপক্ষ নিয়ম না মেনে ইচ্ছে মতো সাইকেল বিলি করছে বলে তৃণমূলের অভিযোগ। ফেল করা ছাত্র ছাড়াও স্কুলের পাশে বাড়ির ছেলে, এমনকী অবস্থাপন্ন এমন পড়ুয়াদেরও সাইকেল দেওয়া হয়। পরিচালন সমিতির সদস্যের আত্মীয়, এমন ছাত্রকেও সাইকেল দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক যুগল কিশোর সাহা দাবি করেন, “সাইকেল বিলি নিয়ে ওদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। নিয়ম মেনেই তা বিলি করা হচ্ছে।” স্কুলের পরিচালন কমিটি সিপিএমের। প্রধান শিক্ষক সিপিএমের শিক্ষক সংগঠনের সদস্য। ফলে সাইকেল বিলিকে কেন্দ্র করে সিপিএম বনাম তৃণমূল এবং আরএসপির শিক্ষক সংগঠনের মিলিত দ্বন্দ্বে এলাকার রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রধান শিক্ষক সন্তোষ পাল বলেন, “ভোটের আগে তড়িঘড়ি সাইকেল বিলি করায় কিছু ভুল হয়ে থাকতে পারে। তবে এ বার নিয়ম মেনেই সব করা হবে।” |