পঞ্চায়েত বা পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা না নেওয়ায় দল বেঁধে লাঠি, ঝাঁটা হাতে অভিযানে নেমে একের পর এক অবৈধ মদের আসর গুঁড়িয়ে দিলেন মহিলারা। তার আগে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে স্থানীয় কর্মাধ্যক্ষের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। সোমবার রাতে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের বোড়ল এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ, চায়ের দোকান, মুদি দোকানের আড়ালে এলাকা জুড়ে রমরমিয়ে চলছিল অবৈধ মদের আসর। দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে ওই সমস্ত আসর চলার পরও পুলিশ, প্রশাসন ব্যবস্থা না নেওয়ার পর প্রকাশ্যেই গজিয়ে উঠতে শুরু করে নিত্যনতুন আসর। মাতাল ও মাদকাসক্তদের অত্যাচারে পথ চলাই দায় হয়ে পড়ে মহিলাদের। প্রতিটি ঘরেই শুরু হয় অশান্তি। পরিস্থিতির কথা স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তাদের পাশাপাশি পুলিশকে জানিয়েও লাভ হয়নি। ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা ১ ঘণ্টা ধরে কর্মাধ্যক্ষের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানোর পর লাঠি, ঝাঁটা নিয়ে নিজেরাই আসর ভাঙার অভিযানে নামেন। ভেঙে দেন ৫টি স্থায়ী মদের আসর। ভাঙচুরে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেও অবশ্য শেষ রক্ষা হয়নি ওই সংমস্ত আসরের মালিকদের। দোকান ছেড়ে গা ঢাকা দেন তারা। খবর পেয়ে ছুটে যায় পুলিশও। তাঁদের সামনেই প্রমীলা বাহিনীর রোষের মুখে গুঁড়িয়ে যায় একের পর এক আসর। ক্ষুব্ধ মহিলারা আটক করা মদের বোতল পুলিশের সামনেই গুঁড়িয়ে দেন। মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “জেলা জুড়েই অবৈধ মদের আসর ভাঙতে অভিযান চলছে। শুধু পুলিশ ও প্রশাসন দিয়ে মদ ও গাঁজার বেআইনি কারবার বন্ধ করা সম্ভব নয়। মহিলারা ভাল কাজ করেছেন। এ ধরনের আসর থাকলে তা ভাঙা হোক, সেটা আমরাও চাই। পুলিশ সবরকম সাহায্য করবে।” হরিশ্চন্দ্রপুর-২ বিডিও সজল তামাং বলেন, “বহু এলাকায় মহিলারা দল বেঁধে এ ধরনের অভিযান চালিয়ে অবৈধ আসর ভাঙছেন! ওখানেও মহিলারা ভাল কাজ করেছেন।” এলাকার অলকা দাস, পারুল দাসরা বলেন, “জীবন বিষিয়ে উঠেছিল। আসক্ত পুরুষরা আয়ের সবটাই ওই আসরে খরচ করে ফেলত। সবাই হাত গুটিয়ে বসেছিল। তাই বাধ্য হয়ে পথে নামতে হয়েছে।” |