গ্রাম পঞ্চায়েতের টাকায় কেনা টিন সিপিএমের প্রাক্তন প্রধানের বাড়িতে মজুত রাখা হয়েছে অভিযোগে সিপিএম এবং তৃণমূল কংগ্রেস গোলমালের উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহারের চিলকিরহাট এলাকায়। সোমবার রাতে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিপিএমের চিলকিরহাট লোকাল কমিটির অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেন একদল ক্ষুব্ধ জনতা। ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সিপিএমের অভিযোগ, তালা ঝুলিয়েছেন তৃণমূলের সমর্থকেরাই। পরে পুলিশ গিয়ে বেশ কিছু টিন উদ্ধার করে আনে। মঙ্গলবার সকালে পুলিশের হস্তক্ষেপে তালা খোলা হয় সিপিএমের অফিসের। দু’ পক্ষের চাপান উতোরে এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। চিলকিরহাটের প্রাক্তন সিপিএম প্রধান পরেশ রায় বলেন, “দলের শিলখুড়িবস শাখা অফিস তৈরির জন্য কর্মীদের চাঁদায় টিন কেনা হয়। আমাদের দল ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া কর্মীরা তা নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে বাড়িতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল। পুলিশকে খবর দিয়েছি।” পুলিশ জানায়, চিলকিরহাটের প্রাক্তন প্রধান সিপিএম নেতার বাড়িতে রাখা ৪৩ টি টিন নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। টিন কেনার রসিদ যাচাই করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, গ্রাম পঞ্চায়েতের সরকারি অর্থে বিধানসভা ভোটের আগে ওই টিন কেনা হয়। ভোট কিনতে তা বিলি করার ছক কষা হলেও সিপিএম নেতারা তা করতে পারেননি। সম্প্রতি অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার আগে ওই সমস্ত টিন প্রাক্তন প্রধানের বাড়িতে মজুত করে রাখা হয়েছিল। কোচবিহার-১ ব্লে তৃণমূল সভাপতি খোকন মিয়াঁ বলেন, “পঞ্চায়েতের টাকা খরচ করে কেনা টিন দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করতে না পেরে তা প্রাক্তন প্রধানের বাড়িতে রাখা হয়েছিল। সে ব্যাপারে তদন্তের দাবিতে আমাদের কিছু লোক ওই বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায়। সিপিএম নজর ঘোরাতে নিজের অফিসে তালা ঝুলিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে।” সিপিএমের কোচবিহার দক্ষিণ জোনাল কমিটির সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য বঙ্কিম পালের দাবি, একটি শাখা অফিস তৈরির জন্য টিনগুলি কিনে প্রাক্তন প্রধানের বাড়িতে রাখা হয়েছিল। এ নিয়ে হইচই করে দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝোলায় তৃণমূলীরা। ওরা অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইছে। |