হাসপাতালের আধুনিকীকরণের কাজের জন্য ন্যাশনাল রুরাল হেলথ মিশনের (এনআরএইচএম) তরফে প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকার অনুমোদন মিলেছে। এর ফলে আসানসোল মহকুমা হাসপাতালে বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন সুপার নিখিল দাস।
সম্প্রতি মহকুমা হাসপাতালে ‘ট্রমা সেন্টার’ তৈরির কাজে হাত দিয়েছে পূর্ত দফতরের আসানসোল ডিভিশন। ইতিমধ্যে সাধারণ বিভাগের জন্য অর্থ অনুমোদিত হওয়ায় খুশি চিকিৎসক মহল। উল্লেখ্য, বেশ কিছু দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী এই হাসপাতালটিকে জেলা হাসপাতালে উন্নীত করার কথা ঘোষণা করেন। এই টাকায় সেই কাজও কয়েক ধাপ এগোবে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আশা। |
সুপার নিখিলবাবু জানান, প্রথমে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ঢেলে সাজানো হবে। এখন এই বিভাগে মাত্র দু’টি শয্যা আছে। তা বাড়িয়ে ৬টি করা হবে। এ ছাড়া জরুরি বিভাগটি রয়েছে খুব অল্প পরিসরে। আপৎকালীন চিকিৎসার উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই। তাই এই বিভাগ আরও বড় জায়গা নিয়ে তৈরি হবে। পরিকাঠামোরও উন্নয়ন হবে। সুপার নিখিলবাবু বলেন, “জরুরি বিভাগে এক সঙ্গে একাধিক রোগী এসে পড়লে এখন চিকিৎসকেরা হিমশিম খান। আধুনিকীকরণ হলে সমস্যা মিটবে।” মহিলা বিভাগের শয্যা সংখ্যাও বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি। খাতায় কলমে এখন মহিলা বিভাগে শয্যা সংখ্যা সাড়ে চারশো। কিন্তু পরিকাঠামোর অভাবে ২৮০টি শয্যায় রোগীদের রাখা যায়। সুপার জানান, টাকা এসে যাওয়ায় বাকি শয্যাগুলি পাতা হবে। সাজানো হবে শল্য ও প্রসূতি বিভাগও।
মহকুমা হাসপাতালের ব্ল্যাড ব্যাঙ্কটিকেও আধুনিকীকরণের জন্যও এনআরএইচএমের তরফে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা অনুমোদন করেছে। সুপার নিখিলবাবু জানান, ব্ল্যাড ব্যাঙ্ক যাতে ২৪ ঘণ্টা খুলে রাখা যায়, সেই রকম পরিকাঠামোর ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি, হাসপাতালের সব ক’টি ওয়ার্ডের দরজা, জানালা ও লোহার রেলিংয়ের গায়ে জাল বসানো হচ্ছে। রান্নাঘরটিও সাজানো হবে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, মাস দুয়েকের মধ্যে শিশু বিভাগের জন্য তৈরি ‘সিক নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট’ কেন্দ্রটি চালু হয়ে যাবে। এই বিভাগে ২০টি শয্যা রয়েছে। সর্বক্ষণের জন্য ৪ জন চিকিৎসক ও ১০ জন নার্স সেখানে থাকবেন। এই বিভাগের চিকিৎসক ও নার্সদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য দফতরের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল এই ইউনিটের কাজকর্ম ঘুরে দেখে গিয়েছে।
হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা মহকুমাশাসক সন্দীপ দত্ত জানান, হাসপাতালের পুলিশ মর্গটির উন্নতির জন্য আসানসোলের সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরীর সাংসদ কোটা থেকে ২৬ লক্ষ টাকা মিলেছে। পুরনো ভবনের একাংশের উন্নতি ও রোগীর আত্মীয়-পরিজনদের জন্য বিশ্রামকক্ষ গড়তে আরও এক কোটি টাকা অনুমোদনের আবেদন করা হয়েছে। |