দেড় বছরের এক শিশুর মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে কর্তব্যরত চিকিৎসককে বেধড়ক মারধর করলেন মৃতের আত্মীয়েরা। মঙ্গলবার সন্ধেয় জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে এই ঘটনার জেরে কয়েক ঘণ্টা বিক্ষোভও দেখায় উত্তেজিত জনতা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, জঙ্গিপুরের মিঠিপুরের বাসিন্দা সূর্য শেখ নামে ওই শিশুটিকে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ডান পায়ে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিত্তরঞ্জন সামন্ত নামে এক শিশু বিশেষজ্ঞ তাকে দেখে অবিলম্বে শল্য চিকিৎসককে দেখানোর পরামর্শ দেন। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ শল্য চিকিৎসককে ডাকা হলেও দুপুর পর্যন্ত তাঁর দেখা মেলেনি। |
অভিযোগ, বেলা ৩টে নাগাদ ওই শল্য চিকিৎসক হাসপাতালে এসে শিশুটিকে দেখে ‘অবস্থা খারাপ’ নিদান দিয়েই ফিরে যান। এর পরেও কার্যত কোনও চিকিৎসাই শুরু হয়নি ওই বাচ্চাটির। সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ ক্রমেই অবস্থার অবনতি হলে জরুরি বিভাগের শিশু বিশেষজ্ঞ চিত্তরঞ্জন সামন্ত তাকে দেখতে যান। ততক্ষণে সূর্যের মৃত্যু হয়েছে।
এর পরেই উত্তেজিত গ্রামবাসীরা চিত্তরঞ্জনবাবুর উপরে চড়াও হন বলে অভিযোগ। তাঁর মাথা ফেটে রক্ত পড়তে থাকে। চিত্তরঞ্জনবাবু বলেন, “সম্ভবত কোনও আঘাত থেকে পায়ে তার সেপটিসেমিয়া হয়ে গিয়েছিল। প্রথমে দেখেই তাই তাকে শল্য চিকিৎসকের কাছে পাঠাতে বলেছিলাম। কিন্তু তিনি অন্যত্র ব্যস্ত থাকায় আসতে দেরি হয়েছিল।” হাসপাতাল সুপার শাশ্বত মণ্ডল বলেন, “চিকিৎসায় গাফিলতি হয়েছে কি না তা দেখতে অবশ্যই তদন্ত করা হবে।” ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন সহকারী স্বাস্থ্য আধিকারিক (৩) তাপস রায়। তিনি বলেন, “চিকিৎসার গাফিলতিতেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে কি না তা তদন্ত করতে একটি কমিটি গড়া হচ্ছে।” রাতেও হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা থাকায় পুলিশি প্রহরা বসানো হয়েছে। |