সদ্যোজাত’র মৃত্যুর ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই চিকিৎসককে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামের লোক। সোমবার রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এগরা মহকুমা হাসপাতালে ওই চিকিৎসকদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ চলে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। মহকুমাশাসক, হাসপাতালের সুপার তদন্তের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এগরার মহকুমাশাসক রত্নেশ্বর রায় বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারকে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে রোগী কল্যাণ সমিতি বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।” এ দিন সুপার প্রিয়তোষ জানার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
সোমবার প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন এগরার কুর্দি গ্রামের বাসিন্দা নমিতা দাস। ওই দিন সকালে নমিতাদেবীকে পরীক্ষা করে গিয়েছিলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক হিমাদ্রী নায়েক। অভিযোগ, এর কিছুক্ষণ পর থেকে নমিতাদেবী যন্ত্রণায় ছটফট করেলও কোনও চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষা করতে যাননি। এমনকি জরুরি বিভাগে থাকা চিকিৎসক দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায়কে জানানো সত্ত্বেও তিনি প্রসূতিকে দেখতে যাননি। ডাকা হয়নি হিমাদ্রীবাবুকেও। অভিযোগ, রোগীর পরিবারের লোক বিক্ষোভ দেখালে সন্ধ্যার পর নমিতাদেবীকে দেখতে আসেন হিমাদ্রীবাবু। একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন নমিতাদেবী। জন্মের কিছুক্ষণ পরেই মৃত্যু হয় শিশুটির। এরপরই বিক্ষোভ শুরু হয়। নমিতাদেবী এবং তাঁর বাড়ির লোকের অভিযোগ, “আগে চিকিৎসক এসে পরীক্ষা করলে শিশুটি মারা যেত না। চিকিৎসকের গাফিলতির জন্যই এমনটা হয়েছে।”
হিমাদ্রীবাবু অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “প্রসবের সময় নিশ্বাস নিতে সমস্যা হওয়ায় শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। তাকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করা হয়েছিল। বিভিন্ন লক্ষণ দেখে যথা সময়েই প্রসব করানো হয়েছে। তাছাড়া হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী আমাকে কেউ ডাকেনি। খবর পেলে নিশ্চয়ই যেতাম।” অভিযুক্ত অন্য চিকিৎসক দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রোগীর আত্মীয়েরা কেউই আমাকে সন্ধ্যার আগে কিছু জানাননি। আমায় বিষয়টি যখন জানানো হয়েছিল হিমাদ্রীবাবু ততক্ষণে হাসপাতালে চলে গিয়েছেন।” |