টুকরো খবর
হাসপাতাল পরিদর্শনে বিধায়ক
বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক্স-রে করানোর জন্য দীর্ঘ দিন ধরে রোগীদের অপেক্ষা করাতে হয়। এ অভিযোগ দীর্ঘদিনের। মঙ্গলবার বিধায়ক কাশীনাথ মিশ্রকে সামনে পেয়ে সেই অভিযোগই করলেন রোগীরা। অভিযোগ জানাতে পিছিয়ে ছিলেন না চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরাও। চিকিৎসকেরা জানালেন, স্ত্রী রোগ ও প্রসূতি বিভাগে চিকিৎসক কম। ফলে রোগীর চাপ বড়লেও সে তুলনায় পরিষেবা দেওয়া যাচ্ছে না। চিকিৎসকদের শৌচাগার পর্যাপ্ত নয়। নতুন একটি শৌচাগার তৈরি করে দেওয়ার তাঁরা দাবি জানান। স্বাস্থ্যকর্মীরা জানালেন, চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর বহু শূন্য পদ পড়ে রয়েছে। তাঁরা বিধায়কের কাছে ওই পদগুলি পূরণ করার আর্জি রাখেন। বিধায়কের সঙ্গে এ দিন হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে ‘নোট’ নেয় হাসপাতালের ডেপুটি সুপার নিমাইচাঁদ দেবনাথ। তৃণমূল বিধায়ক কাশীনাথ মিশ্র বলেন, “সবার সঙ্গে কথা বলে সমস্যাগুলি জেনেছি। বাম আমলে স্বাস্থ্য পরিষেবা তলানিতে এসে ঠেকেছে। রাজ্যের আর্থিক অবস্থা খারাপ। তার মধ্যেও নতুন এক্স-রে মেশিন কেনা-সহ কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলেছি। আমিও স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কথা বলব।” পরে তিনি হাসপাতাল সুপার পঞ্চানন কুণ্ডুর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেন। সুপার বলেন, “বিধায়ক সরেজমিনে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার খোঁজ নেওয়া আমরা খুশি। আমরা সমস্যগুলি মেটানোর চেষ্টা করছি। তিনিও ব্যক্তিগতভাবে একই চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন।”

তরুণীর মৃত্যু, ন্যাশনালে মার চিকিৎসকদের
আবার চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ। আবার রোগিণীর মৃত্যু। এবং আবার চিকিৎসকদের মারধর। মঙ্গলবার রাতে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওই ঘটনার পরে নিরাপত্তার দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারেরা কর্মবিরতির হুমকি দেন। কর্মবিরতি না-করার অনুরোধ জানিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত হাসপাতাল-কর্তৃপক্ষ দফায় দফায় চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। কিন্তু সমাধানসূত্র বেরোয়নি। জুনিয়র ডাক্তারেরা বলেছেন, নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। বেনিয়াপুকুর থানায় অভিযোগ করেছেন তাঁরা। রাতে শিরিন তনবির (১৯) নামে এক অগ্নিদগ্ধ তরুণীকে হাসপাতালে আনা হয়। আত্মীয়দের অভিযোগ, তাঁকে জরুরি বিভাগে ফেলে রাখা হয়। চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়নি। তিনি মারা যান। শিরিনের ভাই এবং অন্য কিছু যুবক চিকিৎসকদের মারধর করেন বলে অভিযোগ। সুপার পার্থ প্রধানের বক্তব্য, জরুরি বিভাগে রোগিণী এসেছেন রাত ৯টা ২৩ মিনিটে। আর চিকিৎসা শুরু হয়েছে ৯টা ২৬ মিনিটে। সিসিটিভিতে সব ফুটেজই আছে। তিনি বলেন, “প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ইমার্জেন্সির ডাক্তার সার্জনকে ডাকতে যাচ্ছিলেন। তখনই মারধর শুরু হয়।” রোগিণীর স্বজনদের পাল্টা অভিযোগ, চিকিৎসার কথা বলায় ডাক্তারেরাই তাঁদের মারতে শুরু করেন।

হাসপাতালের ভুল
এক রোগীকে ছুটির পর অন্য রোগীর প্রেসক্রিপশন এবং ডিসচার্জ সার্টিফিকেট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার কোচবিহারের এমজেএন হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটেছে। এই নিয়ে রোগীর আত্মীয়েরা হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহারের আমবাড়ির চন্দ্রনাথ রায় রক্তাল্পতার সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। ছুটির সময় তাঁকে আক্তার আলি মিঁয়া নামে অন্য এক রোগীর ডিসচার্জ সার্টিফিকেট এবং প্রেসক্রিপশন দেওয়া হয়। ভূলবশত ঘটনা ঘটেছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন সুপার কল্যাণ দাস।

চক্ষু-শিবির
পুরুলিয়ার বোরো থানার জামতোড়িয়ায় একটি চক্ষুরোগ নির্ণয় শিবির হয়েছে। সেখানে প্রায় ২০০ জনের চক্ষু পরীক্ষা করা হয় বলে সংস্থার দাবি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.