|
|
|
|
জামিন নন্দীগ্রামের সেই তিন সিপিএম সমর্থকের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক ও হলদিয়া |
‘নিখোঁজ-কাণ্ডে’ জড়িত সন্দেহে ধৃত নন্দীগ্রামের তিন সিপিএম সমর্থক জামিন পেয়ে গেলেন। রাতভর জেরা করেও তাঁদের হেফাজতে চায়নি সিআইডি। মঙ্গলবার পুলিশ নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ পেশ করতে না পারায় জামিনের নির্দেশ দেন হলদিয়া মহকুমা আদালতের বিচারক।
তবে তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে তিন সমর্থককে গ্রেফতার করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সিপিএমের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নেতৃত্ব। দলের প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ বলেন, “তৃণমূল কর্মীরা মারধর করে আমাদের ৩ সমর্থককে পুলিশের হাতে তুলে দিল। আর পুলিশও অকারণে তাদের গ্রেফতার করল। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে ওখানে আইনের শাসন নেই।” মহিষাদলের সিআই শুভঙ্কর দে বলেন, “ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির মিছিলে সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহেই ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।”
রবিবার রাতে তেখালি বাজারের কাছে ওই তিন সিপিএম সমর্থককে ধরে মারধরের পরে তৃণমূল কর্মীরা রাতভর গোকুলনগর পঞ্চায়েতের উঠোনে বসিয়ে রেখেছিল বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে হলদিয়ার এসডিপিও অমিতাভ মাইতি বলেন, “প্রহৃতদের পরিবারের লোকেরা নির্দিষ্ট কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাননি।”
নন্দীগ্রামে নিখোঁজ-কাণ্ডের তদন্তে খেজুরির আমড়াতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যায় সিআইডি-র দল। ২০০৭ সালের ১০ নভেম্বর কমিটির মিছিলে যোগদানকারী প্রায় ৪০০ জনকে ওই স্কুলে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এ দিন স্কুলের শিক্ষক ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন সিআইডি অফিসাররা। তদন্তে নেমে সিআইডি খেজুরির ৩ নৌকা মাঝিকে জেরার পরে নৌকার মালিক তথা সিপিএমের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান অজিত বরকে ধরে। অজিতবাবু সিআইডি-র হেফাজতে রয়েছেন।
মঙ্গলবার তমলুকে আসা লক্ষ্মণবাবুকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই নন্দীগ্রামে সিআইডি তদন্ত হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “২০০৭ সালের ৩ জানুয়ারি থেকে নন্দীগ্রাম-সহ পূর্ব মেদিনীপুরে যে সব হিংসার ঘটনা ঘটেছে, আমরা সব ক’টির বিচারবিভাগীয় তদন্ত চাই।”
তৃণমূলের নেতা মামুদ হোসেন পাল্টা বলেন, “হাইকোর্টের নির্দেশে সিআইডি তদন্ত করছে। এর মধ্যে রাজনীতি নেই।” |
|
|
|
|
|