|
|
|
|
এ বার বইয়ে সৌরভকে আক্রমণ গ্রেগের |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁর আক্রমণ চালু রেখেছেন গ্রেগ চ্যাপেল। এ বার তাঁর আত্মজীবনী ‘ফিয়ার্স ফোকাস’-এ সৌরভের বিরুদ্ধে মারাত্মক সব অভিযোগ করেছেন ভারতের প্রাক্তন কোচ। গ্রেগ লিখেছেন, অধিনায়ক হিসেবে সৌরভ মাঠের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতেন। প্রাক্তন অধিনায়কের বিরুদ্ধে চোটের ভান করার অভিযোগ তুলতেও ছাড়েননি। ২০০৫-এ বোর্ডকে পাঠানো সেই মহাবিতর্কিত ই-মেলেও যা তিনি লিখেছিলেন। আরও লিখেছেন, সৌরভকে দলে ফেরানোর সিদ্ধান্ত যতটা না ক্রিকেটীয় ছিল তার চেয়েও বেশি ছিল রাজনৈতিক। নির্বাচকদের মধ্যে নাকি একটা ‘ডিল’ হয়েছিল।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সৌরভের প্রত্যাবর্তনের সময় দিলীপ বেঙ্গসরকর ছিলেন জাতীয় নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান। এ দিন বেঙ্গসরকরের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি উত্তেজিত ভাবে বললেন, “কে না কে নিজের বইতে কী লিখেছে তা নিয়ে আমাকে মন্তব্য করতে হবে কেন?” কিন্তু এটা তো ভারতীয় নির্বাচকদের বিরুদ্ধেও একটা বড় অভিযোগ। প্রাক্তন নির্বাচক-প্রধান হিসেবে আপনার প্রতিক্রিয়া কী? বেঙ্গসরকর বললেন, “এখন দেখছি, যে যা পারছে নিজের বইতে লিখে দিচ্ছে। গ্রেগের বইটাও তো বিক্রি করতে হবে।” তার পর যোগ করলেন, “আমি নির্বাচক হিসেবে কী করেছি না করেছি, দেশের মানুষ দেখেছে। ক্রিকেটভক্তরা দেখেছে। নিজের বইতে কে কী লিখল তার উপর প্রতিক্রিয়া দিতে চাই না।” |
|
সৌরভকে যেমন আক্রমণ করেছেন, তেমনই মহেন্দ্র সিংহ ধোনির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে গ্রেগ লিখেছেন, মাঠের মধ্যে কী চলছে সেটা জানার দরকার হলে তিনি সব সময় ধোনির উপর নির্ভর করতেন। কারণ ভারতীয় দলের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাটা এমন ছিল যাতে তরুণ ক্রিকেটারেরা কিছু বলারই সাহস পেতেন না। গ্রেগ লিখেছেন, ‘মনে করা যাক সচিন তেন্ডুলকর কোনও ব্যাপারে বক্তব্য রেখেছে। তার পর কোনও তরুণ ক্রিকেটার কিছু বলতেই চাইবে না। ভারতীয় দলের সিস্টেমটাই এ রকম ছিল।’ তরুণ ক্রিকেটারদের অভয় জোগাতে তিনি বয়সভিত্তিক টিম মিটিং চালু করেছিলেন বলে দাবি করেছেন। একটা হত শুধু সিনিয়র ক্রিকেটারদের নিয়ে। একটা জুনিয়রদের। আর একটা মধ্যবর্তী বয়সের যাঁরা, তাঁদের নিয়ে।
গভীর রাতে সংবাদসংস্থাকে সৌরভ বলেন, “আমি বইটা পড়িনি। এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।” বইয়ে গ্রেগ দাবি করেছেন, কোনও তরুণ ক্রিকেটারকে কিছু বলতে বললে তিনি নাকি পাল্টা বলে উঠতেন, “অমুক বা তমুক সিনিয়রের সামনে আমি কিছু বলতে পারব না। তা হলে সারা জীবন ওরা আমার ওপর চটে থাকবে।” বিতর্কিত প্রাক্তন কোচের বয়ান অনুযায়ী, ধোনি এই সিঁটিয়ে থাকা তরুণ ক্রিকেটারদের দলে পড়তেন না। তাঁকে কিছু জিজ্ঞাসা করলে সঠিক তথ্য জানা যেত। “ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য সত্যিকারের আলোর রেখা ছিল ধোনি। আমার সারা জীবনে দেখা অন্যতম সেরা তরুণ ক্রিকেটার।”
এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে, কোচ হিসেবে গ্রেগ খুব বড় সমর্থক ছিলেন ধোনির। ওই সময় পূর্বাঞ্চল নির্বাচক ছিলেন প্রণব রায়। দলীপ ট্রফির ফাইনালে বাকি নির্বাচকদের ডেকে এনে দীপ দাশগুপ্তের জায়গায় ধোনিকে দিয়ে কিপিং করানোর কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রণব। যাতে নির্বাচকেরা ধোনির কিপিং দেখে তাঁকে জাতীয় দলে নিতে রাজি হন। প্রণব এ দিন আনন্দবাজারকে বললেন, “গ্রেগ অবশ্যই ধোনিকে নিয়ে বলেছিল। আমাকে তো অন্তত বলেইছিল যে, এই ছেলেটা ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ। এটাও বলেছিল যে, ধোনি ভবিষ্যতের ভারত অধিনায়ক।” |
|
|
|
|
|