|
|
|
|
সুবর্ণরেখায় সেতু তৈরির তোড়জোড় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
জেলায় এসে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো সুবর্ণরেখা নদীর উপর সেতু নির্মাণে তৎপর হল রাজ্য। প্রশাসন সূত্রে খবর, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্মাণকাজ শুরু ও এক বছরের মধ্যে তা শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই লক্ষ্যে সমীক্ষার কাজ শুরু করে দিল পূর্ত দফতর। আগামী দু’মাস ১৫ জনের একটি দল কেশিয়াড়িতে থাকবেন। থাকবেন পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়াররাও। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত বলেন, “কেশিয়াড়িতে থেকেই সমীক্ষা করবেন ইঞ্জিনিয়ারেরা। মুখ্যমন্ত্রী চান সেতু নির্মাণ দ্রুত শুরু এবং শেষ হোক। সমীক্ষার ক্ষেত্রেও যাতে ঢিলেমি না হয়, তাই এলাকায় থেকেই কাজ করবেন ইঞ্জিনিয়ারদের দলটি।”
যে কোনও নির্মাণকাজের ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ পর্ব হল সমীক্ষা। বিশেষত, চওড়া নদীতে সেতু তৈরির ক্ষেত্রে বেশ কিছু তথা জানা প্রয়োজন। যেমন, বন্যায় সময় কতটা জল ওঠে। দরকার মাটি পরীক্ষারও। সংযোগকারী রাস্তা তৈরির দিকটিও দেখতে হবে। তারপর নকশা তৈরি। মাঝে আর তিনটি মাস। তার মধ্যে সমীক্ষা ও নকশা তৈরির যাবতীয় কাজ শেষ করতে হবে।
সুবর্ণরেখায় এই সেতুর দাবি দীর্ঘদিনের। নদীর একদিকে রয়েছে কেশিয়াড়ি, বেলদা, নারায়ণগড়, দাঁতন, খড়্গপুর ও মেদিনীপুর। অন্য দিকে নয়াগ্রাম ব্লক। তারপরই ওড়িশা। বন্যার সময় সুবর্ণরেখা পেরিয়ে যাতায়াত করা যায় না। ফলে, বছরের একটা বড় সময় এই পথ বন্ধ থাকে। প্রায় ১০০ কিলোমিটার ঘুরপথে গোপীবল্লভপুর হয়ে সদর শহর মেদিনীপুরে যাতায়াত করতে হয়। তা ছাড়া, বেলদা, নারায়ণগড় ও দাঁতনের সঙ্গে নয়াগ্রামের দূরত্ব কম হওয়ায় এই পথে অনেকেই যাতায়াত করেন। অনেকে ওড়িশাও যান। কিন্তু সেতু না থাকায় বছরের প্রায় ৬ মাস এই পথ অচল থাকে। পরে কিছুটা মোরাম দিয়ে রাস্তা বানানো হয়, কিছুটা অংশে কাঠের সেতু তৈরি হয়। তার উপর দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে বাস চলাচল করে। এ জন্য জেলা প্রশাসনের প্রচুর ব্যয়ও হয়।
এই সব সমস্যার সমাধানেই সেতু তৈরির পরিকল্পনা। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ জন্য আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭০ কোটি টাকা। |
|
|
|
|
|