|
|
|
|
এটিএমে চুরির চেষ্টা শহরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
এটিএমের ভল্ট ভেঙে টাকা চুরির চেষ্টা করেছিল দুষ্কৃতীরা। তারা সফল না হলেও যন্ত্রটি বিকল হয়ে গিয়েছে। সোমবার রাতে মেদিনীপুর স্টেশনে পরপর দু’টি এটিএম কাউন্টারে এই ঘটনা ঘটে।
এর মধ্যে একটি এটিএম কাউন্টারে রক্ষী থাকলেও সোমবার রাতে তিনি ছিলেন না। কিন্তু স্টেশনে রাতভর ট্রেন চলাচল করে। আরপিএফ, জিআরপি রয়েছে। তা সত্ত্বেও সকলের অগোচরে এই ঘটনা ঘটল কী ভাবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্টেট ব্যাঙ্কের এজিএম অমলেন্দু সরকার বলেন, “স্টেশনে এই ধরনের ঘটনা ভাবা যায় না। এটিএমের ভল্ট হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে খোলা যায় না। সেটা দুষ্কৃতীদের জানা ছিল না বলেই টাকা নিতে পারেনি। আঘাতের ফলে কেবল যন্ত্রটি বিকল হয়ে গিয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। |
|
মেদিনীপুর স্টেশন চত্বরের দু’টি ভাঙা এটিএম যন্ত্র। নিজস্ব চিত্র। |
মেদিনীপুর স্টেশনে তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম কাউন্টার রয়েছে। তার মধ্যে ইউকো ব্যাঙ্ক ও স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার এটিএম কাউন্টাকে চুরির চেষ্টা হয়। এটিএমের নীচে থাকে ভল্ট। ভল্ট খুলতে গেলে দু’টি স্তর রয়েছে। প্রথম স্তর চাবি দেওয়া থাকে। কিন্তু শক্ত কিছু দিয়ে আঘাত করলে তা খুলেও যায়। এক্ষেত্রে দু’টি কাউন্টারেই তা খুলতে পেরেছিল দুষ্কৃতীরা। কিন্তু তার পরের ধাপ খুলতে হলে ‘পাসওয়ার্ড’ জানতে হয়। যা ব্যাঙ্ককর্মীরা ছাড়া অন্য কেউ জানেন না। যেহেতু পাসওয়ার্ড ভেঙে টাকা চুরি যায়নি, সেহেতু ব্যাঙ্ককর্মীরা এই ঘটনায় জড়িত নয় বলেই মনে করছে পুলিশ। এটিএম কাউন্টারে গোপন ক্যামেরার রেকর্ড সংগ্রহ করা হচ্ছে। ক্যামেরা থেকেই দুষ্কৃতীরা কী ভাবে এসেছিল বা কারা জড়িত তা জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অন্য দিকে, দু’দিন ধরে ভোগান্তির পর মঙ্গলবার দুপুর থেকে শহরে এটিএম পরিষেবা সচল হয়েছে। কাউন্টারগুলিতে লম্বা লাইন পড়ে যায়। কিন্তু কেন এমন হল? এ নিয়ে অবশ্য নানা জনের নানা মত। কেউ জানাচ্ছেন, ‘লিঙ্ক’ না থাকার কারণে এই সমস্যা। কারও মতে, টাকা না থাকায় সমস্যা। ছুটির দিনে কেন এমন ঘটনা ঘটল, তার কোনও সদুত্তর নেই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছেও। |
|
|
|
|
|