|
|
|
|
সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষ, জখম ১২ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চন্দ্রকোনা |
ঘরছাড়া সিপিএম সমর্থকেরা গ্রামে ফেরার পর রাজনৈতিক সংঘর্ষ বাধল চন্দ্রকোনায়। সোমবার চন্দ্রকোনার ছোটমুইদা গ্রামে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে দু’পক্ষের ১২ জন জখম হন। এদের মধ্যে ৪ জন তৃণমূলকর্মীর আঘাত গুরুতর। তাঁরা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সংলগ্ন কালাকড়ি গ্রামে তৃণমূল একটি প্রতিবাদ সভা করে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশি টহল চলছে। উভয়পক্ষই থানায় মামলা করেছে।
বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই চন্দ্রকোনার বহু সিপিএম নেতা-কর্মী ঘরছাড়া। বন্ধ অধিকাংশ দলীয় কার্যালয়ও। সোমবার চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের বসনছড়া পঞ্চায়েতের বড়মুইদা ও ছোটমুইদা গ্রামে মোট ৬০ জন সিপিএম সমর্থক ঘরে ফেরেন। পাশাপাশি দুটি গ্রামেই দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকা দলীয় কার্যালয়ও খোলেন তাঁরা। এমনকী, ছোটমুইদা গ্রামে মিছিলও করে সিপিএম। এরপরেই গণ্ডগোল শুরু হয়।
শাসক দল তৃণমূলের আভিযোগ, ছোটমুইদা গ্রামে প্রায় ৪০ জন সিপিএম কর্মী-সমর্থক ঘরে ফেরার পরেই লাঠি-লোহার রড নিয়ে চড়াও হয়। গণ্ডগোলের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ও আহতদের হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে। তৃণমূলের চন্দ্রকোনা ২ ব্লক সভাপতি অমিতাভ কুশারীর অভিযোগ, “আমরা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে ঘরছাড়াদের ফেরানোর ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু সোমবার ওই দুটি গ্রামে সিপিএমের লোকেরা ঘরে ফিরেই আমাদের কর্মীদের মারধর শুরু করে। দলের ৪ জন গুরুতর জখম হয়েছেন। বিষয়টি থানায় লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।”
অন্য দিকে, সিপিএমের চন্দ্রকোনা জোনাল কমিটির সম্পাদক গুরুপদ দত্ত বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আমাদের শ’তিনেক সমর্থক ঘরছাড়া। এখনও প্রতিদিন বিভিন্ন গ্রামে দলীয় কর্মীদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। সোমবার ওই দুটি গ্রামে বেশ কিছু ঘরছাড়া কর্মী ফেরার পরই তৃণমূলের বাহিনী মারধর শুরু করে। দলের ৫ জন জখম হয়েছেন। বাকিদের ফের গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে ওরা।” চন্দ্রকোনার ওসি শীর্ষেন্দু দাস জানান, উত্তেজনা থাকায় এলাকায় পুলিশি টহল চলছে। |
|
|
|
|
|