অবিলম্বে পড়ুয়াদের ভর্তি নেওয়া ও পঠন-পাঠন চালু করার দাবিতে পথ অবরোধ করল বীরভূমের বেশ কয়েকটি আদিবাসী সংগঠন। মঙ্গলবার বোলপুরের গোপালনগরের কাছে বোলপুর-ইলামবাজার রাস্তায় অবরোধ হয়। বেলা ১১টা নাগাদ ইলামবাজারের বিডিও অবরোধস্থলে গিয়ে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় অবরোধ উঠে যায়।
বিডিও অনিরুদ্ধ নন্দী বলেন, “কাঁকুটিয়া এলাকায় একটি স্কুলে পঠনপাঠন চালু করার দাবিতে অবরোধ করেছিলেন আদিবাসীদের বিভিন্ন সংগঠন। বোলপুর মহকুমাশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অবরোধ উঠে যাওয়ায় যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।”
|
ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী। |
জেলা আদিবাসী গাঁওতার সম্পাদক সুনীল সোরেনের দাবি, “পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত তফশিলি জাতি, উপজাতি ও অনুন্নত সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য বোলপুর ব্লকের রাইপুর-সুপুর পঞ্চায়েতে একটি স্কুল নির্মাণ হয়। কিন্তু পড়ুয়াদের ভর্তি করা বা পঠনপাঠন চালু করা হয়নি। ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনও আমলই দিচ্ছেন না। তাই দাবি আদায়ে শেষ পর্যন্ত এই পথে হাঁটতে হয়েছে।” বাসিন্দারা জানান, ওই স্কুল চালু হলে শুধু বোলপুর মহকুমার চারটি ব্লকই নয়, বর্ধমান জেলার ভেদুয়া, আউশগ্রাম এলাকার অনগ্রসর শ্রেণির পড়ুয়ারা উপকৃত হবে। ২০০৯-এর ২১ জানুয়ারি তৎকালীন অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী যোগেশ বর্মন কাঁকুটিয়াতে ওই একলব্য আবাসিক স্কুলের শিলান্যাস করেছিলেন। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে এই স্কুল হয়েছে। তবে এ দিন অশান্তির আশঙ্কায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন ছিল। বোলপুরের মহকুমাশাসক প্রবালকান্তি মাইতি বলেন, “সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করব। কোন জায়গায় বিষয়টি রয়েছে আলোচনা করা হবে।” |