|
|
|
|
৭ দিনের পুলিশ হেফাজত জয়দেব ও দুই সঙ্গীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
জনগণের কমিটির মুখপাত্র এবং মাওবাদী-স্কোয়াড সদস্য সন্দেহে ধৃত জয়দেব মাহাতো এবং তাঁর দুই সঙ্গীকে ৭ দিন পুলিশি-হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। শুক্রবার ভোরে ঝাড়গ্রামের চাকুয়া থেকে জয়দেব-সহ ৩ জনকে ধরেছিল যৌথ বাহিনী। খুন, রাষ্ট্রদ্রোহ, তোলাবাজির মোট ৪টি মামলায় শনিবার ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে হাজির করানো হয় জয়দেবকে।
আদালতে সরকারপক্ষ জানায়, গত জানুয়ারিতে বেলিয়াবেড়ার চাঁদুডিহি গ্রামে সিপিএম নেতা বুধুরাম হেমব্রম খুন, গত মার্চে বেলিয়াবেড়ার মহুলি গ্রামে পুলিশ-কর্মী সরকার হেমব্রমকে খুন-অপরহরণ এবং গত এপ্রিলে ঝাড়গ্রামের ঘৃতখাম গ্রামে পার্শ্বশিক্ষক প্রবোধ মাহাতো খুনের মামলায় মূল অভিযুক্ত জয়দেব। এর মধ্যে দু’টি মামলায় গ্রেফতারি
জয়দেব মাহাতো।
ছবি: দেবরাজ ঘোষ |
পরোয়ানাও রয়েছে তাঁর নামে। জয়দেবের সঙ্গে ধৃত শান্তনু মাহাতো ও অপূর্ব ভক্তাকে শুধু প্রবোধ মাহাতো খুনের মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে আদালতে হাজির করানো হয়। জয়দেব-সহ ৩ জনকে ১০ দিন নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিশ।
অভিযুক্তদের আইনজীবী সুমন সেন দাবি করেন, মিথ্যা অভিযোগে জড়ানো হয়েছে ৩ জনকে। শান্তনু ও অপূর্বর নামও নেই প্রবোধ-খুনের এফআইআর-এ। শুক্রবার শান্তনুর গাড়িতে জয়দেবকে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে শান্তনু-অপূর্বকে থানায় আনা হয়। যৌথ বাহিনীর মারে জয়দেব হাঁটাচলা করতে পারছেন না বলেও অভিযোগ করেন সুমনবাবু। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে জয়দেবকে পর্যবেক্ষণও করেন বিচারক। শেষ পর্যন্ত ৩ জনকেই ৭ দিন পুলিশি-হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত এসিজেএম রোহন সিংহ। পুলিশি-হেফাজতে থাকাকালীন জয়দেবের নিয়মিত স্বাস্থ্য-পরীক্ষারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আদালত-কক্ষে ঢোকার আগে এ দিন জয়দেবও অভিযোগ করেন, গ্রেফতারের পরে তাঁকে মারধর করেছে যৌথ বাহিনী। |
|
|
|
|
|