না, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের রিপোর্ট নয়। এ ভাবেই ফিরে এসেছিল আর্সেনাল এবং ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। রুনিদের কাছে আট গোল খাওয়ার ঠিক পরের ম্যাচেই সোয়ানসিকে হারিয়েছিল আর্সেনাল। আবার ম্যান সিটির হাতে ১-৬ চুরমার হওয়ার পরেই রুনিরা জিতেছিলেন এভার্টনের বিরুদ্ধে।
মুম্বই এফসি ম্যাচের চব্বিশ ঘণ্টা আগে মোহনবাগানের অনুশীলন শেষ করিয়ে সুব্রত ভট্টাচার্য-ও বললেন, “বিশ্বের সব লিগেই বড় ক্লাব কখনও কোনও ম্যাচে পাঁচ-ছ’গোল খায়। এটা এক-এক দিন হয়ে যায়।” পাঁচ গোল খেয়ে মোহনবাগানও সেই বড় ক্লাবগুলোর মতো পরের ম্যাচেই উঠে দাঁড়াতে পারবে কি না সেটা ঠিক হয়ে যাবে রবিবার পুণের মাঠে। যেখানে শনিবার সকালেই কলকাতা থেকে হাজির ক্লাবের অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত। কথা বলছেন সব ফুটবলারের সঙ্গে। আলাদা আলাদা করে।
মুম্বই এফসি মোটেই আহামরি নয়। কিন্তু মোহনবাগান বর্তমানে তো হাসপাতাল। মানসিক এবং শারীরিক দু’ভাবেই। তাই আশা-আশঙ্কা একই সঙ্গে ঘোরাফেরা করছে। এক দিকে অতিরিক্ত চেষ্টা করতে গিয়ে চোট না বাড়ানোর চিন্তা। অন্য দিকে তিন পয়েন্ট পেতেই হবে, এই মানসিকতা সম্বল করে মাঠে নামা। এবং দুইয়ের মধ্যে যোগসূত্র খোঁজার আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছেন সুব্রত। কিন্তু ঘুঁটি সাজাতে পারছেন না যেন। চোট-আঘাতের জন্য কোচ হিসাবে এ রকম সমস্যায় কতবার পড়েছেন তিনি? “আগে কয়েকবার এ রকম হয়েছে। মোহনাবাগানে থাকার সময়েই হয়েছিল। একবার এ রকম অবস্থায় খেলতে নেমে ফেড কাপ ফাইনালে হেরে গিয়েছিলাম মনে আছে।”
মুম্বই কোচ খালিদ জামিলের সম্বল গতি ও শক্তি। ফরোয়ার্ডে আছেন জাতীয় দলের অভিষেক যাদব। সঙ্গী নাইজিরিয়ান ফ্রাইডে। আরও দুই বিদেশিঅ্যাটাকিং মিডিও সুকোরে এবং ডিফেন্সে কিংস্লে। তবে ইস্টবেঙ্গলের কাছে এই মাঠেই তারা চার গোলের তিনটে খেয়েছিল ২২ মিনিটের মধ্যে। ম্যাচ থেকে হঠাৎ হঠাৎ দলের হারিয়ে যাওয়াটাই চিন্তায় রেখেছে জামিলকে।
যার ফায়দা তোলার লক্ষ্যে সুব্রতর অনুশীলনে এ দিনও মাঝমাঠে অনেকটা জায়গা নিয়ে দৌড়তে দেখা গেল জুয়েল রাজাকে। লেফট উইং হাফে হাদসন লিমা আর ব্যাকে নবি। বেশ সচল দেখাল বাঁ প্রান্ত। সুব্রত বহুক্ষণ ধরে ক্রস সেন্টারের চর্চা করালেন লিমাকে দিয়ে। জানিয়ে দিচ্ছেন ক’টা মিসপাস হল। ফুটবলারদের জন্য সুব্রতর ‘পেপ টক’, “ভাল খেলার চ্যালেঞ্জটা নিতেই হবে। প্রথমেই পারব কি না, ভেবে বসে থাকলে চলবে না।”
বল এখন ফুটবলারদের অর্ধে। বলা ভাল, এই মুহূর্তে ‘অ্যাটেনশন ডিফেন্ডার’। কড়া নজর থাকবে ধনরাজন, কিংশুক, মাসি, নবির উপর। তবে ডেম্পো ম্যাচের মতো মাঝমাঠে ‘ব্লকিং’ যদি অদৃশ্য থাকে তা হলে ফের সমস্যায় পড়তে পারে বাগান-ডিফেন্স। আবার এমনও হতে পারে যে, লিগের শুরুতেই পাঁচ গোল খাওয়ার দাবড়ানি ও সাবধানবাণীটাই শাপে বর হয়ে গেল সুব্রতর। |