|
|
|
|
|
এক ঝলকে... |
পৃথিবী
৩০ অক্টোবর - ৫ নভেম্বর |
|
স্ট্রাসবুর্গ/রামাল্লা আথেন্স ত্রিপোলি গানজি ওয়াশিংটন |
• রাষ্ট্রপুঞ্জে আসন পেলে দেশ হিসেবে প্যালেস্তাইনের স্বীকৃতি হবে পাকাপোক্ত। স্বভাবতই উঠে-পড়ে আটকাতে চাইছে আমেরিকা, ইজরায়েল। এ দিকে গত সপ্তাহে প্যালেস্তাইন ইউনেস্কো সদস্য হল। রাষ্ট্রপুঞ্জে যাওয়ার সম্ভাবনাও এতে বাড়ল। তড়িঘড়ি মার্কিন চাপ। ইউনেস্কো-র অর্থসহায়তা প্রত্যাহার করল তারা। শোনা গেল প্যালেস্তাইনের দাবির বিরোধিতা করবে ব্রিটেন, ফ্রান্স, কলম্বিয়াও। অর্থাৎ মিত্র ও তাঁবে দেশগুলিও এ বার মহাজনের পথেই চলবে। চিন্তিত প্যালেস্তাইন। চিন্তা রামাল্লায় বক্তৃতারত প্যালেস্তিনীয় বিদেশমন্ত্রী রিয়াদ আল মালিকির মুখেও। |
• মুয়াম্মর গদ্দাফির পুত্র সেফ আল-ইসলাম গদ্দাফি নাকি সাহারা মরুভূমিতে লুকিয়ে রয়েছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত এই পুত্রের এক সময় গদ্দাফির উত্তরাধিকারী হওয়ার কথা ছিল। তবে সাহারায় আত্মগোপনের খবরটিও যে পুরোদস্তুর নিশ্চিত নয়, বলাই বাহুল্য।
• চিনের দক্ষিণ-পশ্চিমে তিব্বতের গানজি অঞ্চলে এক তিব্বতি সন্ন্যাসিনী গায়ে অগ্নিসংযোগ করে আত্মহনন করলেন। উদ্দেশ্য: চিনের প্রবল পরাক্রান্ত স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে দুনিয়ার মনোযোগ আকর্ষণ। এই নিয়ে এ বছর ১১ জন তিব্বতি রাজনৈতিক প্রতিবাদে আত্মঘাতী হলেন।
• আপাতত আফগানিস্তান রণনীতিতে কোনও বড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই: জানাল মার্কিন সামরিক হেডকোয়ার্টার পেন্টাগন।
|
• কাঁটার মুকুট কাকে বলে, রোজ টের পাচ্ছেন গ্রিক প্রধানমন্ত্রী জর্জ পাপান্দ্রিউ। আরও এক দফা আস্থা ভোট পার করলেন তিনি, কিন্তু প্রতিশ্রুতি দিতে হল, সব রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে ক্ষমতা ভাগ করে নেবেন। পাপান্দ্রিউ বললেন, কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, প্রশ্ন সেটা নয়, দেশ বাঁচানোই আসল। সেই কাজটা অবশ্য দিনে দিনে কঠিনতর হচ্ছে। তিনিই কি এখন বিশ্বের সবচেয়ে বিপন্ন মানুষ? |
|
তেহরান |
ইরানের আকাশে মেঘ। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অন্তরালে তেহরানের শাসকরা পারমাণবিক বোমা তৈরির পথে এগিয়ে চলেছেন, পশ্চিম দুনিয়ায় ও ইজরায়েলে এই সংশয় প্রবল। এই সপ্তাহে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আই এ ই এ) এ বিষয়ে নতুন রিপোর্ট দেবে। ইতিমধ্যে শোনা যাচ্ছে, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির গোপন ঘাঁটিতে অতর্কিত আক্রমণের প্রস্তুতি জোরদার করছেন, জনমত তৈরি করছেন বিদেশমন্ত্রী (ছবি)। পাশাপাশি, ব্রিটেন নাকি প্রয়োজনে ইরান আক্রমণের মার্কিন উদ্যোগে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের বিদেশমন্ত্রী আলি আকবর সালেহি কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ইরানের সঙ্গে সংঘাতে যাওয়ার আগে আমেরিকা (এবং ইজরায়েল) যেন দু’বার ভাবে। |
লস এঞ্জেলস |
পঞ্চাশ বছরে পা দিল জেমস বন্ড। ১৯৬২ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘ডক্টর নো’। বন্ডের ভূমিকায় শঁ কনরি। অর্ধশতক পেরিয়ে মুক্তি পেতে চলেছে ২৩তম বন্ড-ছবি, স্কাই ফল। নায়কের ভূমিকায় ড্যানিয়েল ক্রেগ (ছবি)। বিশ্বদুনিয়ার হালচালের সঙ্গে পাল্টাচ্ছে বন্ড-দুনিয়াও। ব্রিটিশ সিক্রেট সার্ভিস-এর এই রমণীমোহন এজেন্ট গোড়ায় নজর রাখত কমিউনিস্ট দুনিয়ার ওপর। ঠাণ্ডা যুদ্ধের আবহে সেটাই ছিল গোটা দুনিয়ার (মানে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর ব্রিটেনের) প্রধান দুশ্চিন্তা। সোভিয়েতের পতনের পর বন্ড খানিক দিশেহারা হয়ে আজগুবি সব শত্রুকে ধাওয়া করে বেরিয়েছে বছর দশেক। সম্প্রতিকালে বন্ডের শত্রু কে, অনুমান করা জলবৎ তরলম্। (কে আবার? সন্ত্রাসবাদ!) |
দামাস্কাস |
মার্চ মাস থেকে তাঁর স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে দেশে প্রবল বিক্ষোভ চলেছে, তিনি সেই প্রতিবাদ দমনে নিরাপত্তা বাহিনীকে বে-লাগাম নামিয়ে দিয়েছেন, গুলি চলেছে, বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন, অজস্র নাগরিক গ্রেফতার হয়েছেন। পশ্চিম দুনিয়ার অনুরোধ, নিষেধাজ্ঞা, হুশিয়ারি, কিছুই তাঁকে নিরস্ত করেনি। শেষ পর্যন্ত উত্তর আফ্রিকা এবং পশ্চিম এশিয়ার বাইশটি দেশ নিয়ে গঠিত সংগঠন আরব লিগ-এর শান্তি প্রস্তাব মেনে নিলেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। প্রস্তাব বলছে, বন্দি প্রতিবাদীদের মুক্তি দেওয়া হবে, নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রত্যাহার করা হবে এবং সরকার বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। গদ্দাফির পরিণতি দেখেই কি আসাদ নরম হলেন? |
বোগোটা |
আমেরিকার ঠিক কোলের কাছে যে সব কমিউনিস্ট আন্দোলন আজও টিম টিম করে জ্বলছে, তার একটির বোধহয় নিবে আসার জোগাড় হল। কলম্বিয়া দেশটিতে ‘ফার্ক’ নামে যে অতিবামপন্থী গেরিলা বাহিনী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে আজ ৪৭ বছর ধরে, তার প্রধানতম নেতা আলফনসো কানো সামরিক অভিযানে নিহত হলেন। তিনিই সম্প্রতিকালে এই বাহিনীর প্রাণস্বরূপ ছিলেন। |
শেষ পাত |
ওই ভূত, বাপ রে! আজ হয়তো নিশ্চিন্দিপুরের হরিহর রায় তাঁর শিশুসন্তান অপুর স্লেটে মুয়ম্মর গদ্দাফির ছবি এঁকে ভয় দেখাতেন। অন্তত এ বার ‘হ্যালোউইন’ উপলক্ষে চিনের ব্যবসায়ীরা লিবিয়ার নিহত স্বৈরশাসকের মুখোশ বিক্রি করেছেন। হ্যালোউইন খ্রিস্টীয় দুনিয়ার উৎসব। বলা চলে ভয় পাওয়ার এবং ভয় দেখানোর উৎসব। ভূতের গল্প, হরর ফিল্ম, বিকট সাজ, ভয়ের মুখোশে সকলের হাড় হিম করে দেয়, প্রতি বছর ৩১ অক্টোবর। চিরাচরিত ভূতপ্রেতে মন ওঠে না, ক্রমে ক্রমে ওসামা বিন লাদেন, সাদ্দাম হুসেনরা মুখোশের মডেল হয়েছেন। গদ্দাফিই বা বাকি থাকবেন কেন? |
|
|
|
|
|