আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের অধুনা হৃতগৌরব ভবনটির মুখ কোন দিকে, অভিজ্ঞ বঙ্গজন তাহা বিলক্ষণ জানেন। দলের রাজনৈতিক খেলার প্রতিভার ন্যায় এই বাড়িটিও পূর্বে বহুমুখী ছিল, বর্তমানে দ্বিমুখী হইয়াছে। একটি মুখ চিনের দিকে, অন্যটি কিউবার দিকে। চিনে যাহা চলিতেছে, কোনও বিপ্লবের শাকেই তাহা ঢাকা কার্যত অসম্ভব। শেষ দুর্গ ছিল কিউবা। কিছু কাল হইল সে দেশে, থুড়ি, কাস্ত্রো পরিবারে, ক্ষমতার হস্তান্তর হইয়াছে। রাউল কাস্ত্রো সম্প্রতি জানাইয়া দিলেন, জমি-বাড়ি কেনাবেচায় আর কোনও রাষ্ট্রীয় বাধানিষেধ থাকিবে না। অর্থাৎ, সাম্রাজ্যবাদের পীঠস্থান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাহা হয়, কিউবার বিপ্লবী মাটিতেও তাহা হইবে বাজারের নিয়ম মানিয়া কেনাবেচা। এই দুঃসংবাদ সহ্য করিবার শক্তি ১৩ মে-র পূর্বে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের ছিল কি না, তাহা ভিন্ন বিতর্ক। কিন্তু ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতি’-তে মানাইয়া লওয়া এখন অভ্যাস হইয়া গিয়াছে। একটি পরামর্শ: আদর্শগত পিতৃভূমির অনুমোদন যখন পাওয়াই গিয়াছে, তখন আর বাধা কীসের? কলিকাতায় জমি-বাড়ির দাম এমনিতেই চড়া, মূল্যস্ফীতির চোটে তাহা আরও চড়িয়াছে। এই মওকায় অব্যবহারে জীর্ণ আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের বাড়িটির জন্য খরিদ্দার দেখিলে হয় না? |