কয়েক মাস পরেই উত্তরপ্রদেশে ভোট। তার আগে রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে মায়াবতী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন উত্তরপ্রদেশের এক উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তা। ফলাও করে বললেন দীর্ঘ চাকরি জীবনে রাজ্যে এমন দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার আর দেখেননি। বিভিন্ন সরকারি কাজকর্মে সরকারি আমলা ও পুলিশকর্তারা কোটি কোটি টাকা নয়-ছয় করেছেন বলে দাবি তাঁর। বেগতিক দেখে তাঁকে টানা-হেঁচড়া করে তুলে নিয়ে যায় প্রশাসন। ভর্তি করে দেওয়া হয় মানসিক হাসপাতালে।
অস্বস্তিতে পড়ে যাওয়া মায়াবতী সরকারের উপর আক্রমণ শানাতে আসরে নেমে পড়েছে কংগ্রেস। রাজ্যের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাহস দেখিয়ে মুখ খোলার জন্য ওই পুলিশকর্তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক দিগ্বিজয় সিংহ। অভিযোগকারী পুলিশকর্তা উত্তরপ্রদেশ দমকল বিভাগের ডিআইজি দেবেন্দ্র দত্ত মিশ্র। ২ বছর পরই তাঁর অবসর নেওয়ার কথা। আজ সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, “এই শুক্রবারও দমকল বিভাগের যন্ত্রপাতি কেনার কয়েকটি ফাইল এসেছিল। তাতে হিসেবের গরমিল দেখে স্তম্ভিত হয়ে যাই। অথচ সে সব ফাইল সই করে দেওয়ার জন্য উপর মহল থেকে আমাকে ক্রমাগত চাপ দেওয়া হচ্ছে।” এ সব গরমিল সম্পর্কে ইতিমধ্যেই সরকারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন বলে জানান মিশ্র। কিন্তু তাঁর স্থির বিশ্বাস সরকার কিছুই করবে না। উপর মহলের প্রভাব খাটিয়েই সাহারানপুর খুনের অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে দাবি করেন মিশ্র। নিজেকে অণ্ণার সমর্থক বলে জানান ওই অফিসার। বৈঠক শেষের পরই চলে আসেন লখনউয়ের ডিআইজি ডি কে ঠাকুর। টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হয় মিশ্রকে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখ্য সচিব দীপক কুমার বলেন, “এক মাস ধরেই অবসাদে ভুগছেন উনি। ডাক্তাররা ওঁকে মানসিক হাসপাতালে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।”
সহকর্মীরা টেনে নিয়ে যাওয়ার সময়ও মিশ্র চিৎকার করছেন, “মায়াবতী সরকার আমাকে মেরে ফেলবে!” |