প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের একটি শপিং মলে শনিবার সকালে বোমাতঙ্ক ছড়ায়। ওই মলে বোমা রাখা রয়েছে বলে ফোন পেয়ে লালবাজারের বম্ব স্কোয়াড পুলিশ কুকুর এবং বোমা নিষ্ক্রিয় করার যন্ত্রপাতি নিয়ে সেখানে যায়। মল খালি করে দেওয়া হয়। কিন্তু কোথাও বোমা মেলেনি।
পুলিশ জানায়, মল-কর্তৃপক্ষের কাছে শনিবার বেলা ১১টা ৩৮ মিনিটে একটি ফোন আসে। এক মহিলা কর্তৃপক্ষকে জানান, মলের ভিতর দু’টি বোমা রাখা রয়েছে। সেই ফোন পেয়ে মল-কর্তৃপক্ষ যাদবপুর থানায় ঘটনাটি জানান। যাদবপুর থানার পুলিশ লালবাজার কন্ট্রোল রুমে ফোন করে বম্ব স্কোয়াডের কর্মীদের ডেকে পাঠায়।
তখন কেনাকাটা করতে শপিং মলে ছিলেন হাজার পাঁচেক লোক। বোমা থাকার কথা জানতে পেরে দ্রুত মল খালি করে দেওয়ার জন্য মাইকে ঘোষণা করেন মল-কর্তৃপক্ষ। মলের ১৪০টি দোকানের কর্মীদেরও বাইরে চলে যেতে বলা হয়। মলের ভিতরের হলে সিনেমা দেখছিলেন অনেকে। তাঁদেরও বাইরে বার করে দেয় পুলিশ। |
চলছে তল্লাশি। শনিবার অশোক মজুমদারের তোলা ছবি। |
মলের একটি দোকানের ম্যানেজার মঙ্গলময় বিশ্বাস বলেন, “নিরাপত্তা রক্ষীরা আচমকা এসে বাইরে বেরিয়ে যেতে বলেন। অনেকে বলাবলি করছিল, মলে নাকি বোমা রাখা রয়েছে। আমরা দোকান খালি করে বাইরে চলে যাই।”
পুলিশ জানায়, বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা ‘স্নিফার’ কুকুর নিয়ে মলে পৌঁছয়। মলের নিজস্ব দু’টি ‘স্নিফার’ কুকুর ছিল। কাজে লাগানো হয় তাদেরও। চিরুনি তল্লাশি করা হয় দশ লক্ষ বর্গফুট এলাকার ছ’তলা মলটি। বেসমেন্টে গাড়ি রাখার জায়গাও তল্লাশি করে কুকুর। প্রায় দেড় ঘণ্টা এই নিয়ে টানাপোড়েন চলার পর দেড়টা নাগাদ বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা জানান, মলে বোমা বা বিস্ফোরক খুঁজে পাওয়া যায়নি। এর পরেই সকলকে মলে ঢোকার অনুমতি দেয় পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, যে নম্বর থেকে মলে ফোন করে বোমা থাকার কথা বলা হয়েছিল, সেই নম্বরটির খোঁজ মিলেছে। এ-ও জানা গিয়েছে, ফোনটি করা হয়েছিল বেহালা থেকে। সেই মহিলার খোঁজ শুরু হয়েছে। |