এ বার দেবাশিস দেবাংশীর বিরুদ্ধে সিউড়ি শহরের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার পড়ল।
সিউড়ি নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে ওই পোস্টারে দাবি করা হয়েছে, ইতিপূর্বে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ওঠা চিকিৎসা সংক্রান্ত অভিযোগগুলির তদন্ত করে সত্য উদ্ঘাটিত হয়নি। তাই এ বার সিউড়ি হাসপাতাল থেকে এক অন্তঃসত্ত্বাকে রেফার করা নিয়ে স্বাস্থ্য দফতর দেবাশিসবাবুর বিরুদ্ধে যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে তা বাতিল করে সিআইডি’কে দিয়ে তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে ওই পোস্টারে। তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কিছু বেনিয়মের অভিযোগও তোলা হয়েছে। শুক্রবার সকালে বীরভূম জেলাশাসকের কার্যালয়, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কার্যালয় ও সদর হাসপাতাল চত্বরে পোস্টারগুলি দেখা যায়।
নাগরিক কমিটির পক্ষে সিউড়ির উপপুরপ্রধান তথা সদর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য তৃণমূলের উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, “হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে প্রসূতিকে নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া, বন্ধ্যাকরণের পরে ফের গর্ভবতী হওয়া এবং নবজাতকের মৃত্যুর মতো বহু ঘটনায় দেবাশিসবাবু জড়িয়ে রয়েছেন। বহুবার তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও তিনি ছাড় পেয়ে গিয়েছেন।” |
দেবাশিসবাবু বলেন, “পোস্টার পড়ার খবর পেয়েছি। তবে তা দেখিনি। তাই এ ব্যাপারে কিছু বলব না।” জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক আশিস মল্লিক বলেন, “পোস্টারে পৃথক তদন্তের দাবি জানানো হলেও আমাদের কিছু করার নেই। এই তদন্ত কমিটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের কথা বললে তখন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।” এ দিন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র বলেন, “তদন্ত চলছে। যে মুর্হূতে চিকিৎসকের দোষ প্রমাণিত হবে, তখনই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” গত বুধবার রেখা বাউরি নামের দুবরাজপুরের এক আসন্ন প্রসবাকে সিউড়ি হাসপাতাল থেকে দেবাশিসবাবু বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ‘রেফার’ করেন। রোগিণীর পরিবার সিউড়ি হাসপাতালে রেখেই তাঁর চিকিৎসা করার জন্য বারবার অনুরোধ জানালেও দেবাশিসবাবু তাতে গুরুত্ব দেননি বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার পথে দুবরাজপুর থানার কাছে পথেই শিশুপুত্রের জন্ম দেন তিনি। দেবাশিসবাবুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রেখাদেবীর স্বামী আনন্দ বাউরি। দেবাশিসবাবুর বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ এনে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর তাঁকে শো-কজ করে। |