|
|
|
|
প্রতারণায় ফের ধৃত ১ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
মুম্বইয়ের বেসরকারি বিনিয়োগ সংস্থাটি একটিই বেসরকারি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে সমস্ত লেনদেন করেছে বলে জেনেছে পুলিশ। ওই ব্যাঙ্কের মাধ্যমে বহু চেক শিলিগুড়িতে বিলি হয়েছে। মুম্বইয়ের কোন অ্যাকাউন্ট থেকে ওই সমস্ত চেক ছাড়া হয়েছিল ও সেগুলি কারা, কোন অ্যাকাউন্টে জমা দিয়েছিলেন তার খোঁজ শুরু হয়েছে। যে সমস্ত চেক ভাঙানো যায়নি সেগুলি অভিযোগকারীরা অনেকেই পুলিশের জমা দিয়েছেন। সন্ধান শুরু হয়েছে ওই সংস্থা থেকে কমিশন হিসাবে পাওয়া গাড়ির। পুলিশ জানায়, শিলিগুড়িতে অন্তত ৩০ জন ছোট, বড় নানা মাপের গাড়ি বিলি হয়েছে। তদন্তকারী অফিসারেরা সেগুলির নম্বর এবং মালিকের নাম সংগ্রহ করেছেন। শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “প্রতারণার অভিযোগ ভাল ভাবে খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।” এই প্রতারণার ঘটনায় আরও একটি মামলা হয়েছে। প্রবীণ অগ্রবাল নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন, রাজীব ভদ্র-সহ ৬ জন তাঁকে মুম্বইয়ের ওই সংস্থায় বিনিয়োগের পরামর্শ দেন। বিনিয়োগের পরে তিনিও টাকা ফেরত পাননি। তবে অভিযোগ রাজীববাবু অস্বীকার করেছেন। শুক্রবার শিলিগুড়ির অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতে এই মামলার এক অভিযুক্ত রাজীব ভদ্রকে ফের হাজির করানো হয়। পুলিশে তাঁকে হেফাজতে নিতে আবেদন জানায়। রাজীবের আইনজীবী সুনীল সরকারের অভিযোগ, এর আগে প্রতারণার একটি মামলায় পুলিশ রাজীবকে হেফাজতে নেয়। এদিন ফের অন্য একটি মামলায় নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইছে। তদন্তে পরিচ্ছন্নতা থাকছে না। সরকারি আইনজীবীর পাল্টা দাবি, কী ভাবে তদন্ত হবে তা পুলিশের বিষয়। অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতের বিচারক সন্তোষ পাঠক রাজীবকে তিনদিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখার অনুমতি দেন। শিলিগুড়ি থানার এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, “রাজীব এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত। কী ভাবে টাকা তোলা হয়েছে ও কমিশন বিলি হয়েছে, তার অনেকটা উনি জানেন বলে সন্দেহ হচ্ছে। আর কারা এই প্রতারণার ঘটনায় জড়িত তাও সে জানে। সেগুলিই জানার চেষ্টা হবে।” এদিন শিলিগুড়ি জেলে গিয়ে তদন্তকারী অফিসাররা এই মামলায় ধৃত রামশা গণেশ সাহেবরাম চৌধুরী, রণবীর দাস এবং দেবব্রত পালকে জেরা করেন। |
|
|
|
|
|