শতাব্দী প্রাচীন জগদ্ধাত্রী পুজো ঘিরে আজও মাতেন গঙ্গাজলঘাটির লালপুরের বাসিন্দারা। তৎকালীন জমিদার লালবিহারী রায় এই পুজোর সূচনা করেছিলেন। কথিত রয়েছে, স্বপ্নাদেশ পেয়ে তিনি পুজো শুরু করেন। এখন অবশ্য তা একপ্রকার গ্রামের সবার পুজো হয়ে উঠেছে। শুক্রবার নবমীর দিন সেখানে তেমন উচ্ছ্বাসই দেখা গেল। পুজোর পাশাপাশি এখানে দু’দিন ধরে যাত্রাপালা হয়। |
রায় পরিবারের সদস্য সুধাময় রায় বলেন, “আমাদের পূর্বপুরুষেরা পুজো করে গেলেও এখন গ্রামের ষোলো আনা এই পুজোর দায়িত্ব সামলান।” গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা বিপত্তারণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “আগে গ্রামের যুবকেরা যাত্রা করতেন। এখন বাইরের যাত্রাদল আসে।” ছাতনার চণ্ডীদাস পল্লির সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজোও নজরকাড়া। পুজো কমিটির সদস্য রামকৃষ্ণ দেওঘরিয়া বলেন, “পুজো দেখতে বহু গ্রামের বাসিন্দা আসেন। মেলাও বসে।”
নবমীর দিন কয়েক হাজার বাসিন্দার পাত পড়ল পুরুলিয়ার কাশীপুরের শিয়ালডাঙা গ্রামের আচার্য পরিবারের জগদ্ধাত্রীপুজোতে। এখানকার পুজো প্রায় ১৪০ বছরের পুরনো। পরিবার সূত্রে জানা যায়, কাশীপুরের পঞ্চকোট রাজবংশের সভাপণ্ডিত হারাধন আচার্য (ভট্টাচার্য) পুজো শুরু করেছিলেন। কথিত রয়েছে, ১৯টি কন্যা সন্তানের পরে তিনি পুত্র সন্তানের বাসনায় জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু করেছিলেন। তাঁর সেই ইচ্ছা পূরণ হয়। |
এই পুজোয় গ্রামের সবাই সামিল হন। আশপাশের মণিহারা, রাঙামাটি, দুমদাপাহাড়ি, গোয়ালবেড়িয়া, জোড়শোল-সহ বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারাও আসেন। পরিবারের সদস্য তথা জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) অজয় আচার্য জানান, গ্রামের সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় এত মানুষকে প্রতি বছর প্রসাদ খাওয়ানো সম্ভবপর হচ্ছে।” অন্য দিকে, আদ্রা শহর প্রগতি ক্লাবের পুজোয় মেতে উঠেছে। এখানকার মণ্ডপ নজরকাড়া হয়। দক্ষিণভারতের মন্দিরের আদলে মণ্ডপ হয়েছে। |