দলীয় সমর্থক খুন হওয়ার পাঁচ দিন পরে সেই গ্রামে গিয়ে মহিলাদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্র। গত রবিবার বাঁকুড়ার জয়পুর থানার হিজলডিহা গ্রামে সিপিএম সমর্থক বলরাম সিংহ খুন হন। তাঁর বৌদি গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। পড়শিরদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। শুক্রবার বিকেলে সূর্যবাবু-সহ জেলা নেতৃত্ব নিহতের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে গ্রামে গেলে নিরাপত্তা দেওয়ার দাবিতে মহিলারা তাঁদের কার্যত ঘিরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সূর্যকান্তবাবু তাঁদের আশ্বাস দেন। |
খুনের ঘটনার পরেই সিপিএমের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে গলা মিলিয়ে সূর্যকান্তবাবু অভিযোগ করেছিলেন, তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করেছে। পুলিশ সেই রাতে তৃণমূলের এক ব্লকস্তরের নেতা-সহ ছ’জনকে গ্রেফতার করে। এ দিন সূর্যকান্তবাবু অভিযোগ করেন, “রাজ্য মন্ত্রীসভার এক মন্ত্রীর মদতে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। সেই মন্ত্রীর শাস্তি দাবি করছি।” এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা আবাসন মন্ত্রী শ্যাম মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “বিধানসভা ভোটে সিপিএমের পরাজয়ের পরে সূর্যবাবু এখন উল্টোপাল্টা কথা বলছেন।” সূর্যকান্তবাবুর সঙ্গে দলের মহিলা নেত্রী শ্যামলী গুপ্ত, দলের জেলা সম্পাদক অমিয় পাত্র, জেলাপরিষদের সভাধিপতি পার্থপ্রতিম মজুমদার-সহ কয়েকজন নেতা সেখানে গিয়েছিলেন। তাঁদের ঘিরে ধরে মহিলারা নালিশ করেন, “প্রতিদিনই মোবাইল ফোনে আমাদের দেখে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ভয়ে বাড়ির ছেলেমেয়েদের স্কুলেও পাঠাতে পারছি না।” তাঁরা সূর্যবাবুর কাছে শীঘ্রই স্থানীয় একটি পুলিশ চৌকির ব্যবস্থা করার দাবি জানান। তিনি দাবি মেটানোর চেষ্টা করার আশ্বাস দেন। তিনি আক্রান্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করা কথা বলেন। নিহতের মা’কে সান্ত্বনা দেন। পরে গ্রামের একটি গাছতলায় দলের কর্মীদের সাহস জুগিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের উপরে এই আক্রমণ নতুন নয়। সত্তরের দশকেও হয়েছিল। আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম। এই অবস্থা বেশিদিন থাকবে না। মানুষের সমর্থনেই আমরা ফের ঘুরে দাঁড়াবো।” |