মদের দোকান খোলা নিয়ে মার, ভাঙচুর |
একটি মদের দোকান খোলা নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তেতে ওঠে বসিরহাটের চৈতা পঞ্চায়েতের ঘোনা গ্রাম। গ্রামে মদের দোকান খোলা যাবে না বলে দাবি তোলেন গ্রামবাসীরা। মদ ব্যবসায়ী সুশান্ত গাইনের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। লুঠপাট করা হয় মদের বোতল ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। সুশান্তবাবু, তাঁর দুই সঙ্গী এবং গাড়ির চালককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর ধরে ওই গ্রামে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে মদের ব্যবসা চালু করার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন সুশান্তবাবু। সম্প্রতি তিনি মদ বিক্রির সরকারি লাইসেন্স পান। বৃহস্পতিবার গাড়িতে মদের বোতল নিয়ে দোকান খোলার জন্য গ্রামে যান। শুরু হয় গোলমাল। খবর পেয়ে আসেন কংগ্রেস নেতা সিরাজুল ইসলাম। তিনি জনতাকে শান্ত করে পুলিশে খবর দেন। সিরাজুল বলেন, “গ্রামবাসীরা চান না এলাকায় মদের দোকান করা হোক। যা ঘটেছে, তা নিন্দনীয়। ব্যবসায়ীর লুঠ হওয়া জিনিসপত্র উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে।” সুশান্তবাবু বলেন, “মদ বিক্রির প্রয়োজনীয় অনুমতিপত্র আমার রয়েছে। দোকানটি যে এলাকায় হবে, সেখানকার বাসিন্দাদেরও জানানো হয়েছে। তা সত্ত্বেও কিছু মানুষ এ দিন বাধা দিয়ে মারধর ও লুঠপাট করলেন।”
|
আগ্নেয়াস্ত্র রাখায় ধৃত ছাত্রের জামিন মঞ্জুর |
সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেফতার করা হয় কাকদ্বীপের বীরেন্দ্র বিদ্যানিকেতনের দশম শ্রেণির ছাত্র প্রীতম জানাকে। তাকে জেরা করে ওই রাতেই ভুতোমোল্লার পোল এলাকা থেকে বড়ু বাগ ওরফে নারায়ণ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, প্রীতম জানিয়েছে ওই আগ্নেয়াস্ত্রটি বড়ুই তাকে দিয়েছে। ধৃত বড়ুকে শুক্রবার কাকদ্বীপ আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাকে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। অন্য দিকে, প্রীতমকে গড়িয়ার জুভেনাইল আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে জামিন দেন। কোমরে ফাঁকা রিভলভার এবং পায়ের মোজায় ছুরি লুকিয়ে রেখে স্কুলে ক্লাস করতে গিয়ে বৃহস্পতিবার ধরা পড়ে যায় কাকদ্বীপের রথতলার বীরেন্দ্র মার্কেট এলাকার বাসিন্দা প্রীতম। প্রধান শিক্ষক দেবব্রত দাস এ নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশের দাবি, জেরায় ওই ছাত্রটি জানিয়েছে, কাকদ্বীপ স্টেডিয়াম মাঠে খেলতে গিয়ে বড়ুর সঙ্গে প্রীতমের আলাপ হয়। দিন পনেরো আগে প্রীতমের সঙ্গে বন্ধুদের ঝামেলা হয়। বিষয়টি স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে মিটিয়েও ফেলা হয়। দিন কয়েক আগে স্টেডিয়াম মাঠে বড়ুকে ঝামেলার কথা জানায় প্রীতম। তখন তাকে ওই আগ্নেয়াস্ত্রটি বড়ু দেয়।
|
দলীয় কার্যালয়ে হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুরে ব্যারাকপুর চিড়িয়ামোড়ের কাছে বি টি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকেরা। আধ ঘণ্টার অবরোধে যানজট হয়। স্থানীয় কংগ্রেস নেতা রাজেন্দ্র যাদব বলেন, “কিছু দিন আগে সদর বাজারের কাছে আমাদের দলীয় কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবাদ করেছি, পুলিশকে জানিয়েছি। কিন্তু কেউ গ্রেফতার হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে অবরোধ করি।” পুলিশ গিয়ে দোষীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। এ দিনই ঘোলার সাজিরহাটে সোদপুর-মধ্যমগ্রাম রোডে একটি অস্থায়ী দোকান ভাঙাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। ঘণ্টাখানেক অবরোধে নাকাল হন অফিস-ফেরত নিত্যযাত্রীরা। পুলিশ জানায়, রাস্তার ধারে একটি মিষ্টির দোকানের সামনে রোল ও চাউমিনের দোকান দিয়েছিলেন স্থানীয় মণিময় দাস। গত বুধবার মিষ্টির দোকানের মালিক মণিময়বাবুকে সরে যেতে বলেন। মণিময়বাবু বলেন, “আমাকে ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আজ দুপুরে আচমকা দোকান ভেঙে দেওয়া হয়। টাকাও চুরি করে নেওয়া হয়।” এর পরেই মণিময়বাবুর পাড়ার লোকেরা পথ-অবরোধ করেন। সামিল হন অন্য হকারেরাও। পুলিশ অবরোধ তোলে।
|
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু যুবকের |
ম্যাটাডরের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক মোটরবাইক আরোহীর। জখম হয়েছেন তাঁর বন্ধু। শুক্রবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঘটকপুকুরের জাগুলগাছির কাছে। মৃতের নাম লাল্টু মণ্ডল (২৪)। বাড়ি ভাঙড় থানার বোদরার নাওড়া গ্রামে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন লাল্টু তাঁর বন্ধু দীপু মণ্ডলকে নিয়ে মোটরবাইকে ঘটকপুকুর যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার পরে স্থানীয় লোকজন দু’জনকে নলমুড়ি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। চিকিৎসকেরা লাল্টুকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর বন্ধু ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি রয়েছেন।
|
এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ মিলেছে। শুক্রবার, খড়দহের নবোদয় পল্লিতে। মৃতা টুম্পা শিকদার (২১) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তাঁর পরিবার সূত্রে খবর, দুপুরে পরীক্ষার ফল দেখে টুম্পা জানতে পারেন, তিনি অকৃতকার্য হয়েছেন। হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। পুলিশ জানায়, বিকেলে ঘর থেকে তাঁর দেহ মেলে। |