|
|
|
|
জগদ্ধাত্রী পুজোয় মাতে ফলতার গ্রাম |
দিলীপ নস্কর • ফলতা |
গোটা রাজ্য যখন দুর্গাপুজোয় মাতে, এই গ্রামের মানুষের তখন কোনও হেলদোল নেই। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতার হাসিমনগর গ্রামের বাসিন্দারা তখন তাকিয়ে থাকেন জগদ্ধাত্রী পুজোর দিকে। এই পুজোকে কেন্দ্র করেই গ্রামের প্রধান উৎসব। প্রায় ৩০-৩৫টি জগদ্ধাত্রী পুজো হয় এখানে।
গ্রামে ঢুকতেই চোখে পড়ে নিউ সঙ্ঘ ক্লাবের পুজো। বিশাল আকারের মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি হয়েছে এখানে। কিছুটা দূরেই সবুজ সঙ্ঘের পুজোও জমজমাট। সেখানে ডাকের সাজের প্রতিমা। ইয়ং স্টাফ, যুবগোষ্ঠী ক্লাবের পুজোয় মণ্ডপ কাল্পনিক মন্দিরের আদলে। একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টায় প্রতিটি মণ্ডপই হয়ে উঠেছে সর্বাঙ্গসুন্দর। |
|
হাসিমনগর গ্রামের যুবগোষ্ঠীর পুজো এ বার ৪০ বছরে পা দিল। গ্রামে জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্যোক্তা এঁরাই। পাথর-বাঁধানো স্থায়ী মণ্ডপে ২২ ফুট উচ্চতার দেবীপ্রতিমা। ক্লাবের প্রবীন সদস্য চটি সাঁপুই জানালেন, ৪০ বছর আগে এই গ্রামে দু’টি বড় কালীপুজো হত। সে বার দু’পাড়ার মধ্যে পুজোর সময়ে বড়সড় গোলমাল বাধল। পরে তা মিটেও গিয়েছিল। কিন্তু গ্রামের কয়েক জন মিলে ঠিক করলেন, আর কালী পুজো নয়। এ বার বরং জগদ্ধাত্রীর আরাধনা করা হোক। সেই থেকেই ক্রমে জনপ্রিয় হয়েছে এই পুজো। |
|
পুজো কমিটির সভাপতি চন্দন দাস বলেন, “আমরা চাঁদা তুলে পুজো করি না। পুজো কমিটির এক এক জন সদস্য কোনও একটি বিষয়ের দায়িত্ব নেন।” হাসিমনগরের পুজোকে কেন্দ্র করে মেলাও বসে। সন্ধে থেকে হাজার হাজার মানুষের ভিড়। আশপাশের গ্রাম থেকেও দর্শনার্থীরা আসেন। গ্রামের বাসিন্দা প্রতিমা সাঁপুই, রেবা দাস, বেনু দাসেরা জানান, সারা বছর ধরে এই পুজোর জন্য অপেক্ষা করে থাকি সকলে। নতুন জামাকাপড় দুর্গাপুজোয় কেনা হয় না। সবই জগদ্ধাত্রী পুজোর সময়। |
নিজস্ব চিত্র। |
|
|
|
|
|