|
|
|
|
কোল থেকে ছিটকে পড়ে লরির চাকায় পিষ্ট শিশু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
আট মাসের শিশুকন্যাকে নিয়ে ট্রেকারে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন মা। পথে লরি এসে ট্রেকারে ধাক্কা মারায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে মেয়ে। লরির চাকায় পিষে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। শুক্রবার বিকেলে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থানার চাঠরা গ্রামে হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। ক্ষিপ্ত জনতা লরি ভাঙচুর করে। পুলিশ জানিয়েছে, আট মাসের ওই মৃত শিশুকন্যার নাম লক্ষ্মী আদক। মায়ের সঙ্গে স্থানীয় ডুমরা গ্রামের বাড়িতে ফিরছিল সে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডুমরা গ্রামের বধূ মামনি আদক শিশুকন্যা লক্ষ্মীকে নিয়ে রামতারকের গড়কিল্লা গ্রামে এক আত্মীয় বাড়িতে গিয়েছিলেন। বিকেলে বাড়ি ফেরার জন্য মেচেদা থেকে ট্রেকারে চাপেন মামনিদেবী। হলদিয়াগামী রাজ্য সড়ক ধরে কাঁকটিয়া বাজারের দিকে আসছিল ট্রেকারটি। বিকেল ৪টে নাগাদ চাঠরা গ্রামে শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লক অফিসের কাছে একই দিক থেকে আসা কাঠবোঝাই একটি লরি ট্রেকারটিকে ওভারটেক করতে গিয়ে ধাক্কা মারে। ট্রেকারের ধারে বসে থাকা মামনিদেবীর কোল থেকে ওই শিশুকন্যা রাস্তায় ছিটকে পড়লে লরির চাকা তাকে পিষে চলে যায়। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার পরে ক্ষুব্ধ জনতা লরি ভাঙচুর করে ও সড়ক অবরোধে বসে। প্রায় ঘণ্টাখানেক পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। পুলিশ জানিয়েছে, লরির চালক ও খালাসি পলাতক। এ দিকে, বিপজ্জনক ভাবে যাত্রী বোঝাই করে হলদিয়া-মেচেদা রাজ্যসড়কে ট্রেকার চললেও পরিবহণ দফতর উদাসীন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। পূর্ব মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুকুমার বেরার অভিযোগ, “পরিবহণ দফতরের গাফিলতিতে অবৈধ ভাবে মেচেদা থেকে কাঁকটিয়া পর্যন্ত ১৪টি ট্রেকার চলছে। যাত্রী নিরাপত্তার দিকে নজর নেই কারও।” |
|
|
|
|
|