|
|
|
|
এক ছাদের তলায় আসছে সংখ্যালঘুদের নানা দফতর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
রাজ্যের নতুন সরকার সংখ্যালঘু উন্নয়নে যুক্ত বিভিন্ন দফতরকে এক-ছাদের তলায় আনতে উদ্যোগী হল। এ জন্য প্রতিটি জেলায় ‘সংখ্যালঘু ভবন’ তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর ফলে, সাধারণ সংখ্যালঘু পরিবারের মানুষ উপকৃত হবেন বলেই আশা। কাজের জন্য তাঁদের আর এখানে-সেখানে ঘুরে বেড়াতে হবে না। একটি নির্দিষ্ট জায়গায় এসেই সব দফতরে যোগাযোগ করতে পারবেন তাঁরা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “কিছু পরিমাণ অর্থ ইতিমধ্যেই বরাদ্দ হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই নতুন ভবন তৈরির কাজ শুরু হবে।”
মেদিনীপুরে জেলাশাসকের দফতর সংলগ্ন চত্বরেই গড়ে উঠবে ‘সংখ্যালঘু ভবন’। এ জন্য ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় অর্থ দেবে সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর। দো-তলা ভবন নির্মাণের খরচ ধরা হয়েছে ৭৮ লক্ষ টাকা। কালেক্টরেট ক্যাম্পাসের মধ্যে মেদিনীপুর (সদর) মহকুমাশাসকের দফতর রয়েছে। এর অদূরে নতুন সংখ্যালঘু ভবন গড়ে উঠবে। এ জন্য প্রায় ৪ হাজার বর্গফুট জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। আগে এখানে হোমগার্ডদের ব্যারাক ছিল। ব্যারাকের বেশিরভাগটাই এখন জীর্ণ। সংস্কারের অভাবে ঘরগুলো ভেঙে পড়েছে। এই জীর্ণ ভবন সম্পূর্ণ ভেঙে নতুন ভবন গড়ে তোলা হবে। সংখ্যালঘু দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “প্রকল্পের অর্ধেক টাকা বরাদ্দ হয়ে গিয়েছে। এ বার চূড়ান্ত পরিকল্পনা তৈরি হবে। আমাদের আশা, কিছু দিনের মধ্যেই কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।”
এতদিন সংখ্যালঘুদের সব দফতর এক জায়গায় ছিল না। ফলে, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষজন দুর্ভোগে পড়তেন। একটি কাজের জন্য তাঁদের এক দফতর থেকে অন্য দফতরে যেতে হত। নতুন ভবন তৈরি হলে এই দুর্ভোগে দাঁড়ি পড়বে বলেই আশা। সংখ্যালঘুদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, রয়েছে নানা প্রকল্প। ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি দেওয়া হয়। অনেকে সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করেন। কবরস্থান রক্ষণাবেক্ষণের জন্যও পৃথক একটি দফতর রয়েছে। এই সব আলাদা আলাদা দফতর একটি নির্দিষ্ট ভবনে এক সঙ্গে থাকলে কাজের বিশেষ সুবিধা বলেই আশা। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগে খুশি মেদিনীপুরের উপ-পুরপ্রধান এরশাদ আলি। তাঁর কথায়, “এর ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমবে। একটি ভবনে গেলেই সব দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হবে।” |
|
|
|
|
|