|
|
|
|
সার সঙ্কট বাড়ছে পূর্বে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
এক দিকে অতিরিক্ত পরিবহণ খরচের অজুহাতে বেশি দামে সার বিক্রি বন্ধ করতে কড়া পদক্ষেপ করছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কৃষি দফতর। পরিবহণ খরচ ও বিক্রির লভ্যাংশ বৃদ্ধির দাবিতে গত ১ নভেম্বর থেকে সার আমদানি বন্ধ করে গিয়েছেন পাইকারি সার বিক্রেতারা। সার-সঙ্কট মেটার লক্ষণ নেই পূর্ব মেদিনীপুরে। এতে বোরো ধান ও শীতকালীন সব্জি চাষে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা। জেলা কৃষি দফতরের উপ-অধিকর্তা ধীরেন্দ্রনাথ মান্না বলেন, “বস্তায় উল্লিখিত খুচরো দামেই কৃষকদের সার বিক্রি করতে হবে। ব্যবসায়ীরা সার আমদানি বন্ধ করলে আমরাও পদক্ষেপ করব। দরকারে সমবায় সমিতির মাধ্যমে সার বিক্রি হবে।” খোলাবাজারে সরকার নির্ধারিত মূল্যের তুলনায় বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি বিভিন্ন সার উৎপাদক সংস্থা, সার ব্যবসায়ী ও কৃষকদের নিয়ে বৈঠক করে জেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসন ও কৃষি দফতর। বৈঠকে জেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয়, সারের বস্তায় উল্লিখিত খুচরো দামেই সার বিক্রি করতে হবে ব্যবসায়ীদের। চাষিদের মধ্যে লিফলেট বিলিরও সিদ্ধান্ত হয়।
পরিবহণ খরচ বেড়ে যাওয়ায় লোকসান হচ্ছে বলে পাল্টা দাবি সার ব্যবসায়ীদের। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর কৃষি সহায়ক ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক অশোক মাইতির অভিযোগ, “ভিন্ রাজ্য থেকে রেলপথে খড়্গপুর স্টেশনের রেক পয়েন্টে সার নামানোর পরে দুই জেলার নানা প্রান্তে তা পৌঁছে দিতে সার উৎপাদক সংস্থাগুলি যে খরচ দেয়, তা যথাযথ নয়। সড়ক পথে ওই সার পরিবহণে অনেক বেশি খরচ হয়। তাই সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করতে গিয়ে আমাদের লোকসান হচ্ছে।” সংগঠনের দাবি, খড়্গপুর রেক পয়েন্ট থেকে দুই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সার নিয়ে যেতে টন পিছু ৩০০ টাকা দেওয়া হয়। অথচ, কাঁথি, হলদিয়া ও তমলুক পর্যন্ত সার পরিবহণে খরচ হয় যথাক্রমে ৬০০, ৬৫০ ও ৫০০ টাকা। অতিরিক্ত এই খরচ তোলার জন্যই দাম সামান্য বেশি রাখা হয়। সার বিক্রির ‘মার্জিন মানি’ও দীর্ঘ দিন বাড়ানো হয়নি বলে অভিযোগ সার ব্যবসায়ীদের। পরিবহণ খরচ ও ‘মার্জিন মানি’ বাড়ানোর দাবিতে ১ নভেম্বর থেকে সার আমদানি বন্ধ করেছেন তাঁরা। সারের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করে সারা ভারত কৃষক ও খেতমজুর সংগঠন। অবরোধে সামিল হয় জেলা কৃষক সংগ্রাম পরিষদও। সকালে কাঁথি-খড়্গপুর রাস্তার এগরায়, বিকালে দিঘা-মেচেদা সড়কের বাজকুল ও মারিশদা, মেচেদা-হলদিয়া সড়কের তমলুক ও নোনাকুড়ি, ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের রামতারক ও ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের মেচোগ্রাম মোড়ে অবরোধ হয়। পরে অবশ্য পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়। |
|
|
|
|
|