সহানুভূতি নয়, ম্যাচ গড়াপেটায় জড়িত ক্রিকেটারের জন্য কারাগারই সঠিক শাস্তি বলে মনে করছেন অজিত ওয়াড়েকর। “দেশের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়ে যারা ম্যাচ গড়াপেটা করে, তাদের ক্ষমা করা যায় না। এবং স্রেফ ক্রিকেট থেকে নির্বাসন এদের জন্য যথেষ্ট নয়। কারাগারই সঠিক শাস্তি। এদের ‘ক্রিমিনাল’ই বলব। লন্ডনের আদালত ঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে। আশা করব বাটদের দেখে এই প্রজন্ম বুঝতে পারবে খেলার মাঠে দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার পরিণাম কী হতে পারে,” ঐতিহাসিক টাউন হলে বসে আনন্দবাজারকে বলছিলেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। দিব্যেন্দু বড়ুয়া চেস অ্যাকাডেমি এবং অলস্পোর্ট ম্যানেজমেন্ট আয়োজিত ‘চেস ফর ইউথ’ টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ সংস্করণের উদ্বোধক হিসেবে শহরে আসা ওয়াড়েকরের। ফুটবলের কিংবদন্তি প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে দাবা বোর্ডে চাল দিয়ে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনও করলেন। পাশে তখন বাংলা দাবার দুই দিকপাল দিব্যেন্দু ও সূর্যশেখর। |
দাবা টুর্নামেন্টের উদ্বোধনে ওয়াড়েকর ও দিব্যেন্দু।-নিজস্ব চিত্র |
দাবা খেললে মস্তিষ্ক সচল থাকে বলছিলেন, কিন্তু কথায় কথায় ঘুরে এল ক্রিকেট। ক্রিকেটারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এখন আইসিসি গোয়েন্দাদের নজর, লাই ডিটেক্টরের সামনে বসার কথাও উঠে পড়েছে। যা নিয়ে সামান্য বিচলিত লাগে ওয়াড়েকেরকে। “এ সবের কথা জানি না। কিন্তু এটা বলব, দু’একজন ক্রিকেটারের জন্য খেলাটা খারাপ হতে পারে না। আমি তো বলব দোষ আইসিসি-র। ওখানকার কমিটিতে ক্রিকেটের লোক কম। আইসিসি-র যে কোনও কমিটি দেখুন, সিদ্ধান্ত নিতে বছর পার হয়ে যায়।” কোচ হিসেবে তাঁর জমানা শেষ হওয়ার বছর কয়েক পরে ২০০০ সালে ঘটেছিল হ্যান্সিগেট। হ্যান্সি ও আজহার আজীবন নির্বাসিত হয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু কাউকেই কারাগারে থাকতে হয়নি। তা নিয়ে ওয়াড়েকর বলছেন, “তদন্ত করেছিল ভারতীয় বোর্ড, সিবিআই। সিবিআই তদন্তে যদি সে রকম কিছু পাওয়া যেত, নিশ্চয়ই জেল হত।” এই আইপিএল-এর যুগে বুকিদের সঙ্গে ক্রিকেটারদের যোগাযোগ বেড়েই চলেছে অভিযোগ মানতে পারছেন না ওয়াড়েকর। তাঁর শাণিত যুক্তি, “কারও পিঠে তো বুকি শব্দটা লেখা থাকে না। ক্রিকেটারদের কত লোকের সঙ্গে দেখা করতে হয়। হোটেলে, পার্টিতে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। এই যে আমি দাবার উদ্বোধনে এসেছি, এখানেও তো বুকি থাকতে পারে। কাজেই কেউ বুকির সঙ্গে কথা বললেই সেই ক্রিকেটার ম্যাচ গড়াপেটা করেছে বলা যায় না। প্রমাণ থাকতে হয়।”
সচিনের একশোতম যেমন চান মুম্বইয়ে, ঠিক তেমনই চান না জোর করে ধোনিকে বিশ্রাম দেওয়া হোক। “সচিন মুম্বইয়ের ছেলে। ঘরের মাঠে একশো নম্বরটা হলে ভাল লাগবে। আর ধোনিকে বিশ্রাম দেওয়া নিয়ে এত কথা কেন? ওর বিশ্রাম দরকার হলে ও নিশ্চয়ই নিজেই সেটা চেয়ে নেবে,” বক্তব্য ওয়াড়েকরের। |