বিরোধীদের আপত্তিতে ‘শত্রু সম্পত্তি আইন’ খারিজ করার সুপারিশই করল সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। বিজেপির অভিযোগ, ইউপিএ সরকারের দুই মন্ত্রী পি চিদম্বরম ও সলমন খুরশিদ এই আইন এনে ‘ব্যক্তিগত সুবিধা’ হাসিল করতে চেয়েছিলেন।
দেশ ভাগের সময় যাঁরা পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন, তাঁদের ফেলে যাওয়া বিতর্কিত বহু সম্পত্তিকে ‘শত্রু সম্পত্তি’ তকমা দিয়ে নিজেদের হেফাজতে রেখেছে সরকার। বর্তমানে গোটা দেশে এই ধরনের প্রায় ২১৬৮টি সম্পত্তি সরকারের হাতে রয়েছে। এর মধ্যে মেহমুদাবাদের রাজা একাই ১১০০টি সম্পত্তির মালিক। যার বর্তমান আর্থিক মূল্য ২৪ হাজার কোটি টাকা। বিতর্ক তৈরি হয়, রাজার ছেলে আমির মহম্মদ খান সেই সম্পত্তির ভাগ চাওয়ার পরে। শুধু মেহমুদাবাদের রাজাকে তাঁদের সাবেক সম্পত্তি ফেরত দেওয়ার বন্দোবস্ত করতে চিদম্বরমের মন্ত্রক অধ্যাদেশ জারি করে। পরে সেটি বিল আকারেও সংসদে আসে। বাম-বিজেপির প্রবল চাপে সেই বিল ভেস্তে যায়। এর পরে আবার প্রায় একই খসড়ায় আর একটি বিল এনে সেটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছিল। অভিযোগ, এই বিলেও এমন ফাঁক Eছে, যাতে ওই রাজা তাঁর সম্পত্তি পেতে পারেন।
বিজেপি ও বামেদের অভিযোগ, মেহমুদাবাদের রাজার বিপুল সম্পত্তি ফেরতে চিদম্বরম ও সলমন খুরশিদের এই বিশেষ উদ্যোগের পিছনে ‘বিশেষ স্বার্থ’ জড়িত। চিদম্বরম ও খুরশিদ এক সময়ে সম্পত্তি ফেরতের পন্থা খুঁজতে ওই রাজার পরিবারকে আইনি সাহায্য করেছেন। তার পর মন্ত্রী হয়েই তাঁরা অধ্যাদেশ ও বিল আনেন। স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু আজ রিপোর্ট পেশ করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছে। তাতে বিলটি খারিজ করার সুপারিশ করা হয়েছে। |