টুকরো খবর |
প্রচার নিয়ে মত বদল অণ্ণার
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
বৈঠকে অণ্ণা।
ছবি: পিটিআই |
নির্বাচনী প্রচার নিয়ে ফের মত বদলালেন অণ্ণা হজারে। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে জনলোকপাল বিল পাশ করতে হবে বলে দাবি অণ্ণা ও তাঁর অনুগামীদের। এই দাবি না মানা হলে পাঁচ রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তিনি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রচার চালাবেন বলে জানিয়েছেন অণ্ণা।
হরিয়ানার হিসারে উপ-নির্বাচনে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রচার করেছিল অণ্ণা শিবির। তার পরে অণ্ণা ও তাঁর অনুগামীরা বিজেপি-সহ বিরোধী দলগুলির হয়ে কাজ করছেন বলে অভিযোগ করে কংগ্রেস। পাঁচ রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা ভোটে কোনও বিশেষ দলের বিরুদ্ধে প্রচার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অণ্ণা। কোনও প্রার্থী দুর্নীতিগ্রস্ত হলে তাঁর বিরুদ্ধে প্রচার নামতে উদ্যোগী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ফের মত বদলে গিয়েছে তাঁর। আজ মৌনব্রত ভাঙার পরে রাজঘাটে সিদ্ধান্ত বদলের কথা জানিয়েছেন অণ্ণা। তবে বিজেপি ঘনিষ্ঠের তকমা ঝেড়ে ফেলতে আজও চেষ্টা করেছেন অণ্ণা। তিনি জানিয়েছেন, বিজেপি-র হয়ে প্রচার করতে রাজি নন তিনি। কারণ কংগ্রেস ও বিজেপি-র মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। কিন্তু, উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকারের লোকায়ুক্ত বিলের প্রশংসা করতে আপত্তি নেই তাঁর। জনলোকপাল বিল তৈরির সময়েও ওই লোকায়ুক্ত বিলের কথা বিবেচনা করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী বি সি খান্ডুরিকে একটি অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা দেওয়ার কথা অণ্ণার। বিজেপি সভাপতি নীতিন গডকড়ী আজই দাবি করেছেন, তাঁরা সমর্থন না করলে সরকার রামলীলা ময়দানে অণ্ণার অনশন ভেস্তে দিত। অণ্ণার দশা হত রামদেবের মতোই।
|
মাওবাদীদের গুলিতে হত দুই গ্রামবাসী
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
|
পশ্চিম সিংভূম জেলায় মাওবাদীদের হাতে নিহত দুই গ্রামবাসী। ছবি: উত্তমকুমার পাল |
ঝাড়খণ্ড-ওড়িশার সীমানায়, দু’জনকে হত্যা করল মাওবাদীরা। পশ্চিম সিংভূম জেলার পাঁচপাহিয়া গ্রামের কাছে, রাস্তার উপরে আজ সকালে নিহতদের গুলিবিদ্ধ দেহ পাওয়া যায়। তাঁদের হাত ও মাথা বাঁধা ছিল। মৃতদেহ দু’টির কাছে কিছু মাওবাদী লিফলেট পাওয়া যায়। তাতে জঙ্গিরা তাদের পুলিশের চর হিসেবেই চিহ্নিত করেছে। মৃতরা হলেন বিজয় ধানোয়ার (৫৫) ও মহাবীর মাহাত (৬৭)। বিজয় একটি রেশন দোকানের মালিক। মহাবীর স্থানীয় লায়লর পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপ-প্রধান। মাওবাদীরা তাঁদের পুলিশের চর বললেও পশ্চিম সিংভূমের এসপি অরুণ সিংহ বলেন, দু’জনেই এক সময় মাওবাদীদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁরা জঙ্গিদের হয়ে লেভি তোলার কাজ করতেন। এসপি-র ধারণা, তহবিল তছরূপের জন্যই মাওবাদীরা সম্ভবত ওই দু’জনকে হত্যা করেছে। আজই ভোর রাতে তাঁদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
|
ট্রেনচালক নিপাত্তাই
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
এক দিকে জঙ্গি হানা, অন্য দিকে মালগাড়ির লাইনচ্যুত হওয়া। এই দুই উপসর্গে পাহাড় লাইনে রেলযাত্রীর কার্যত নিত্য বিপাকে পড়ছেন। রোজই তাঁদের মাঝপথে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। কোনও ট্রেন বাতিল হচ্ছে, কোনওটিকে মাঝপথ থেকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। এ দিকে পক্ষকাল কেটে যাওয়ার পরও জঙ্গি কবল থেকে অপহৃত ট্রেনচালক তরুণকুমার ভট্টাচার্যের মুক্তি না ঘটায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ রেলকর্মীরা। দক্ষিণ অসম, ত্রিপুরা, মিজোরাম ও মণিপুরের মানুষের রেলপথে বাইরের সঙ্গে যোগাযোগের একটিই উপায়পাহাড় লাইন। কিন্তু ওই রুটে গত পক্ষকালে দু’তিন দিন পরপর মালগাড়ি লাইনচ্যুত হচ্ছে। আজ ভোরেও হারাঙ্গাজাও এবং ডিটেকছড়ার মধ্যবর্তী স্থানে লামডিংগামী একটি ওয়াগনের চাকা লাইন থেকে সরে যায়। ফলে ট্রেন চলাচল সারা দিন বিঘ্নিত হয়। বুধবার একই ধরনের ঘটনা ঘটে মাহুর ও ফাইডিংয়ের মধ্যে। দুর্ঘটনার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে জঙ্গি হানার ঘটনা। কাল রাতে ডিটেকছড়া ও বান্দরখালের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটায় হিল টাইগার ফোর্স নামে অ-ডিমাসা উপজাতিদের জঙ্গি সংগঠন। এরা ২৬ অক্টোবরও মাহুর ও ফাইডিংয়ের মধ্যে বোমা ফাটায়। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে মালগাড়ির এক চালককে গুলি করে। ২০ অক্টোবর বদরপুর-ভৈরবী যাত্রিবাহী ট্রেনের চালক হাইলাকান্দি থেকে অপহৃত হন। এখনও তাঁর সন্ধান মেলেনি।
|
মূল্যবৃদ্ধিতে ‘শঙ্কিত’ কেরালা হাইকোর্টের
নিজস্ব প্রতিবেদন |
মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বেনজির পর্যবেক্ষণ কেরালা হাইকোর্টের। বিচারপতিদের মন্তব্য, মূল্যবৃদ্ধি মানুষকে তিলে তিলে মারে। এর বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিবাদ দরকার। বিচারপতিরা বলেন, আদালত তেলের এই দাম বাড়া নিয়ে শঙ্কিত। রাজনৈতিক দলগুলি প্রতিবাদ করছে। কিন্তু সাধারণ গ্রাহকদেরও এগিয়ে আসতে হবে। আদালতের এই মন্তব্য নিয়ে যথেষ্ট বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে। বিচারপতিদের ‘অতিসক্রিয়তার’ বিষয়টি এর আগেও এসেছে। এ দিন প্রশ্ন ওঠে, আদালত কি এ বার দেশের অর্থনীতিও নির্ধারণ করে দেবে? বৃহস্পতিবার আরও এক বার পেট্রোলের দাম বাড়িয়েছে তেল সংস্থাগুলি। তার প্রতিবাদে শুক্রবার কেরালা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ পি সি টমাস। সরকারি কৌঁসুলির আর্জি ছিল, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে’ করা টমাসের এই জনস্বার্থ মামলাটি খারিজ করা হোক। কিন্তু অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি সি এন রামচন্দ্রন নায়ার ও পি এস গোপীনাথনের ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি গ্রহণ করে মন্তব্য করেছেন, ‘এই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য জনস্বাথের্র সঙ্গে জড়িত’। হাইকোর্ট মন্তব্য করেছে, ‘এই মূল্যবৃদ্ধি মানুষকে তিলে তিলে হত্যা করছে। গত ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ৪০ শতাংশ।’ ইন্ডিয়ান অয়েল ও রিল্যায়ান্স পেট্রোলিয়ামকে তিন সপ্তাহের মধ্যে লাভ-ক্ষতির খতিয়ান জমা দিতেও নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
|
অবৈধ খনন প্রশ্নে জগন জড়ালেন চন্দ্রবাবুর নাম
সংবাদসংস্থা • হায়দরাবাদ |
সিবিআই জেরার মুখে অবৈধ খননের মামলায় এ বার অন্ধ্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুর দিকে আঙুল তুললেন জগন্মোহন রেড্ডি। তাঁর দাবি, বাবা ওয়াই এস রাজশেখর রেড্ডির আমলে নয়, তার আগে ২০০২ সালে চন্দ্রবাবুর আমলেই খনির জমি লিজ দেওয়া হয়েছিল ওবুলাপুরম মাইনিং কোম্পানিকে (ওএমসি)। কর্নাটকের প্রাক্তন মন্ত্রী জনার্দন রেড্ডির (বর্তমানে জেলে) ওই সংস্থা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অবৈধ খননের অভিযোগ নিয়ে প্রায় দেড় বছর ধরে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। অন্তত ৪ হাজার কোটি টাকার ওই কেলেঙ্কারিতে ওএমসি-র সঙ্গে জগন্মোহনদের বিভিন্ন সংস্থার যোগসাজশ খতিয়ে দেখছে সিবিআই। তদন্ত চলছে তাঁদের হিসাব-বহির্ভূত সম্পত্তি নিয়েও। তারই সূত্রে সিবিআই আজ কোটিতে তাদের দফতরে জগন্মোহনকে ডেকে পাঠিয়েছিল। প্রায় পৌনে তিন ঘণ্টা সেখানে কাটান তিনি। তার মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব চলে দু’ঘণ্টা। জগন্মোহনকে ডেকে পাঠানোয় সিবিআই দফতরের সামনে তাঁর দল ওয়াইএসআর কংগ্রেসের বেশ কিছু সমর্থক জড়ো হয়েছিলেন এ দিন। বেরিয়ে এসে তিনি জানান, চন্দ্রবাবুর আমলেই যে ওএমসি-কে ৬৪ একর জমি লিজ দেওয়া হয়েছিল, তার সরকারি নির্দেশনামার কপি তিনি সিবিআইকে দিয়েছেন। জগন্মোহন বলেন, “সিবিআই আমাকে অভিযুক্ত হিসেবে ডাকেনি। আমার মত জানার জন্য ডাকা হয়েছিল। এ ভাবেই কিছু দিন আগে সবিতা আম্মাকে (রাজশেখরের আমলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সবিতা ইন্দ্র রেড্ডি) ওঁরা ডেকে পাঠিয়েছিলেন। আমি ওঁদের চন্দ্রবাবু নায়ডুর ভূমিকা তদন্ত করে দেখার পরামর্শ দিয়েছি।”
|
দিগ্বিজয়ের সামনে বিক্ষোভ বিজেপি-র
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
ফের বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ। মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ মোগলসরাই স্টেশনে কালো পতাকা হাতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বিজেপি কর্মীরা। সেই সময় রাজধানী এক্সপ্রেসে দিল্লি যাওয়ার জন্য দিগ্বিজয় সিংহ স্টেশনের ওয়েটিং রুমে বসে ছিলেন। বিজেপি কর্মীরা সেখানে ঢোকার চেষ্টা করলে বাধা দেন কংগ্রেসের লোকজন। বিজেপির লোকজন দিগ্বিজয়ের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করলে বাধা দেন কংগ্রেস কর্মীরা। তখনই দু’দলের মধ্যে শুরু হয় বাদানুবাদ। বিজেপি কর্মীরা মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কংগ্রেস বিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। কেউই অবশ্য দিগ্বিজয়ের কাছে পৌঁছতে পারেননি। কয়েক মাস আগেই এক বিজেপি কর্মীকে চড় মারেন দিগ্বিজয়। উজ্জয়িনীতে সে বার তিনি বলেছিলেন, মুম্বইয়ের সাম্প্রতিক ধারাবাহিক বিস্ফোরণে আরএসএস-এর হাত থাকতে পারে। খেপে গিয়ে তাঁকে হেনস্থা করার চেষ্টা করলে দিগ্বিজয় জয়ন্ত অগ্রবাল নামে বিজেপির এক কর্মীকে চড় মারেন। আজ বিজেপি কর্মীদের আচরণ সম্পর্কে দিগ্বিজয় সাংবাদিকদের বলেন, “এদের থেকে কী-ই বা আশা করা যায়? এই সব আরএসএস-এরই ছক।”
|
সম্পত্তির হিসেব মেলেনি, নাম ফাঁস করে চাপ আইপিএসদের উপরে
নিজস্ব প্রতিবেদন |
পুলিশ অফিসারদের মধ্যে দুর্নীতি রোধে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আরও সক্রিয় ভূমিকা নিল। চলতি নিয়ম অনুযায়ী সব আইপিএস অফিসারকে বছরের শেষে তাঁর ‘পারফরম্যান্স অ্যাপ্রাইজাল রিপোর্ট’ জমা দেওয়ার সময় বাধ্যতামূলক ভাবে তাঁর সম্পত্তির হিসেব বা ‘রিটার্ন’ জমা দিতে হয়। কিন্তু মন্ত্রক সম্প্রতি দেখেছে, সারা দেশের ৭১৩ জন আইপিএস অফিসারের ২০১০-এর রিটার্নটাই তাদের কাছে জমা পড়েনি। তার পরেই নড়েচড়ে বসে মন্ত্রক। তাদের ওয়েবসাইটে ওই অফিসারদের নামের তালিকা প্রকাশ করে দেওয়া হয়। মন্ত্রক প্রকাশিত ৭১৩ জন আইপিএস অফিসারের তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের ৩৭ জন অফিসারের নামও রয়েছে। এর ফলে বাড়তি চাপ তৈরি হয় পুলিশকর্তাদের উপরে। অনেকেই মন্ত্রককে জানান, তাঁরা যথাসময়েই রিটার্ন জমা দিয়েছেন। তার অর্থ দাঁড়ায়, সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলি ওই সব আইপিএস অফিসারের রিটার্ন পাওয়ার পরেও নিয়ম মেনে তা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে জমা দেয়নি। নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট অফিসার তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অ্যাপ্রাইজাল রিপোর্ট দেওয়ার সময়েই ওই রিটার্ন জমা দেন। একই সঙ্গে একটি বন্ধ খামে তা সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের কাছেও জমা দিতে হয়। রাজ্য সরকারই সেই রিটার্নের প্রতিলিপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে পাঠায়। মন্ত্রক তা পর্যালোচনা করে, আগের বছরের হিসেবের সঙ্গে তুলনামূলক বিচার করে। মন্ত্রকের তরফে সব রাজ্য সরকারকেই সম্প্রতি চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে, সব রিটার্ন পাঠান। যাঁরা রিটার্ন দেননি, তাঁদের নামের তালিকাও পাঠান।
|
ফের হাজিরা দিতে হবে জয়ললিতাকে
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
বেঙ্গালুরুর আদালতে ফের হাজির হতে হবে জয়ললিতাকে। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন খারিজ করে আজ এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মামলায় জয়ললিতাকে ফের হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল বেঙ্গালুরুর দায়রা আদালত। এর বিরুদ্ধে আর্জি জানান জয়ললিতা। তাঁর বক্তব্য ছিল, কোর্টের নির্দেশে এক বার হাজিরা দিয়েছেন। তাঁর নিরাপত্তায় মানুষ হয়রান হয়েছে। তাই ফের হাজিরা থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হোক। শীর্ষ আদালত জানায়, অব্যাহতি দিলে তাঁকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে। বেঙ্গালুরুর আদালতকে দু’-এক দিনের মধ্যে জয়ললিতার বিবৃতি গ্রহণের কাজও শেষ করার নির্দেশ দেয় কোর্ট।
|
সহপাঠিনীকে ছুরি ছাত্রের
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
প্রেমে বিবাদের জেরে সহপাঠিনীর উপর ছুরি নিয়ে হামলা চালাল নবম শ্রেণির এক ছাত্র। আজ সকালে ঘটনাটি ঘটেছে, শিবসাগরে। পুলিশ জানায়, ছুরির ঘায়ে জখম ছাত্রীটিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। হামলাকারী ওই ছাত্রকে আটক করা হয়েছে। দু’জনের মধ্যে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল বলে স্কুল সূত্রে জেনেছে পুলিশ। সম্প্রতি কোনও কারণে মনোমালিন্য ঘটেছিল তাদের মধ্যে। তার জেরেই আজ সকালে ওই কাণ্ড বলে অনুমান।
|
সুপ্রিম কোর্টের নোটিস
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
১৬২ জন সাংসদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মামলার অগ্রগতির বিষয়ে কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্যের কাছে জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট। এই সব সাংসদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মামলার বিচার ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে করার জন্য কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার জে এম লিংডো। সেই বিষয়ে কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্যের মতামত চেয়ে আজ নোটিস জারি করে কোর্ট। এক মাসের মধ্যে নোটিসের জবাব দিতে হবে।
|
সরকারি বাস, দফতরে আগুন |
মুখ্যমন্ত্রী বদলের পরেও অরুণাচলের রাজধানীতে শান্তি ফিরল না। আজ ভোরে দু’টি সরকারি দফতর ও চারটি সরকারি বাস পুড়িয়ে দিল দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানায়, রাজ্য পরিবহণ নিগমের স্ট্যান্ডে দাঁড়ানো বাসগুলিতে আগুন লাগিয়ে দেয় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। তিনটি বাস পুরো ভস্মীভূত হয়েছে। একটি বাসের আংশিক ক্ষতি হয়। প্রায় একই সময়ে ইটানগর ও নাহারলাগানে পূর্ত দফতরের দু’টি দফতরেও আগুন লাগানো হয়। নিশিদের গোষ্ঠী সংঘর্ষের পর থেকেই রাজধানীতে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তার মধ্যেই দুষ্কৃতীরা তিনটি সরকারি চত্বরে ঢুকে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় পুলিশের মুখ পুড়ল। ইটানগরের পুলিশ সুপার অলোক কুমার জানান, অশান্তির কারণে গত ১২ অক্টোবর থেকে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। আজকের ঘটনার পরে ওই নিষেধাজ্ঞা ১৯ নভেম্বর অবধি বাড়ানো হয়েছে। ইটানগরে আপাতত আগ্নেয়াস্ত্র, দা, ছুরি বা লাঠি বহন করাও নিষিদ্ধ। কোন গোষ্ঠী ঘটনার পিছনে জড়িত তা জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। |
|