মাওবাদীদের সঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের একাংশের যোগসাজশের অভিযোগ উঠেছে একাধিক বার। এই অবস্থায় জঙ্গলমহল থেকে যৌথ বাহিনী প্রত্যাহারের দাবিতে মাওবাদী পোস্টার পড়ল ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে।
মাওবাদী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বৃহস্পতিবার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক জন পড়ুয়াকে ঝাড়গ্রাম থেকে আটক করেছিল পুলিশ। আর শুক্রবারেই ওই সংগঠনের নামে পোস্টার পড়ল যাদবপুরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা জোরদার করার দাবিতে এ দিন দুপুরে প্রায় দু’ঘণ্টা উপাচার্য প্রদীপনারায়ণ
ঘোষকে ঘেরাও করে রাখে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।
মাওবাদীদের নামে এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪-৫টি পোস্টার সাঁটা হয়েছিল বলে জানান রেজিস্ট্রার প্রদীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “জঙ্গলমহল থেকে যৌথ বাহিনী প্রত্যাহারের মতো কয়েকটি বিষয়ে মাওবাদীদের নামে পোস্টার পড়েছিল বলে শুনেছি।” এ দিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা পোস্টারগুলি দেখতে পান। পরে সেগুলি ছিঁড়ে ফেলা হয়।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা তমোঘ্ন ঘোষ এ দিন বলেন, “পোস্টারগুলিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে কটূক্তি করা হয়েছিল বলে শুনেছি। এই প্রথম নয়। যাদবপুরে মাঝেমধ্যেই নানা রকম পোস্টার পড়ে। অথচ কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা জোরদার করার ব্যাপারে তেমন উদ্যোগী নন।”
নিরাপত্তা জোরদার করার দাবিতে এ দিন বেলা দেড়টা থেকে প্রায় দু’ঘণ্টা উপাচার্যকে ঘেরাও করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। পরে তমোঘ্ন বলেন, “ক্যাম্পাসে সিসিটিভি লাগানোর ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের সঙ্গে আলোচনা করা, বাইরের গাড়ি ঢুকলে তার নম্বর লিখে রাখা, সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন এই ধরনের কয়েকটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন উপাচার্য। তাই ঘেরাও তোলা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উনি এই সব ব্যবস্থা না-নিলে ফের ঘেরাও করা হবে।” যদিও অতীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের বিরোধিতার জেরে সিসিটিভি বসাতে পারেননি কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য এ দিন পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেন উপাচার্য। যদিও প্রদীপনারায়ণবাবু এ নিয়ে কোনও কথাই বলতে চাননি।
তিনি বলেন, “আমাদের যা করার তা করছি।” এ দিকে, রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল প্রতিনিধি লালবাজারে গিয়ে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন। |