টুকরো খবর |
চিন্তিত নয় এবিটিএ, রাজ্য টেস্ট পেপার ছাপবে মাধ্যমিকের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মাধ্যমিকের টেস্ট পেপারের ক্ষেত্রে খোদ রাজ্য সরকারের সঙ্গেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে চলেছে নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতি বা এবিটিএ। কারণ, এ বার স্কুলশিক্ষা দফতর নিজেরাই মাধ্যমিকের টেস্ট পেপার ছাপবে।
পড়ুয়াদের মধ্যে দীর্ঘকাল ধরেই এবিটিএ প্রকাশিত টেস্ট পেপারের একচেটিয়া চাহিদা। রাজ্যের অধিকাংশ সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে টেস্ট হয় এবিটিএ-র তৈরি প্রশ্নেই। মহাকরণ সূত্রের খবর, রাজ্যের ৪১টি সরকারি স্কুলের টেস্টের প্রশ্ন ও বিগত বছরের মাধ্যমিকের প্রশ্ন স্কুলশিক্ষা দফতর ছাড়া অন্য কোনও সংগঠন বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের টেস্ট পেপারে ছাপা যাবে না। কারণ, সরকারি সূত্রের দাবি, ওই সব প্রশ্নের কপিরাইট রাজ্য সরকারের। তাই সরকার না-চাইলে কারও পক্ষে ওই সব স্কুলের প্রশ্ন ছাপা সম্ভব নয়। এবিটিএ-ই যে-হেতু বরাবর টেস্ট পেপার ছেপে আসছে। তাই সরকারের এই সিদ্ধান্তে তাদের ক্ষতি হতে পারে, মনে করছেন অনেকেই। যদিও এবিটিএ-র রাজ্য স্তরের এক নেতা মনে করেন, আশঙ্কা ভিত্তিহীন। তিনি জানান, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক মিলিয়ে প্রায় ১২ লক্ষ টেস্ট পেপার ছাপে এবিটিএ। সামান্য লাভে তা বিক্রি করা হয় বলে সংগঠনের দাবি।
ওই নেতা বলেন, “এত বেশি বই ছাপা হয় বলে গড়ে ছাপার খরচ কম পড়ে। তাই টেস্ট পেপারের মতো এত মোটা বইয়ের দাম এখনও ৭০ টাকা রাখতে পেরেছি। অন্য কিছু সংগঠন টেস্ট পেপার ছেপেছে। কিন্তু সেই উদ্যোগ এত সফল হয়নি। স্কুলশিক্ষা দফতর টেস্ট পেপার ছাপলেও এবিটিএ-র টেস্ট পেপারের চাহিদা কমবে বলে মনে হয় না।” ওই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক উৎপল রায় জানান, ১৯২৪ থেকে ছাপা হচ্ছে এবিটিএ-র টেস্ট পেপার। যা এখন স্কুলশিক্ষা ব্যবস্থার একটা অভ্যাসে পরিণত। তাঁর মন্তব্য, টেস্ট পেপার বিক্রি এবিটিএ-র কাছে কোনও লাভজনক ব্যবসা নয়। ছাত্রছাত্রীদের সাহায্যের জন্য এটা ছাপা হয়। উৎপলবাবু বলেন, “সরকার টেস্ট পেপার ছাপবে বলে শুনিনি। ছাপলেও আমরা চিন্তিত নই।”
|
বহুমুখী হিমঘরের উদ্বোধন চাঁপাডাঙায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তারকেশ্বর |
|
নিজস্ব চিত্র। |
রাজ্যে ৩৬টি বহুমুখী হিমঘর তৈরির কাজ চলেছে। সবগুলি চালু হলে সব্জি সংরক্ষণে চাষিদের অনেক সুবিধা হবে। বাজারে ফড়েদের দাপট অনেকটাই কমে যাবে। মঙ্গলবার হুগলির চাঁপাডাঙায় একটি বহুমুখী হিমঘরের উদ্বোধন করে এমনটাই দাবি করলেন রাজ্যের কৃষি বিপণনমন্ত্রী অরূপ রায়। মন্ত্রী বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে চাষিদের ফসলের উপযুক্ত মূল্য পাওয়ার জন্য সব্জি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। সে কারণে সরকার গঠনের ছ’মাসের মধ্যেই সেই ব্যবস্থা করা হল।” তবে মন্ত্রীর উদ্বোধন করা হিমঘরটির ২০১০ সালের ৮ ডিসেম্বর শিলান্যাস করেছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। প্রায় এগারো মাসের মাথায় সেই হিমঘর তৈরির কাজ শেষ হল। হিমঘরটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। হিমঘরটির ধারণ ক্ষমতা প্রায় ৮৭ মেট্রিক টন। পশ্চিমবঙ্গ কৃষি বিপণন পর্ষদ ও চাঁপাডাঙা নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির যৌথ উদ্যোগে এই হিমঘরটি তৈরি হয়েছে। গত ছ’মাসে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরে অরূপবাবু বলেন, “এর পরেও শতাধিক হিমঘর তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। পেঁয়াজের জন্য আলাদা হিমঘর করার পরিকল্পনা রয়েছে।” বাম সরকারের সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, “আমরা জানি না গত ৩৪ বছরে কেন এ সব হয়নি। এত দিন যা হয়নি আমরা তা করতে চাই।” এ দিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী তথা তারকেশ্বরের বিধায়ক রচপাল সিংহ, কৃষি বিপণন দফতরের অধিকর্তা ত্রিসম্পতি বিশ্বাস, রাজ্যে বিপণন পর্ষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক রাজেশ সিংহ, আরামবাগের মহকুমাশাসক অরিন্দম নিয়োগী-সহ বিভাগীয় আধিকারিক।
|
আজ মমতাকে সভানেত্রী করার ভোট |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
প্রত্যাশিতভাবেই আজ, বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের সাংগঠনিক নির্বাচনে সভানেত্রী নির্বাচিত হতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের জন্মের পর থেকে এটি দলের তৃতীয় সাংগঠনিক নির্বাচন। এর আগে দু’বার অর্থাৎ ২০০১ এবং ২০০৬ সালের নির্বাচনেও সভানেত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন মমতা। দলের সর্বভারতীয় এবং রাজ্য কমিটির প্রতিনিধিরা ছাড়াও দলীয় বিধায়ক এবং সাংসদ মিলিয়ে প্রায় ১১ হাজার সদস্য এই নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুকুল রায়। তিনি বলেন, “দলের সর্বভারতীয় ও রাজ্য কমিটির প্রতিনিধিদের পাশাপাশি অসম, অরুণাচলপ্রদেশ, মণিপুর, ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ডের দলীয় সদস্যরাও এই ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন।”নির্বাচন পর্ব মেটার পরে দলের একটি বর্ধিত সভা হবে বলে মুকুলবাবু জানান। সেই সভায় বক্তৃতা দেবেন মমতা। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাংগঠনিক দিক থেকে দলকে আরও শক্তিশালী করতে কী কী করণীয়, সে বিষয়ে পরামর্শ দিতে পারেন দলনেত্রী। বিশেষত, দলকে আরও বেশি করে ‘মানুষের কাছে’ পৌঁছে দিতে দল ও সরকারের মধ্যে সমন্বয় রক্ষার বার্তাও দিতে পারেন তিনি। সর্বোপরি, দলের ‘ভাবমূর্তি’ আরও উজ্জ্বল করতে কিছু নির্দেশ দিতে পারেন সভানেত্রী।
|
আইন অমান্যের ডাক উদ্বাস্তু সংগঠনেরও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
নভেম্বর জুড়ে রাজ্যে আইন অমান্যের তালিকায় যুক্ত হল আরও একটি কর্মসূচি! নাগরিকত্বের দাবিতে ২২ নভেম্বর আইন অমান্যের ডাক দিয়েছে উদ্বাস্তুদের যৌথ অ্যাকশন কমিটি। ‘রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কারণে’ যাঁরা উদ্বাস্তু হয়ে পূর্ব পাকিস্তান এবং পরে বাংলাদেশ থেকে এ দেশে এসে বাসিন্দা হয়েছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার দাবিতে ওই দিন কলকাতায় আইন অমান্য এবং ২৮ নভেম্বর দিল্লির যন্তর মন্তরে অনশন আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে বলে মঙ্গলবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে জানিয়েছেন সুকৃতিরঞ্জন বিশ্বাস, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী-সহ যৌথ কমিটির কর্মকর্তারা। নাগরিকত্ব
আইন (২০০৩) সংশোধনের দাবি তুলেছেন তাঁরা। নাগরিকত্বের দাবি রয়েছে, এমন উদ্বাস্তুর সংখ্যা এ রাজ্যে এখন ৭ লক্ষ বলে তাঁদের দাবি। প্রসঙ্গত, ওই কেন্দ্রীয় আইনটি সংশোধনের দাবিতেই বিধানসভা ভোটের আগে কলকাতায় সমাবেশ করেছিল মতুয়া মহাসঙ্ঘ। যেখানে এক মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন তৃণমূল এবং সিপিএম নেতারা।
|
এ বার চাষিরা চালের দাম পাবেন চেকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এ বার চাষিদের কাছ থেকে চাল কেনার পরে দাম দেওয়া হবে চেক-এ। চাল সংগ্রহ নিয়ে মঙ্গলবার রাজ্যের খাদ্য দফতরে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চাষিদের ‘সুবিধার জন্যেই চেকে তাঁদের দাম মেটানো’র ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক মঙ্গলবার জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশেই আ্যাকাউন্ট পেয়ি চেকে সরকার চাষিকে দাম দেবে। চালের দাম যাতে নির্দিষ্ট চাষির হাতেই পৌঁছায়, সেই জন্যই এই ব্যবস্থা।” নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় চাল সংগ্রহের ব্যাপারেও বৈঠকে আলোচনা হয়। চলতি বছরে ২০ লক্ষ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই নির্দেশ কার্যকর করার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
|
বিশ্ববিদ্যালয় আইন বদলের অর্ডিন্যান্সে সই রাজ্যপালের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আইন সংশোধন সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্সে স্বাক্ষর করলেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। মঙ্গলবার রাজভবন সূত্রে এ কথা জানা গিয়েছে। শিক্ষার অঙ্গনকে রাজনীতিমুক্ত করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আইনে এক গুচ্ছ পরিবর্তন আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। নতুন আইনে সেনেট, সিন্ডিকেট, এগ্জিকিউটিভ কাউন্সিল, কোর্টের মতো সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থায় বিধায়ক, সাংসদ, ছাত্র, শিক্ষাকর্মীদের প্রতিনিধি থাকবেন না। উপাচার্যের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ উঠলে এবং তা প্রমাণিত হলে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাঁকে বরখাস্ত করার সংস্থানও থাকছে। এত দিন মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে উপাচার্যদের বরখাস্ত করার কোনও বন্দোবস্ত ছিল না আইনে। গত ১৯ অক্টোবর রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়টি ছাড়পত্র পায়। রাজ্যপালের সম্মতির জন্য সেটি রাজভবনে পাঠানো হয় সোমবার। ওই দিন রাজ্যপাল দিল্লিতে ছিলেন। মঙ্গলবার কলকাতায় ফিরেই নারায়ণন অর্ডিন্যান্সে সই করেছেন বলে রাজভবন সূত্রের খবর।
|
আসছেন বনসল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
বিএসএফের ডিজি-র দায়িত্ব নিয়েই পশ্চিমবঙ্গের বাংলাদেশ-সীমান্তে আসছেন ইউ কে বনসল। নিরীহ মানুষের উপর গুলি চালানোর অভিযোগে বিএসএফের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীরা। বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন বনসল। তাঁর বক্তব্য, “শান্তিপূর্ণ সীমান্তে বিভিন্ন কারণে বেআইনি পারাপারের ঘটনা ঘটে থাকে। অন্য ভাবে এর মোকাবিলা করতে হবে।” |
|