টুকরো খবর
হ্যাকিং-কাণ্ডে জুড়ে গেল ফ্লোরিডা, শিলিগুড়ি, করাচির নাম
পাকিস্তানের করাচিতে ঘাঁটি গেড়ে অন্তত ২১ জন হ্যাকার মিলে কলকাতার ভবানী ভবনের সিআইডির ওয়েবসাইট বিকল করে দিয়েছিল বলে সন্দেহ করছেন পুলিশ ও গোয়েন্দারা। সিআইডি সূত্রের খবর, ওই হ্যাকাররা সকলেই ছদ্মনাম ব্যবহার করে থাকে। সকলেই ‘এক্সট্রিমিস্টস’ (xtrimists) নামে একটি ছাতার তলা থেকে কাজ করছে বলে প্রাথমিক তদন্তে সিআইডি জানতে পেরেছে। সিআইডির ওই ওয়েবসাইটটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে ‘টেকনো ডেভেলপার্স গ্রুপ’ নামে একটি বেসরকারি সংস্থা, যারা ২০০৫ সালের ৮ নভেম্বর ওই ওয়েবসাইট তৈরি করে। টেকনো ডেভেলপার্স গ্রুপ যে সার্ভারের মাধ্যমে কাজ করে থাকে সেটি আমেরিকার ফ্লোরিডায় রয়েছে। সেই সার্ভারে ঢুকেই সিআইডির ওয়েবসাইটটি ‘হ্যাক’ করা হয়। অর্থাৎ এই ঘটনায় মার্কিন মুলুকে থাকা সার্ভারেও পাক হ্যাকারদের হানার ঘটনা সামনে চলে এসেছে। তাই প্রয়োজনে হ্যাকারদের আরও স্পষ্ট ভাবে চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)-এর সাহায্য নেওয়ার কথাও সিআইডি ভাবছে। সিআইডি-র এক কর্তা জানান, হ্যাকারদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে প্রয়োজনে এফবিআইয়ের সাহায্য চাওয়া হবে। রবিবার সকালে সিআইডির ওয়েবসাইট হ্যাকারদের কবলে পড়ার বিষয়টি নজরে আসে। তা নিয়ে প্রাথমিক তদন্তের পরে মঙ্গলবার ওই হ্যাকারদের বিরুদ্ধে শিলিগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে টেকনো ডেভেলপার্স গ্রুপ। সংস্থার শিলিগুড়ির পাকুড়তলা শাখার তরফে দিব্যেন্দু সাহার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা রুজু করেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, তথ্যপ্রযুক্তি আইন ভাঙার অভিযোগে মামলা দায়ের করে তা তদন্তের ভার সিআইডির হাতে তুলে দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের একটি সূত্রে অবশ্য মনে করা হচ্ছে, হ্যাকারদের বিরুদ্ধে কলকাতায় অভিযোগ করা হলে তদন্তের দায়িত্ব কলকাতা পুলিশের হাতে যেত। তাইশিলিগুড়ি থানায় মামলা দায়ের করে তার তদন্তের দায়িত্ব সিআইডি নিয়েছে।

অবরোধে বন্ধ দিল্লি-মুম্বই ট্রেন
লেভেল ক্রমিংয়ের গেট বন্ধই ছিল। কিন্তু জোর করে সেই গেট খুলে ট্রাক্টর ঢোকাতে গিয়ে মালগাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগায় মৃত্যু হল দু’জনের। মঙ্গলবার এই দুর্ঘটনা ঘটে দিল্লি-মুম্বই মেন লাইনের ভরতপুরের কাছে। দুর্ঘটনার পরেই হাজারখানেক গ্রামবাসী জড়ো হয়ে মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে রাত পর্যন্ত চলে সেই বিক্ষোভ। ফলে এ দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দিল্লি-মুম্বই রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। দু’টি রাজধানী-সহ আপ ও ডাউন লাইনে আট জোড়া মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন দীর্ঘ ক্ষণ মাঝরাস্তায় আটকে থাকায় বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। রেল বোর্ডের ডিরেক্টর (তথ্য ও প্রচার) চন্দ্রলেখা মুখোপাধ্যায় এ দিন টেলিফোনে জানান, ভোরে ট্রেন আসছে বলে ভরতপুরের কাছে একটি লেভেল ক্রসিং গেট (সি-২৪৮) বন্ধ করা হয়েছিল। ওই সময় খড় বোঝাই একটি ট্রাক্টর জোর করে গেটটি খুলে ভিতরে ঢুকতে যায়। তখনই একটি মালগাড়ির সঙ্গে তার ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থলেই দু’জনের মৃত্যু হয়। আহত হন এক জন। তার পরেই উত্তেজিত গ্রামবাসীরা লাইনে বসে পড়েন। ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার-সহ বেশ কয়েক জন কর্তা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। রেলের মেডিক্যাল ভ্যানও পাঠানো হয়। রাজস্থান পুলিশের কর্তারাও যান। রাত পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের সরানো যায়নি। মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় গড়া নিয়ে সম্প্রতি বিহারের কিষানগঞ্জে রেললাইন অবরোধ করা হয়েছিল। আটকে পড়েন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদীও। প্রায় ১২ ঘণ্টা বন্ধ থাকে কলকাতা-উত্তরবঙ্গ ট্রেন চলাচল। সে-দিনও অনেক অনুরোধ করেও বিক্ষোভকারীদের সরানো যায়নি। রেল অবরোধের বিরুদ্ধে আইন তৈরির কথা ওঠে। কিন্তু এখনও তা না-হওয়ায় ছুতোয়নাতায় অবরোধ চলছেই।

প্রেমজির সঙ্গে কথা বলতে পারে কেন্দ্র
উইপ্রোর চেয়ারম্যান আজিম প্রেমজির অভিযোগের কারণ জানতে তাঁর সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে চায় কেন্দ্র। আজ সরকারের শীর্ষ সূত্রে এই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। উইপ্রোর চেয়ারম্যান আজিম প্রেমজি গত কাল অভিযোগ করেছিলেন, দেশের কাছে সব চেয়ে বেশি উদ্বেগের কারণ, যে সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে দেশের আর্থিক বিকাশ ধাক্কা খাবে। আজ এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, কোনও রাজনৈতিক কারণে প্রেমজি এ কথা বলছেন বলে তাঁরা মনে করছেন না। বরং তাঁদের মনে হয়, কোনও বিশেষ ক্ষেত্রে প্রেমজির নির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। তা জানতেই সরকার উদ্যোগী হবে। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অম্বিকা সোনিও প্রকাশ্যে সেই ইঙ্গিত দিয়েই বলেছেন, “সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না, এমন ধারণা বা বক্তব্যের সঙ্গে একমত নই। তবে আজিম প্রেমজির এই ধারণা কাটানোর জন্য সরকার অবশ্যই তৎপর হবে। কারণ, তাঁর মতো বিশিষ্ট শিল্পপতির মতামত সরকারের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।” দুর্নীতির অভিযোগের পাশাপাশি দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্তহীনতার অভিযোগ এর আগে বিরোধীরা এবং নাগরিক সমাজও তুলেছে। দুর্নীতি দমন বা কালো টাকা উদ্ধারের ক্ষেত্রে সরকার হাত গুটিয়ে বসে আছে এই অভিযোগ অণ্ণা হজারের আন্দোলনের মূল ভিত্তি। এ দিন অম্বিকাও কার্যত স্বীকার করে নেন, সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না, এমন একটা ধারণা তৈরি হয়েছে। তাঁর কথায়, নাগরিকরা বিবৃতিতে বা আন্দোলনের মাধ্যমে যে বার্তা দিচ্ছেন, তা সরকার যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। এবং স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী তাঁদের সেই উদ্বেগ কাটানোর চেষ্টা করছেন।

৯ই উত্তরাখণ্ডে জনসভা সনিয়ার
অস্ত্রোপচারের পর দেশে ফিরে গত মাসের গোড়ায় প্রথম জনসমক্ষে এসেছিলেন সনিয়া গাঁধী। সভানেত্রী হিসাবে দলের সাংগঠনিক কাজ শুরু করেছিলেন তার আগেই। এ বার নির্বাচনী প্রচারে নামতে চলেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী। ২০১২ সালের গোড়ায় উত্তরাখণ্ডে নির্বাচন। তার পরেই উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোট। সে দিকে তাকিয়ে ৯ নভেম্বর উত্তরাখণ্ডের গৌচরে জনসভা করবেন সনিয়া। ওই সভা থেকেই কার্যত প্রচার শুরু হয়ে যাবে কংগ্রেসের। দলীয় সূত্রে বলা হচ্ছে, এর পর উত্তরপ্রদেশ এবং পঞ্জাবেও সভা করবেন সনিয়া। তবে উত্তরপ্রদেশে মূল প্রচার চালাবেন রাহুল গাঁধী। ১৪ নভেম্বর ইলাহাবাদের কাছে ফুলপুরে প্রথম সভা করবেন তিনি। কংগ্রেস সূত্রে বলা হচ্ছে, উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস আগের থেকে ভাল ফল করলে স্বাভাবিক ভাবেই তা রাহুলের কৃতিত্ব বলে বিবেচিত হবে। তা ছাড়া, রাহুলের রাজনৈতিক উত্তরণের দাবি দলের মধ্যেও রয়েছে। এমনকী গাঁধী পরিবারের ঘনিষ্ঠরা প্রকাশ্যে সে কথা বলতে শুরু করেছেন। সম্প্রতি গাঁধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ সুমন দুবের ছেলে অমিতাভ দুবেও একই কথা বলেছেন। তাঁদের মতে, কেন্দ্রে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে যে নেতিবাচক বাতাবরণ তৈরি হয়েছে তা কাটাতে নেতৃত্বের পরিবর্তন জরুরি।

অরুণাচলের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হলেন টুকি
নাবাম টুকি
অবশেষে তাঁর স্বপ্ন সফল! অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন নাবাম টুকি। গত কাল পদত্যাগ করেছিলেন জারবম গামলিন। আজ কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের সবুজ সংকেত পাওয়ার পরেই নাবামের নাম নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। রাজভবনে শপথ নেন টুকি। গত সপ্তাহে এআইসিসির কাছে পদত্যাগ পত্র জমা করেন ‘মুখ্যমন্ত্রী’ গামলিন ও ‘প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি’ টুকি। গত কাল কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠকে আনুষ্ঠানিক ইস্তফা দেন গামলিন। আজ রাজ্যপাল জে জে সিংহ রাজভবনে টুকিকে শপথবাক্য পাঠ করান। হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী সুশীল শিন্ডে, প্রবীণ কংগ্রেস নেতা বিজয়কৃষ্ণ সন্দিকৈ, অরুণাচলের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক ধনীরাম শাণ্ডিল। শপথ নিয়ে টুকি বলেন, “রাজ্যের সব অশান্তি এ বার শেষ। কংগ্রেস একটা পরিবারের মতো। আমি সবার সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাজ্যকে বিকাশের পথে এগিয়ে নিয়ে যাব।” মুখ্যমন্ত্রীর গদি দখলে কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই ছিল যাঁর মূল হাতিয়ার সেই টুকিই মুখ্যমন্ত্রী হয়ে বললেন, “আমার প্রধান লক্ষ্য হবে, রাজ্য কংগ্রেসে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মুছে দিয়ে সম্প্রীতি স্থায়ী করা। আইন-শৃঙ্খলাকে দৃঢ় করা।”

যাজক নিখোঁজ রহস্য নিয়ে পুলিশ অন্ধকারে
যাজক তথা মেঘালয়ের তুরা ডনবসকো কলেজের রেক্টরের নিখোঁজ-রহস্য আরও ঘনীভূত হল। গত কাল তুরা ডন বসকো কলেজের অধ্যক্ষের কাছে একটি এসএমএস আসে। অধ্যক্ষ, ফাদার পি ডি জনি জানান: অজ্ঞাত নম্বর থেকে আসা এসএমএসটিতে কেবল লেখা রয়েছে, রেক্টর ফাদার ফ্রান্সিস ফার্নান্দেজ ৮৮ ও ৯২ ডিগ্রি অক্ষাংশ ও ২০ ও ২৪ ডিগ্রি দ্রাঘিমাংশে, ত্রিপুরা-বাংলাদেশের সীমান্তে কোথাও রয়েছেন। কলেজ সূত্রে খবর, গত ২৬ অক্টোবর দিল্লি থেকে গুয়াহাটি আসার জন্য রাজধানী এক্সপ্রেসে ওঠেন ফার্নান্দেজ। কোচ নম্বর ছিল বি-২। ২৭ অক্টোবর এক সহকর্মীর মোবাইলে ফাদারের নম্বর থেকে এসএমএস আসে। তাতে জানানো হয়, সকাল ৮টা নাগাদ ট্রেন বিহারের কাটিহারে পৌঁছেছে। সন্ধ্যার মধ্যে তিনি গুয়াহাটি পৌঁছবেন। এরপর থেকেই ফার্নান্দেজের আর কোনও সন্ধান নেই। ওই দিনই বিকেলে কিষাণগঞ্জ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি, ওই সহকর্মীকেই এসএমএস পাঠিয়ে জানান: অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথা ওঠায় ফাদারকে ট্রেন থেকে নামিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। তবে পর্যাপ্ত চিকিৎসার আগেই তিনি মারা গিয়েছেন। ফাদারের দেহ সৎকারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ট্রেনের কিছু সহযাত্রীই টাকা সংগ্রহ করে পুরো ব্যবস্থা করছেন। কিন্তু ওই নম্বরে পরে যোগাযোগ করে কোনও লাভ হয়নি। ফার্নান্দেজের মোবাইলও বন্ধ। বিষয়টি নিয়ে বিহার পুলিশ, অসম পুলিশ ও রেল পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

৩৮-এ পা দিলেন ঐশ্বর্যা
দু’দিক থেকে নভেম্বর মাসটা আনন্দের হতে চলেছে ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের কাছে। এমনিতে আজ তাঁর জন্মদিন, ৩৮-এ পা দিলেন বলিউডের এই নায়িকা। প্রতি বারের মতো পরিবারের সঙ্গেই জন্মদিন কাটান ঐশ্বর্যা। তবে এ বার আনন্দ কিছুটা বেশি। কারণ সম্ভবত এই নভেম্বরের শেষেই মা হতে চলেছেন তিনি। জন্মদিনের বাড়তি আনন্দ ভাগ করে নিতে বচ্চন পরিবারে বিশেষ পার্টির বন্দোবস্ত হয়েছে বলে খবর। বলিউডের অনেকেই তাতে আমন্ত্রণ পেয়েছেন।

পুরীর মন্দিরে পাথর খসে জখম দৃষ্টিহীন
এক টনের একটি পাথরের চাঁই খসে পড়ল জগন্নাথ মন্দিরের ছাদ থেকে। আজ সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ মন্দিরের পশ্চিম দিকের প্রবেশ পথে ‘দধি নউতি’র সামনে ঘটনাটি ঘটে। সেই খসে পড়া পাথরের আঘাতে জখম হন দৃষ্টিহীন এক ব্যক্তি। মন্দিরের মুখ্য প্রশাসক প্রদীপ কুমার মহাপাত্র জানান, ওই চাঁইটি বেশ কিছুদিন ধরেই আলগা হয়ে ছিল। তবে চোট পাওয়া ওই ব্যক্তির আঘাত গুরুতর নয় বলে জানিয়েছেন প্রদীপ। এই দুর্ঘটনার কথা ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগকে জানিয়েছেন প্রদীপ। বেশ কিছু সময় ধরে দ্বাদশ শতাব্দীর এই মন্দির রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্বে ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। রাজ্যের মুখ্যসচিব বি কে পটনায়েক বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে ঘটনার কথা জানানো হয়েছে। তিনি কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রীকে মন্দিরের সুরক্ষা নিশ্চিত করার কথা জানিয়ে একটি চিঠি লিখেছেন।”

জাতীয় সড়ক থেকে উদ্ধার বিস্ফোরক
হাজারিবাগে ৩৩ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি গাড়ি তল্লাশি করে বিপুল বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে ঝাড়খণ্ড পুলিশ। হাজারিবাগ মফস্সল থানার পুলিশ ডেমোটাঁড় অঞ্চলে গাড়িটি আটক করে। থানার ওসি সুজিত কুমার জানিয়েছেন, বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য ১১০০ ডিটোনেটর ও ১০ ব্যাগ অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ির তিন জন আরোহীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ওসি বলেন, “তক্কে তক্কে থেকেই নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতেরা হল, অশোক মেটা, বজরঙ্গি সিংহ ও রওশন জমির। তারা হাজারিবাগের ইচাক এলাকা থেকে বিস্ফোরক নিয়ে রামগড়ে যাচ্ছিল।” তবে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক কাদের হাতে তুলে দেওয়ার মতলব ছিল তা এখনও পরিষ্কার নয়। হাজারিবাগের এসপি পঙ্কজ কাম্বোজ বলেন, “মাওবাদী জঙ্গি না অবৈধ খনির কারবারি- কাদের হাতে এই বিস্ফোরক তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। তা এখনও স্পষ্ট নয়।”

পাহাড়লাইনে ট্রেন বিভ্রাট
মালগাড়ি লাইনচ্যুত হওয়ায় আজ দুপুর পর্যন্ত রেল চলেনি পাহাড় লাইনে। পরে লামডিং থেকে উদ্ধারকারী দল এসে লাইন চলাচলের উপযোগী করে। কিন্তু বদরপুরের আর এক উদ্ধারকারী দল দুর্ঘটনায় পড়লে ফের ওই লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে দিনভর যাত্রীদের দুর্ভোগের অন্ত ছিল না। রেলসূত্রে জানা গিয়েছে, কাল রাতে বদরপুর থেকে একটি খালি মালগাড়ি যাচ্ছিল লামডিঙে। পথে তিনটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে।

পুলিশের ক্ষমতাবৃদ্ধি চায় সুপ্রিম কোর্ট
আম নাগরিকের সুবিধার্থে রেল রোকো ও পথ অবরোধ তোলার ক্ষেত্রে পুলিশের হাতে যথেচ্ছ ক্ষমতা দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করল সুপ্রিম কোর্ট। এ ধরনের ঘটনায় যেখানে সাধারণ মানুষের জীবন ও সম্পত্তির বিষয় জুড়ে আছে, সেখানে সরকার কেন অবরোধকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারবে না সে নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিচারপতি জি এস সিঙ্ঘভি এবং এস জে মুখোপাধ্যায়ের বেঞ্চ। তবে এ ক্ষেত্রে কোনও দলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব না রেখে প্রশাসন কাজ করলে তবেই সাফল্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছে শীর্ষ আদালত।

গারো জঙ্গি হানায় হত পাঁচ পুলিশ
পুলিশবাহিনীর উপরে হানা দিয়ে চার কনস্টেবল ও পুলিশ গাড়ির চালককে হত্যা করল জিএনএলএ জঙ্গিরা। গত কাল বিকেলে পূর্ব গারো হিলের জেলা সদর, দোবু থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রত্যন্ত নেংপাটচি এলাকায়, বিকেলের টহল সেরে ফিরছিল পুলিশের একটি দল। তখনই পাহাড়ের বাঁকে ঘাপটি মেরে থাকা জঙ্গিরা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র থেকে নাগাড়ে গুলিবর্ষণ শুরু করে। কনস্টেবলরা জবাব দেওয়ার সুযোগও পাননি।

জয়ার আবেদন
বেঙ্গালুরু দায়রা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানালেন জয়ললিতা। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মামলায় তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতাকে ৮ নভেম্বর ফের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল বেঙ্গালুরু দায়রা আদালত। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন জয়ললিতা। এডিএমকে প্রধানের বক্তব্য, শীর্ষ আদালতের নির্দেশে তিনি ২০ এবং ২১ অক্টোবর বেঙ্গালুরুর আদালতে উপস্থিত ছিলেন। শুধু তাই নয়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, আদালতে জয়ললিতার এক বার উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল। তাই ফের হাজিরা দেওয়ার জন্য আদালত তাঁর নামে সমন জারি করতে পারে না।

ট্রেন থেকে ধাক্কা, মৃত এক ছাত্র
ট্রেনে বসার জায়গা নিয়ে বচসা। সেখান থেকে হাতাহাতি। সেই কারণে সহারনপুরের কাছে চলন্ত ট্রেন থেকে ৪ ছাত্রকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল কিছু যাত্রীর বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলেই মারা যান মায়াঙ্ক (১৮) নামে এক ছাত্র। জখম ৩। এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মঙ্গলবার জননায়ক এক্সপ্রেসে যমুনা নগর থেকে সহারনপুরে ফিরছিলেন চার ছাত্র। তখনই ঘটনাটি ঘটে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.