দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন করেও হলদিবাড়ি থেকে বেলতলি যাওয়ার পথে পূর্ত দফতরের রাস্তায় সেতুর দুটি সংস্কার না হওয়ায় ক্ষোভের সৃষ্ট হয়েছে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, হলদিবাড়ি থেকে মেখলিগঞ্জের দূরত্ব ১৫ কিমি.। তার মধ্যে ১০ কিমি. পূর্ত দফতরের রাস্তা। ৫ কিমি. নদীপথ। শীতকালে নদীপথের ৩টি ধারা নৌকায় করে বাকি ৫কিমি. চরের উপর দিয়ে হেঁটে পারমেখলিগঞ্জ যেতে হয়। হলদিবাড়ি থেকে তিস্তা পাড়ের বেলতলি যাওয়ার রাস্তায় প্রতমে বোয়ালমারি এলাকায় একটি জলা জায়গা উপর দিয়ে কাঠের পাটাতন দেওয়া একটি সেতু আছে। |
আবার বেলতলির ১০০ মিটার ঠিক আগে একই রকমের একটি কাঠের সেতু রয়েছে। অভিযোগ দুটি সেতুরই ভগ্নপ্রায় অবস্থা। পাটাতনের পিচ উঠে গিয়েছে। বেশি ভিড় হলে রেলিং টপকে জলা জায়গায় ভ্যান-রিকশা উল্টে পড়ার ঘটনাও ঘটে অনেক বার। ভ্যান-রিকশা সংগঠনের সম্পাদক রবিউল গনি প্রধান বলেন, “সেতু দুটি খারাপ হওয়ায় জলায় পড়ে গিয়ে আহত হলে রোজগার বন্ধ হয়ে থাকে। সেতু কবে সারানো হবে কে জানে!” বাসিন্দারা ওই পথে বেলতলি হয়ে মেখলিগঞ্জ যান। নিত্যযাত্রীরা শীতকালে এই রাস্তাটি প্রতিদিন ব্যবহার করে থাকেন। হলদিবাড়ি-মেখলিগঞ্জের নিত্যযাত্রী মেখলিগঞ্জ বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সৌরভ রায় বলেন, “দুটি সেতুর উপর দিয়ে আমরা প্রাণ হাতে করে যাতায়াত করে থাকি। সেতুটি মেরামতের জন্য বহবার দাবি জানিয়েছি। ফল মেলেনি।” পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫ বছর ধরে সেতু দুটির এই হাল। সংলগ্ন পারমেখলিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দারা সেতুটি মেরামতের দাবিতে বহুদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। রাস্তা পর্যন্ত অবরোধ করা হয়েছিল। কিছু হল না। পারমেখলিগঞ্জ এলাকা থেকে নির্বাচিত হলদিবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি কমল রায় বলেন, “অবিলম্বে সেতু দুটির মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া না হলে জোরজার আন্দোলনে নামা হবে।” পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানানো হয়েছে, বাসিন্দাদের দাবি মেনে মাঝেমধ্যে কাঠের পাটাতন পাল্টে দেওয়া হয়। দুটি সেতুই পূর্ত দফতরের অধীনে। তাই পঞ্চায়েত সমিতি সরাসরি মেরামতের কাজে হাত দিতে পারছে না। হলদিবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রাণেশ্বর মৈত্র বলেন, “পূর্ত দফতরে সেতু দুটি মেরামতের জন্য লিখিতভাবে দাবি জানানো হয়েছে। পূর্ত দফতর থেকে তা মেরামত না হলে আমাদের করার কিছু নেই।” পূর্ত দফতরের জলপাইগুড়ি বিভাগীয় দফতরের সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার দেবাশিস রায় মজুমদার বলেন, “সেতু দুটি মেরামতের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কত টাকা খরচ হতে পারে, তার একটি হিসেব করে অর্থ বরাদ্দের জন্য ঊধ্বর্তন কতৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।”
|