বাংলাদেশ থেকে খেলোয়াড়দের ডেকে এনে তাঁরা ফুটবলের প্রদর্শনী ম্যাচ করেন। লিভার ফাউন্ডেশনের চিকিৎসকদের ডেকে এনে স্বাস্থ্য শিবির করেন। আবার পুজোও করেন। দুর্গা পুজো কিংবা কালী পুজো নয়। জগদ্ধাত্রী পুজো। সাদামাটা মণ্ডপে নয়। শিলিগুড়ির জংশন এলাকার বাণীমন্দির রেলওয়ে হাই স্কুল ময়দানে আলিঙ্গন ক্লাবের পুজো হচ্ছে একেবারে দিল্লির লালকেল্লার অনুকরণে। প্রায় ৬ লক্ষ টাকার বাজেটে বাঁশ, কাপড়, প্লাইউড দিয়ে তৈরি হয়েছে প্রকাণ্ড মণ্ডপ। মণ্ডপটি দেখে যাতে সত্যিই লালকেল্লা মনে হয় সে জন্য স্প্রে পেইন্টিং হচ্ছে। আজ, মঙ্গলবার আলিঙ্গনের জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন। ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব, শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ির মেয়র গঙ্গোত্রী দত্তের উপস্থিত থাকার কথা। নবমীতে দুঃস্থদের বস্ত্র বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ক্লাবের পুজো কমিটির সহ সভাপতি দুলাল দে। তিনি বলেন, “নিছক একটা পুজোর আয়োজন করা আমাদের মূল উদ্দেশ্য নয়। এলাকার সমস্ত বাসিন্দাদের আমরা এই উদ্যোগে সামিল করতে চাই। সেই জন্য দুঃস্থদের বস্ত্র বিতরণ থেকে শুরু করে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আলিঙ্গন ক্লাবের পুজো এ বার দ্বিতীয় বছরে পড়ল। এই পুজোর আরও একটি নজরকাড়া দিক হল, পুজো কমিটির তরফে রাস্তায় বার হয়ে ব্যবসায়ী কিংবা পাড়ার কোনও বাড়ি থেকে চাঁদা তোলা হয় না। পুজোর সমস্ত খরচ জোগান ক্লাব সদস্যরাই। সব মিলিয়ে ক্লাবে প্রায় শ’দুয়েক সদস্য। তাঁরাই পুজোর সমস্ত আয়োজন করেন। এ বারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। যদিও পুজোয় সামিল হন এলাকার সমস্ত বাসিন্দাই। প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অতিথি শিল্পী ছাড়াও এলাকার স্থানীয় শিল্পীরাও সেখানে অংশ নেবেন। পুজো মণ্ডপের সামনে তৈরি হচ্ছে সুন্দন একটি ফুলের বাগান। নানা ধরনের ফুল ও অর্কিড দিয়ে ওই বাগান সাজান হচ্ছে। সেখানে রঙিন ফোয়ারা বসানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। গানের তালে দুলবে নানা রঙের ফোয়ারা। পুজো মণ্ডপের পাশেই বসছে মেলা। পুজোর কয়েকটা দিন শিলিগুড়ি জংশন এলাকার বাসিন্দাদের সন্ধ্যার পরের গন্তব্য যে হবে ওই পুজো মণ্ডপ তা নিয়ে নিশ্চিত পুজোর উদ্যোক্তারা। |