জেলে গিয়েই অসুস্থ বোধ করায় প্রতারণা মামলায় ধৃত বিমা কর্মী রাজীব ভদ্রকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় আদালত থেকে ওই ব্যক্তিকে শিলিগুড়ি থানায় নিয়ে যাওয়া হলে তিনি অসুস্থ বোধ করতে থাকেন। তড়িঘড়ি তখনই তাঁকে শিলিগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আলট্রাসোনোগ্রাফিতে কিডনিতে পাথর ধরা পড়ে। এর পর তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। একটি অর্থলগ্নিকারী সংস্থার এজেন্ট হিসাবে রাজীববাবু-সহ ধৃত ৩ জন শিলিগুড়ির বিভিন্ন স্তরের মানুষকে বিনিয়োগ করান বলে অভিযোগ। পরে সংস্থাটি পাততাড়ি গোটালে বিপাকে পড়েন লগ্নিকারীরা। শিলিগুড়ি থানায় জুন মাসে একটি অভিযোগও জমা পড়ে। পরে আরও তিনটি অভিযোগ জমা পড়লে শিলিগুড়ি থানা থেকে মামলা দায়ের হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ গত ২১ অক্টোবর মুম্বই থেকে ওই সংস্থার কর্তাকে গ্রেফতার করে। তাকে জেরা করে পুলিশ ওই বিমাকর্মী, এক ব্যাঙ্ককর্মী রণবীর দাস এবং দেবব্রত পাল নামে তিন জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের জেরা করে পুলিশের দাবি, ওই প্রতারণা সংস্থায় বিনিয়োগ করানোয় পুরস্কার হিসাবে ধৃত ৩ জন সহ বেশ কিছু লোক প্রচুর টাকা আয় করেন। অনেকেই পুরস্কার হিসাবে বিলাসবহুল গাড়ি উপহার হিসাবে পান বলেও পুলিশের দাবি। রবিবার ওই ৩ জনকে আদালতে হাজির করানোর পরে অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতের বিচারক বিভূতি খেসাং ধৃতদের ২ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। সন্ধ্যায় জীবন বিমা নিগমের ওই কর্মীকে হাসপাতালে পাঠানো হলেও বাকিদের জেরা করা চলছে। আর কারা ওই সংস্থায় এজেন্ট হিসাবে কাজ করেছেন তারও তালিকা তৈরির কাজ চলছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, ধৃতেরা আগে একাধিক অর্থলগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। সেই সমস্ত সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে কি না খতিয়ে দেখছে পুলিশ। শিলিগুড়ি পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “অনলাইনে অস্বাভাবিক সুদের প্রলোভন দিয়ে কিছু ভিন রাজ্যের লোক এই ব্যবসা ফেঁদেছিল। সেখানে এজেন্ট হিসাবে বেশ কিছু লোককে নিয়োগ করা হয়। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |