|
|
|
|
মোক্তার-কাণ্ডে ‘টানাপোড়েন’ সরকারি জোটে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সরকারের জোট শরিক হলেও রাজ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে কংগ্রেস-তৃণমূলে যে ‘টানাপোড়েন’ চলছিল, তাতে নতুন মাত্রা সংযোজন করেছেন সদ্য কংগ্রেসে যোগ-দেওয়া গার্ডেনরিচের মহম্মদ মোক্তার। বিষয়টি তৃণমূল নেতৃত্ব ‘ভালো চোখে’ নেননি।
তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা সোমবার বলেন, “মোক্তারের বিরুদ্ধে কয়েকটি খুনের মামলা তো আছেই। সর্বোপরি আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর গুলিচালনার অভিযোগও আছে ওর বিরুদ্ধে। এমন একজনকে কংগ্রেস আশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা করলে তার ফল ক্ষতিকর হবে। কারণ, আইন আইনের পথেই চলবে।” যা থেকে স্পষ্ট যে, মোক্তারের বিরুদ্ধে ‘আইনি পদক্ষেপ’ করতে দ্বিধা করবে না তৃণমূলের নেতৃত্বাধীন সরকার। মোক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে ‘বিস্তারিত খোঁজ’ নেবেন বলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন। কিন্তু কংগ্রেসেরই এক নেতা পাল্টা অভিযোগ করেছেন, “সিপিএমের বেশ কয়েকজন বিতর্কিত নেতাকে ইতিমধ্যেই তৃণমূল দলে নিয়েছে। ফলে, আপনি আচরি ধর্ম!”
মোক্তার-কান্ডে প্রদীপবাবুর কড়া সমালোচনা করেছেন রাজ্য আইএনটিইউসি-র কার্যকরী সভাপতি রমেন পান্ডে। প্রদীপবাবু নিজে ওই সংগঠনের রাজ্য সভাপতি। বস্তুত, সিটুর সঙ্গে ৮ নভেম্বর ‘জেল ভরো’ কর্মসূচিতে সামিল হওয়া নিয়ে কংগ্রেস প্রভাবিত আইএনটিইউসি-র অন্দরে কোন্দল চরমে। সিপিএমের ‘রাজনৈতিক চাল’কে সমর্থন করার অভিযোগ তুলে নাম না-করে রমেনবাবুর নিন্দা করেছিলেন প্রদীপবাবু। রমেনবাবুর পাল্টা, “ওই কথা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।” তাঁর দাবি, গত ৭ সেপ্টেম্বর এক বৈঠকে সিটু, আইএনটিইউসি-সহ ১১টি শ্রমিক সংগঠন যৌথ সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ‘জেল ভরো’ আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে। তিনি জানিয়েছেন, দিল্লিতে ‘জেল ভরো’ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবেন সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি জি এস সঞ্জীব রেড্ডি। পশ্চিমবঙ্গে নেতৃত্ব দেবেন তিনি!
এই বিষয়ে প্রদীপবাবু কোনও মন্তব্য করতে চাননি। কিন্তু রাজ্য আইএনটিইউসি-র মহাসচিব কামারুজ্জমান কামার জানান, শেষপর্যন্ত তাঁদের সংগঠন সিটুর সঙ্গে আন্দোলনে সামিল হবে কিনা, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা হবে আগামী ৫ নভেম্বর। তার আগে সংগঠনের সর্বভারতীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা হবে।
কংগ্রেস অবশ্য অবশেষে আন্দোলনে নামছে। মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে ‘কৃষি আন্দোলনের’ পাশাপাশি রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার নেতৃত্বে ‘মঙ্গলকোট চলো’ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে কংগ্রেস। ৯ নভেম্বর অধীরের আন্দোলন শুরু। আর ১৬ নভেম্বর সমাবেশ মঙ্গলকোটে যাবেন মানসবাবুরা। |
|
|
|
|
|