|
|
|
|
মমতার শিল্প-ভাবনা ‘দিবাস্বপ্ন’, বলল সিপিএম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
জমি-সমস্যার সমাধান ছাড়াই রাজ্যে শিল্পায়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনা ‘দিবাস্বপ্ন’ বলে মনে করছে সিপিএম! মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত পরিকল্পনা কত দূর বাস্তবায়িত হবে, তা নিয়ে যথেষ্টই সন্দিহান রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল।
আগামী এক মাস তিনি ‘শিল্প নিয়েই নাড়াচাড়া’ করবেন বলে গত শনিবার জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে ‘শিল্প বিপ্লব’ হবেই বলে তিনি আশাবাদী এবং এর জন্য জমি কোনও সমস্যা হবে না বলে শিল্প ও বণিক মহলকে বারবার আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছেন। সিপিএম অবশ্য মমতার সরকারের জমি-নীতি তৈরির সময় থেকেই বলে আসছে, জমি অধিগ্রহণে সরকারের কোনও ভূমিকা না-থাকলে একলপ্তে জমি কিনে শিল্পপতিদের পক্ষে বড় শিল্প গড়া সম্ভব নয়। সেই অবস্থান বজায় রেখেই মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিকতম ঘোষণার বাস্তবতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। তিনি সোমবার বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা এবং যজ্ঞ (হাওড়ায় বি কে বিড়লার হাতে ৯ দিনের যে যজ্ঞের সূচনা হয়েছিল) তো একই সঙ্গে হচ্ছে! যে সব ঘোষণা হচ্ছে, সেগুলি দিবাস্বপ্নের মতো! বাস্তবে কী ভাবে হবে, কোনও ঠিক নেই।”
জমি-সমস্যার কথা বলেই সিঙ্গুরের উদাহরণ দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর কথায়, “বলা হচ্ছে, রেল ও সেল মিলে রাজ্যের সহায়তায় মেট্রোর কোচ ফ্যাক্টরি হবে। সিঙ্গুরের জমি তো হাতেই নেই! এখনও মামলা শেষ হয়নি। তা হলে কী ভাবে এ সব হবে, জানি না! ঘোষণার তো কোনও শেষ নেই!”
রাজ্যে ক্ষমতায় থাকার সময়ে মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, শিল্পমন্ত্রী নিরুপম সেনেরা যা বলতেন, বিরোধী আসনে গিয়েও জমি-প্রশ্নে সেই একই কথা বলছে সিপিএম। তাদের বক্তব্য, ভূমি সংস্কারের ফলে এ রাজ্যে ছোট জমির মালিকের সংখ্যা অনেক বেশি। খণ্ডিত জমির মালিকদের কাছ থেকে জমি কিনে বড় প্রকল্প করা কোনও বেসরকারি গোষ্ঠীর পক্ষে কার্যত অসম্ভব। তাই জমি কিনে শিল্প গড়তে শিল্পপতিরা কতটা উৎসাহী হবেন, বরাবরই সেই প্রশ্ন তুলে এসেছে সিপিএম।
বিরোধী দলনেতা এ দিনও বলেন, “সরকার যদি জমি অধিগ্রহণে হাত ঘুরিয়ে নেয়, তা হলে জমির মালিক ছোট চাষিরা জমি-হাঙরদের পাল্লায় পড়বেন। জমি-মাফিয়াদের হাতে তাঁদের স্বার্থ বিকিয়ে দিতে হবে।” বিরোধী দলের বক্তব্য, এই জমি-নীতির ফলে শিল্প ও কৃষি, কোনও স্বার্থই রক্ষিত হবে না। |
|
|
|
|
|