|
|
|
|
সরকারি মূল্য মিলছে না |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সরকারি দাম কুইন্টাল প্রতি ১০৮০ টাকা। খোলাবাজারে সেই ধানই বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৯০০ টাকা কুইন্টালে! তার উপর গাড়ি ভাড়া দিয়ে চালকলে পৌঁছে দিতে হচ্ছে ধান। অথচ সরকার নির্ধারিত মূল্যেই ধান কেনার কথা চালকলগুলির। কিন্তু তারা তা কিনছে না বলে অভিযোগ। ফলে, খোলাবাজারের ধানের দাম কমছে। যে সাধারণ ধানের সরকারি মূল্য কুইন্টাল প্রতি ১০৮০ টাকা, তা বিকোচ্ছে মূল্য সাড়ে ৮০০-৯০০ টাকায়। আর যে সরু ধানের সরকারি দাম কুইন্টাল প্রতি ১১১০ টাকা, খোলাবাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৯০০-৯২০ টাকা কুইন্টালে।
প্রশ্ন উঠেছে কেন খাদ্য ও সরবরাহ দফতর এখনও ধান কেনা শুরু করেনি। সম্প্রতি কয়েকটি চালকলে হানা দিয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা খাদ্য ও সরবরাহ দফতর। তাতেও সুরাহা হয়নি। জেলা খাদ্য নিয়ামক প্রদীপ ঘোষ বলেন, “চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনার তালিকা নিয়ে এসেছি। সেগুলি মিলিয়ে দেখা হবে। গরমিল থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চাষিরা যাতে বঞ্চিত না হন সেদিকে নজর রাখব।”
প্রশাসন অবশ্য বারবারই এই আশ্বাস দিয়েছে। তারপরও কম দামে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন চাষিরা। কেন্দ্রীয় ভিজিলেন্স দফতর এ বিষয়ে তদন্ত করেছিল। প্রশাসন সূত্রের খবর, সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই এ বার ধান কেনার ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। আগে চাষিদের থেকে ধান কিনলে চাষিদের নামের তালিকা তৈরি করে রাখতে হত। চাষিদের থেকে ধান কেনা হচ্ছে বলে লিখিতও নেওয়া হত। কিন্তু তাতেও নানা গরমিল ধরা পড়েছে। তাই এ বার ‘অ্যাকাউন্ট পেয়ি চেকে’ চাষিদের ধানের মূল্য মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এতেও সমস্যা। এক চালকল মালিক আলোক কাপড়ি বলেন, “ধান কিনলেই চেকে পেমেন্ট করতে হবে বলে সরকার জানিয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ চাষিরই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই। ফলে তাঁরা চেক নিতে রাজি হচ্ছেন না।” জেলা খাদ্য ও সরবরাহ দফতর অবশ্য জানিয়েছে, শীঘ্রই এ নিয়ে জেলাস্তরে বৈঠক করা হবে। চাষিদেরও সচেতন করার ব্যবস্থা হবে। জেলা খাদ্য নিয়ামক বলেন, “মন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ, চাষিরা যেন বঞ্চিত না হন। আমরা সেই নির্দেশ পালন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছি।” |
|
|
|
|
|