নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আই লিগ ইতিহাসের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী গোলদাতার কী মিল!
প্রয়াগের ইউসেফ ইয়াকুবু এবং মোহনবাগানের ওডাফা ওকোলি। গোয়ায় প্রয়াগের প্রথম ম্যাচে ইয়াকুবুর জোড়া গোলের পর দিনই যুবভারতীতে ওডাফার জবাব ছিল হ্যাটট্রিকে। এ বার ওডাফার মতোই তিন নম্বর ম্যাচে ইয়াকুবুকেও বসতে হবে মাঠের বাইরে। যে ম্যাচে প্রয়াগ ও মোহনবাগান দু’দলেরই বিপক্ষ গোয়ার দুই সেরা ক্লাব। চার্চিল এবং ডেম্পো। প্রয়াগের এক নম্বর স্ট্রাইকারের চোট ডান পায়ের গোড়ালিতে। তবে চার্চিলের জন্য খবর আরও খারাপ। চোট বেটোকে মাঠের বাইরে পাঠাচ্ছে ছ’সপ্তাহের জন্য। ফলে শুধু প্রয়াগ নয়, মোহনবাগানের বিরুদ্ধেও খেলতে পারবেন না তিনি।
ইয়াকুবুর না খেলাতেও মনোবল অবশ্য হারাচ্ছেন না প্রয়াগ কোচ সঞ্জয় সেন। তাঁর গলায় আত্মবিশ্বাস, “একটা লিগে চোট-কার্ড সমস্যা থাকবেই। এক জন না খেলতে পারলে হা-হুতাশ করার মানে হয় না। জোসিমার-ভিনসেন্ট তো আছেই। শঙ্করও তৈরি থাকছে।” মেহতাবহীন ইস্টবেঙ্গলের তুলনা টেনে তিনি বলেন, “মেহতাব না খেললে ইস্টবেঙ্গলের যে অবস্থা হয়, আমাদের সেই রকম হবে না।” সঞ্জয়ের দাবি, “আমাদের রিজার্ভ বেঞ্চও যথেষ্ট শক্তিশালী। টানা ন’ম্যাচ বসে থাকার পর ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে চিন্তা চন্দ্রশেখর বেশ ভাল খেলেছে।”
সঞ্জয় জানালেন, বিপক্ষ চার্চিল বলে রক্ষণাত্মক খেলতে চান না। “আমরা সাবধান থেকে অ্যাটাকিং খেলতে চাই। ডিফেন্সিভ হওয়ার প্রশ্নই নেই।” প্রথম দু’ম্যাচে এগিয়ে গিয়েও ড্র করতে হয়েছে তাঁর দলকে। তিনি চাইছেন, সেই দুটি ম্যাচের হারানো চার পয়েন্টের কিছুটা চার্চিলকে হারিয়ে তুলে নিতে। সে জন্য তিনি ফরোয়ার্ডদের বুঝিয়েছেন, বড় দলের বিরুদ্ধে তিন-চার বারই সুযোগ আসবে। সেগুলিকেই কাজে লাগাতে হবে।” এন ডি ওপারাদের আটকানোর জন্য তো থাকছেই বেলো রজ্জাক-অর্ণব মণ্ডল জুটি। মাঝমাঠে লালকমল-ডেনসনের পাশে দুই উইংয়ে খেলতে পারেন তুলুঙ্গা এবং জেমস সিংহ। |