|
|
|
|
| |
| আইটাক-এর সভায় জোর শ্রমিক-ঐক্যে |
| নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
| রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের পর ক্রমে শক্তি হারাচ্ছে সিটু, এআইটিইউসি-র মতো বামপন্থী সংগঠনগুলি। বিভিন্ন কারখানায় তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসিতে নাম লেখানোর হিড়িক লক্ষ করা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই জেলার খড়্গপুর শিল্পাঞ্চল-সহ বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকদের একাংশ তৃণমূলের সংগঠনে নাম লিখিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে শক্ত হাতে সংগঠনের ঘর ঘোছাতে মাঠে নামল সিপিআইয়ের সংগঠন এআইটিইউসি (আইটাক)। তাদের উদ্যোগে সোমবার মেদিনীপুর শহরে এক শ্রমিক সমাবেশ হয়। উপস্থিত ছিলেন সাংসদ প্রবোধ পান্ডা, সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রানা প্রমুখ। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আইটাকের কর্মী-সমর্থকেরা এ দিনের সমাবেশে যোগ দেন। আইটাকের ৯ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষেই সোমবারের এই সমাবেশ বলে জানিয়েছেন নেতৃত্ব। আইটাক-সহ ১১টি ট্রেড ইউনিয়নের ডাকে ৮ নভেম্বর দেশ জুড়ে ‘জেল ভরো’ আন্দোলন হবে। এ দিনের সমাবেশ থেকে সেই কর্মসূচি সফল করার ডাক দেওয়া হয়। বক্তব্যে সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক বলেন, “রাজ্য জুড়েই সন্ত্রাস চলছে। শ্রমিকদের অর্জিত অধিকার হরণ করার চেষ্টা চলছে। খুচরো ব্যবসায় ঢালাও বিদেশি লগ্নি আসছে। সরকার শ্রমিকদের কথা না-ভেবে এখন পুঁজিপতিদের কথাই ভাবছে। তাদের কী ভাবে আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া যায়, তাই দেখছে।” তাঁর বক্তব্য, “এ সবের বিরুদ্ধেই আমাদের প্রতিবাদ। অর্জিত অধিকার রক্ষা করতে হলে শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।” |
 |
| — নিজস্ব চিত্র। |
| বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করেন সাংসদ প্রবোধবাবুও। তাঁর অভিযোগ, ‘‘নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম এখন হু-হু করে বাড়ছে। এর ফলে সকলকেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। অথচ, পরিস্থিতির মোকাবিলায় সরকারের কোনও পদক্ষেপই নেই।” সভায় উপস্থিত ছিলেন আইটাকের জেলা সম্পাদক প্রদীপ মৈত্র, জেলা সভাপতি জ্যোতিলাল বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ সংগঠনের অন্য নেতারা। জেলা সভাপতি বলেন, “নতুন সরকার ধর্মঘট বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আন্দোলনের সব পথ যখন বন্ধ হয়ে যায় তখনই শ্রমিকরা ধর্মঘট করেন। শ্রমিকদের অধিকারের উপর আঘাত এলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।” |
|
|
 |
|
|
