|
|
|
|
সর্বজনীন জগদ্ধাত্রীর চল বাড়ছে |
আলোয় সাজছে শহর, আজ থেকেই উদ্বোধন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। উৎসবের রেশ তাই কাটতেই চায় না। দুর্গাপুজো, কালীপুজো, ভাইফোঁটার পরে এ বারের উৎসব জগদ্ধাত্রী পুজো। আর তাকে ঘিরে আনন্দমুখর মেদিনীপুর শহর ও সংলগ্ন এলাকা।
আজ, মঙ্গলবার থেকেই শুরু হচ্ছে পুজোর উদ্বোধন। হাতে সময় কম। সোমবার সকাল থেকেই তাই পুজোর শেষ প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ছিলেন উদ্যোক্তারা। দম ফেলার ফুরসত পাননি মণ্ডপ ও প্রতিমা শিল্পীরাও।
মেদিনীপুর শহরে এখন সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজোর সংখ্যা বেড়েছে। নজর কাড়তে এই পুজোর আয়োজনেও চমক রাখার চেষ্টা করেন উদ্যোক্তারা। কোথাও পুজো মণ্ডপের আশপাশ আলোর রোশনাইয়ে ভরিয়ে দেওয়া হয়। গুরুত্ব পায় চন্দননগরের আলো। কোথাও আবার থিমের মণ্ডপে থাকে নজরকাড়া সাজ। এ বারও এ সবের ব্যতিক্রম হচ্ছে না। জগদ্ধাত্রী পুজোকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই নানা রঙের আলোয় সাজতে শুরু করেছে শহর। |
|
মেদিনীপুরের খয়রুল্লাচকে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। নিজস্ব চিত্র। |
গত বছরই প্রথম পুজো শুরু করে ‘অগ্রগামী সেবা সংস্থা’। জাঁকজমকের পাশাপাশি থাকে গরিব মানুষদের সঙ্গে উৎসবের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার তাগিদ। আজ, মঙ্গলবার পুজোর উদ্বোধন। এই উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে শুধু পুরনো দিনের বাংলা গান পরিবেশিত হবে। তারপর শীতবস্ত্র বিলি করা হবে দরিদ্রদের। মেদিনীপুর শহরের উড়ালপুল রোডের ধারেই এই পুজোর মণ্ডপ তৈরি হয়েছে। প্রতিমা সাবেকি। অন্যতম উদ্যোক্তা স্বপন বসু বলেন, “সীমিত ক্ষমতার মধ্যে থেকেই আমরা যতটা সম্ভব গরিব মানুষকে সাহায্য করার চেষ্টা করি।” ইতিমধ্যেই ঝলমলে এলইডি আলোয় সেজে উঠেছে পুরো এলাকা।
শহরের ‘মীরবাজার সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজো’র এ বার দ্বিতীয় বছর। উদ্যোক্তা ‘একতা সঙ্ঘ’। মন্দিরের আদলে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। দরিদ্র সেবার আয়োজন রয়েছে এখানেও। পুজো কমিটির সম্পাদক কৌশিক রায় বলেন, “পুজোর খরচ বাঁচিয়েই আমরা গরিব মানুষদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করব।” শহরের ‘আবির্ভাব’ ক্লাবের জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। এই পুজোর উদ্বোধন হবে আগামী বৃহস্পতিবার। জেলা পরিষদ ভবনের অদূরে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। এই পুজো কমিটির সম্পাদক অরুণ ঘোষের কথায়, “শুরুতে সংশয় ছিল যে প্রত্যাশা আর উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়ে চলছি, তা আমরা পূরণ করতে পারব কি না। তবে আমরা পেরেছি। আর তা সম্ভব হয়েছে সকলের সহযোগিতাতেই।” পুজো কমিটির সভাপতি অমলেন্দু জানা বলেন, “দরিদ্র মানুষের জন্য কিছু করা, সুস্থ সংস্কৃতির জন্য আত্মচেতনা এবং সেবামূলক কাজে আত্মনিয়োগই আমাদের পুজোর উদ্দেশ্য।” পুজো উপলক্ষে এখানে ধুনুচি নাচের প্রতিযোগিতা ও আতসবাজি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে থাকছে সঙ্গীতানুষ্ঠান। |
|
|
|
|
|